কী হচ্ছে থার্ড টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে

দ্রুত এগিয়ে চলছে বহুল প্রতীক্ষিত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজ। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের অক্টোবরেই হবে উদ্বোধন। টার্মিনালটি চালু হলে বিমানবন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুণ হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকমানের যাত্রীসেবা দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সরকার। তবে সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি আলোচনা শুরু হয়েছে থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে। কারা পাচ্ছে এ কাজ? নতুন টার্মিনালেও কি আগের মতো লাগেজ নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হবে যাত্রীদের? ব্যাগ থেকে চুরি যাবে গুরুত্বপূর্ণ ও দামি মালামাল? লাগেজ পেতে অপেক্ষা করতে হবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা? এসব প্রশ্ন এখন সব মহলে। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থার্ড টার্মিনাল চালু হলে বিমানবন্দরের যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা দ্বিগুণের বেশি বেড়ে যাবে। তবে আন্তর্জাতিক মানের যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে হলে আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব দিতে হবে। কারণ, এর ওপরই নির্ভর করছে যাত্রীসেবার বিষয়টি। জানা গেছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও (বেবিচক) চাইছে শাহজালালের দীর্ঘদিনের বদনাম ঘোচাতে। এজন্য থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে নির্বাচন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ কাজে জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে।

 

এদিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের নানা অব্যবস্থাপনার কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি দীর্ঘদিনের। দেরিতে ফ্লাইট ছাড়া, দেশে আসা যাত্রীদের লাগেজ পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, লাগেজ কাটাছেঁড়া আর চুরির ঘটনা হরহামেশা ঘটছে। স্টাফরা মাথা থেকে বেল্টে লাগেজ আছড়ে ফেলায় ভেঙে যাচ্ছে ভিতরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ মালামাল। লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড বিভাগ থেকে পাওয়া অধিকাংশ লাগেজে গুরুত্বপূর্ণ ও দামি মালামাল থাকছে না। রমজান মাসে ইফতারের আগে কোনো ফ্লাইট অবতরণ করলে দেড়-দুই ঘণ্টায়ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কোনো কর্মীর দেখা মেলে না। ফলে লাগেজের জন্য বিমানবন্দরের মধ্যেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনা নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন একাধিকবার। বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় ক্যারিয়ার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। শাহজালালের গ্রাউন্ড  অব্যবস্থাপনা তুলে ধরে গত ১৩ ডিসেম্বর গ্রাউন্ড য়ের দায়িত্বে থাকা বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) চিঠি পাঠায় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়। চিঠির পর চলতি বছরের প্রথম দিকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও দুই মাসও স্থায়ী হয়নি। বর্তমানে থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড য়ের দায়িত্ব পেতে বিমান বাংলাদেশও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

 

