ভয়াল ২৫ মার্চের কালরাত স্মরণে এক মিনিট নিষ্প্রদীপ কাটিয়েছেন সারা বাংলাদেশের মানুষ। আজ শুক্রবার রাত নয়টা থেকে নয়টা এক মিনিট পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালিত হয়।
১৯৭১ সালের এই দিনে এক বিভীষিকাময় রাত নেমে এসেছিল বাঙালির জীবনে। একাত্তরের সেই কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে। নির্বিচারে খুন করে সাধারণ মানুষকে। ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে হানাদাররা।
সেই গণহত্যা স্মরণে আজ রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ কর্মসূচি পালন হয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তথা কেপিআই এর আওতামুক্ত ছিল।
বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সারা দেশে আক্রমণ করে যেতে থাকে। হানাদার প্রতিরোধে এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশের আপামর জনতা সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
২৫ মার্চ দিবাগত রাতে সেনা আগ্রাসনের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধুর এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।