ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখ সারির সমন্বয়কদের উদ্যোগে ‘শিক্ষা, ঐক্য, মুক্তি’ স্লোগান নিয়ে গঠিত নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ এর পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কমিটিতে আছেন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সাত কলেজ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণার বিষয়ে আবু বাকের মজুমদার বলেন, কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও সকল বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। ৬ মাস সময় নিয়ে সারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইউনিটে ভাগ করে কমিটি আহ্বায়ন ও প্রনয়ণ করা হবে।
গতকাল বুধবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে হওয়া হট্টগোল নিয়ে আবু বাকের মজুমদার বলেন, বুধবারের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। সেখানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি তৃতীয় পক্ষ ভুলবোঝাবুঝি ও হট্টগোলের সৃষ্টি করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটিতে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ আল মুদ্দাসসীর, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈম আবেদীন। আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন এবং কারো বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হলে নেওয়া হবে।
এদিকে, রিফাত রশীদের স্থানে বর্তমানে সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব পদে যুক্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল মাসনুন।
রিফাত রশীদ ইস্যুতে আবু বাকের মজুমদার বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটিতে রিফাতের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল রাতে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি অব্যাহতি নিয়েছেন।
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বলেছি ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ চাই, ছাত্র রাজনীতি নয়। ছাত্ররাজনীতি মানে গেস্টরুমের নির্যাতন বা বাধ্যতামূলক প্রোগ্রাম করানো নয়। এখানে নতুন করে কারো ছাত্রলীগ হয়ে ওঠার সুযোগ নেই।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে হট্টগোলের বিষয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হয়ে নাঈম আবেদীন বলেন, গতকাল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব থাকছে না বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছিল। ফলে তারা সেটা সমাধান চাইতে মধুর ক্যান্টিনে আসে। যখন তাদের বোঝানো হয় তখন তারা চলে যায়। তবে একটি অংশ তখনও উপস্থিত থেকে হট্টগোলে লিপ্ত হয়। এর মধ্যে মহানগরীর একটি প্রতিনিধি দল রিফাত রশীদের নামে স্লোগান দিচ্ছিল। পরে বিশৃঙখলা তৈরী করে। আমরা তদন্ত করে যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, নেব।
এ সময় তিনি সরকারি-বেসরকারি-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের এক থেকে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার আহ্বান জানান। জুলাই অভ্যুত্থানের দিনগুলোর মতো সকল প্রতিষ্ঠান এখনো এক আছে বলে জানান তিনি।