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও দ্য বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিমানবন্দর হলো একটা রাষ্ট্রের গেটওয়ে। বিদেশিরা এয়ারপোর্টে নেমে সেবা দেখেই ওই দেশকে মূল্যায়ন করে। এজন্য গ্রাউন্ড  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৫০ বছর তো দেখলাম, বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার কোনো উন্নয়ন হয়নি। প্রতিনিয়ত মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীও বহুবার এ নিয়ে বলেছেন। কিন্তু লাগেজ কাটা, যাত্রী হয়রানি, মালামাল হারিয়ে যাওয়াসহ অব্যবস্থাপনা কাটেনি। তিনি বলেন, প্রতিটি এয়ারলাইনসের যাত্রীদের চেক-ইন কাউন্টার সামলানো, বোর্ডিং, উড়োজাহাজে মালামাল ওঠানো-নামানো, যাত্রীসেবা, প্রকৌশল সেবা ও জিএসই (গ্রাউন্ড সার্ভিস ইকুইপমেন্ট) সেবাকে গ্রাউন্ড  সেবা বলে। এজন্য প্রতিটি এয়ারলাইনস নির্দিষ্ট হারে ফি দেয় বিমানকে। কিন্তু বিমানের জনবলের ঘাটতির কারণে এয়ালাইনসগুলোকে নিজদের স্টাফ দিয়ে বোর্ডিং কার্ড ইস্যুসহ নানা কাজ করাতে হচ্ছে। এজন্য প্রতিটা এয়ারলাইনস বিমানের প্রতি অসন্তুষ্ট। সেবার মান বাড়াতে গ্রাউন্ড য়ের দায়িত্ব অবশ্যই আন্তর্জাতিকমানের দক্ষ প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক প্রতিষ্ঠান এ দায়িত্ব পালন করতে পারে। বিশ্বের অনেক বিমানবন্দরে এমনটা আছে। মানুষ টাকা খরচ করে ভোগান্তি পোহাবে কেন? এদিকে দেশের সব বিমানবন্দরের সক্ষমতা ও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের প্রধান প্রবেশদ্বার শাহজালালে আন্তর্জাতিকমানের যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। এজন্য থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড য়ের কাজ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে অভিজ্ঞ কোনো প্রতিষ্ঠানকে দিতে চায় বেবিচক। এ ব্যাপারে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা আর যাত্রী ভোগান্তির কারণে থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। বিমানকে বহুবার বলা হয়েছে, একটি লাগেজও যাতে নষ্ট না হয়। কিন্তু তারা শুনছে না। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং দুবাইভিত্তিক ডানাটাকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে সবকিছু সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। কোনো যাত্রী ভোগান্তি নেই। সরকারের আয়ও বেড়েছে। শাহজালালে আন্তর্জাতিকমানের সেবা নিশ্চিত করে আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই।  সূূএ: বাংলাদেশ  প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বৃষ্টি কামনায় বায়তুল মোকাররমে ইসতিসকার নামাজ আদায়

» মেটার স্মার্ট সানগ্লাসে দিয়ে করা যাবে ভিডিও কল

» গরমে ট্রাফিক পুলিশ কীভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে?

» জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরু থেকে কেন খেলবেন না, জানালেন সাকিব

» পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলের চালক নিহত

» বাস-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংর্ঘষে ইজিবাইক চালক নিহত,আহত ৩

» বিএনপি নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া: কাদের

» শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে আ.লীগের কর্মসূচি

» দেশজুড়ে এমপিরাজ শুরু হয়েছে: রিজভী

» ‘উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে’

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কী হচ্ছে থার্ড টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে

দ্রুত এগিয়ে চলছে বহুল প্রতীক্ষিত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজ। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের অক্টোবরেই হবে উদ্বোধন। টার্মিনালটি চালু হলে বিমানবন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুণ হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকমানের যাত্রীসেবা দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সরকার। তবে সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি আলোচনা শুরু হয়েছে থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে। কারা পাচ্ছে এ কাজ? নতুন টার্মিনালেও কি আগের মতো লাগেজ নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হবে যাত্রীদের? ব্যাগ থেকে চুরি যাবে গুরুত্বপূর্ণ ও দামি মালামাল? লাগেজ পেতে অপেক্ষা করতে হবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা? এসব প্রশ্ন এখন সব মহলে। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থার্ড টার্মিনাল চালু হলে বিমানবন্দরের যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা দ্বিগুণের বেশি বেড়ে যাবে। তবে আন্তর্জাতিক মানের যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে হলে আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব দিতে হবে। কারণ, এর ওপরই নির্ভর করছে যাত্রীসেবার বিষয়টি। জানা গেছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও (বেবিচক) চাইছে শাহজালালের দীর্ঘদিনের বদনাম ঘোচাতে। এজন্য থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে নির্বাচন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ কাজে জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে।

 

এদিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের নানা অব্যবস্থাপনার কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি দীর্ঘদিনের। দেরিতে ফ্লাইট ছাড়া, দেশে আসা যাত্রীদের লাগেজ পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, লাগেজ কাটাছেঁড়া আর চুরির ঘটনা হরহামেশা ঘটছে। স্টাফরা মাথা থেকে বেল্টে লাগেজ আছড়ে ফেলায় ভেঙে যাচ্ছে ভিতরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ মালামাল। লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড বিভাগ থেকে পাওয়া অধিকাংশ লাগেজে গুরুত্বপূর্ণ ও দামি মালামাল থাকছে না। রমজান মাসে ইফতারের আগে কোনো ফ্লাইট অবতরণ করলে দেড়-দুই ঘণ্টায়ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কোনো কর্মীর দেখা মেলে না। ফলে লাগেজের জন্য বিমানবন্দরের মধ্যেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনা নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন একাধিকবার। বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় ক্যারিয়ার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। শাহজালালের গ্রাউন্ড  অব্যবস্থাপনা তুলে ধরে গত ১৩ ডিসেম্বর গ্রাউন্ড য়ের দায়িত্বে থাকা বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) চিঠি পাঠায় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়। চিঠির পর চলতি বছরের প্রথম দিকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও দুই মাসও স্থায়ী হয়নি। বর্তমানে থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড য়ের দায়িত্ব পেতে বিমান বাংলাদেশও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

 

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও দ্য বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিমানবন্দর হলো একটা রাষ্ট্রের গেটওয়ে। বিদেশিরা এয়ারপোর্টে নেমে সেবা দেখেই ওই দেশকে মূল্যায়ন করে। এজন্য গ্রাউন্ড  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৫০ বছর তো দেখলাম, বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার কোনো উন্নয়ন হয়নি। প্রতিনিয়ত মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীও বহুবার এ নিয়ে বলেছেন। কিন্তু লাগেজ কাটা, যাত্রী হয়রানি, মালামাল হারিয়ে যাওয়াসহ অব্যবস্থাপনা কাটেনি। তিনি বলেন, প্রতিটি এয়ারলাইনসের যাত্রীদের চেক-ইন কাউন্টার সামলানো, বোর্ডিং, উড়োজাহাজে মালামাল ওঠানো-নামানো, যাত্রীসেবা, প্রকৌশল সেবা ও জিএসই (গ্রাউন্ড সার্ভিস ইকুইপমেন্ট) সেবাকে গ্রাউন্ড  সেবা বলে। এজন্য প্রতিটি এয়ারলাইনস নির্দিষ্ট হারে ফি দেয় বিমানকে। কিন্তু বিমানের জনবলের ঘাটতির কারণে এয়ালাইনসগুলোকে নিজদের স্টাফ দিয়ে বোর্ডিং কার্ড ইস্যুসহ নানা কাজ করাতে হচ্ছে। এজন্য প্রতিটা এয়ারলাইনস বিমানের প্রতি অসন্তুষ্ট। সেবার মান বাড়াতে গ্রাউন্ড য়ের দায়িত্ব অবশ্যই আন্তর্জাতিকমানের দক্ষ প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক প্রতিষ্ঠান এ দায়িত্ব পালন করতে পারে। বিশ্বের অনেক বিমানবন্দরে এমনটা আছে। মানুষ টাকা খরচ করে ভোগান্তি পোহাবে কেন? এদিকে দেশের সব বিমানবন্দরের সক্ষমতা ও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের প্রধান প্রবেশদ্বার শাহজালালে আন্তর্জাতিকমানের যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। এজন্য থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড য়ের কাজ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে অভিজ্ঞ কোনো প্রতিষ্ঠানকে দিতে চায় বেবিচক। এ ব্যাপারে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা আর যাত্রী ভোগান্তির কারণে থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। বিমানকে বহুবার বলা হয়েছে, একটি লাগেজও যাতে নষ্ট না হয়। কিন্তু তারা শুনছে না। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং দুবাইভিত্তিক ডানাটাকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে সবকিছু সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। কোনো যাত্রী ভোগান্তি নেই। সরকারের আয়ও বেড়েছে। শাহজালালে আন্তর্জাতিকমানের সেবা নিশ্চিত করে আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই।  সূূএ: বাংলাদেশ  প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com