কৃষিকে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির প্রাণ বলে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রোববার ‘কৃষিবিদ দিবস-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, অনাদিকাল থেকে এদেশের মানুষ খাদ্য-বস্ত্র ও বাসস্থানসহ মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য কৃষির ওপর নির্ভর করে আসছে।
দেশের সব কৃষিবিদকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরিতে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। এ প্রেক্ষাপটে ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদ দিবস উদযাপন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে স্বাধীনতাত্তোরকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিশিক্ষা, গবেষণা, সম্প্রসারণ ও কৃষির উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে কৃষির উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। জাতির পিতার প্রদর্শিত পথেই বর্তমান সরকার কৃষির সার্বিক উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ফলশ্রুতিতে আমরা এখন দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পাশাপাশি শাকসবজি ও ফলমূলসহ মাছ-মাংস, দুধ-ডিম ইত্যাদির ব্যাপক উৎপাদন জাতীয় পর্যায়ে দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
আবদুল হামিদ আরও বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। দেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণে কৃষি বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের বীজ উদ্ভাবন, উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ উৎপাদনে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, উৎপাদন ও বিপণনের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারে সচেতন হওয়া আবশ্যক বলে জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, কৃষি ব্যবস্থাপনায় আধুনিক যন্ত্রপাতি তথা কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং লাভজনক কৃষিতে রূপান্তরের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিতে হবে। আমি আশা করি, কৃষিবিদগণ তাদের জ্ঞান, মেধা ও শ্রম দিয়ে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবেন।,