ওদের পাশে কে দাঁড়াবে?

অনন্ত অপেক্ষার প্রহর। শূন্য বুক। চোখে অন্ধকার। মুরসালিনের সন্তান, স্ত্রী, বাবা আর মায়ের আহাজারিতে বাতাস হচ্ছে ভারি। আর নাহিদের সদ্য বিয়ে করা স্ত্রী এখন কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। স্বামীর শোকে কাতর। কিন্তু এই দুঃসময়েও তাদের সান্ত্বনা দিতে কেউ পাশে দাঁড়াননি। নিউ মার্কেট কর্তৃপক্ষ, ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধি ও ছাত্র প্রতিনিধির যৌথ বৈঠকে সমস্যার সমাধান হয়েছে।

বুধবার রাতব্যাপী বৈঠকে দীর্ঘ সংঘর্ষ ও উত্তেজনার মীমাংসা হয়। বৃহস্পতিবার থেকে চালু হয় নিউ মার্কেট এলাকার সকল মার্কেট। সে সময় বলা হয়েছিল, নিহত ও আহতদের দায়িত্ব নিয়েছে নিউ মার্কেট কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ যাবেন নিহত নাহিদ ও মুরসালিনের পরিবারের কাছে। তাদের আর্থিক সহায়তা করবেন। কিন্তু দুদিন পেরিয়ে গেল। যাননি কেউই। আর্থিক সহায়তা তো দূরের কথা। সান্ত্বনাটুকুও  দিতে যাননি কেউ। সরকারের পক্ষ থেকেও এ উদ্যোগ চোখে পড়েনি। না! নাহিদ আর মুরসালিন আর ফিরে আসবেনা। কিন্তু তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে একটু সান্ত্বনার বানী শোনালেও তো এ মুহূর্তে পরিবার দুটো একটু হলেও ভরসা পেতেন। মনে মনে বলতেন, আমাদের সঙ্গে সবাই আছেন। আমরা একা না। এক সন্তান হারিয়েছি ঠিকই। কিন্তু আমাদের পাশে এখন হাজারো সন্তান।

নাহিদ ও মুরসালিন দু’জনই ছিলেন পরিববারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের মৃত্যুর সঙ্গে শেষ হলো দু’টি পরিবারের স্বপ্ন ও আশা। সন্তানদের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার দেখছেন মুরসালিনের পরিবার। তাদের কী খাওয়াবেন, কীভাবে লেখাপড়া করাবেন- তা ভেবেই ভেঙে পড়ছেন তার স্ত্রী অনি আক্তার মিতু। ওদিকে সদ্য বিবাহিত নাহিদের স্ত্রীও দিশাহারা। জীবন সঙ্গিণীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় তিনি। স্বামীর কথা মনে পড়তেই বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটসহ আশপাশের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত নাহিদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আর বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মুরসালিন। এরপর থেকেই তাদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।

মুরসালিন মারা যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোনো সহায়তা পায়নি তাদের পরিবার। আশ্বস্তও করেনি কেউ। ছোট দুই সন্তানের দিকে তাকিয়ে কেবল শোকের পারদ ভারি হয় মা মিতুর। স্বামীর কথা চিন্তা করে স্রষ্টার কাছে নিজের মৃত্যু কামনাও করেন তিনি। মিতু বলেন, আমাদের কেউ সাহায্য করতে আসে নাই। ফোনও দেয় নাই। কীভাবে চলবো আমি জানি না। একটু দয়া যদি কেউ করতো তাহলে আমার ছেলে-মেয়ে জীবনে একটা কিছু করতে পারতো। আমার ছেলের মাথা ভালো। কেউ সহযোগিতা করলে ওদের পড়াতে পারতাম। এখন আমি কী করবো জানি না। আমি সহযোগিতা চাই। আমার ছেলেমেয়েরা যেনো লেখাপড়া করে বড় হতে পারে।
মুরসালিনের ভাই নুর মোহাম্মদ বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ কোনো সাহায্য করেনি। আশ্বস্তও করেনি। আমরা কী করবো। কীভাবে চলবো। মাথা ঠিক নেই। বাঁচতে তো হবে। মুরসালিনের ফুফু সাথী আক্তার বলেন, মিডিয়ার লোক আসতাছে খোঁজ নিতাছে। যদি কেউ সাহায্য করে তাহলে ওদের অনেক উপকার হবে।

মুরসালিনের পরিবার সাড়ে ৮ হাজার টাকা ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিলও আলাদা দিতে হয়। এখন এতটাকা দিয়ে এই বাড়িতে থাকাও সম্ভব নয়। সাথী আক্তার বলেন, আগে মুরসালিন কাজ করে ৯ হাজার টাকা পাইতো। ওইটা দিয়া ভাড়া দিতো। আর মিতুর ভাই ওদের সঙ্গে থাকতো। সে পঁাঁচ হাজার টাকা পাইতো। ওইটা দিয়া বাজার কইরা খাইতো। মাঝেমধ্যে আমরা ৫০০-১০০০ টাকা দিতাম। এভাবেই চলতো।

এদিকে স্থানীয় এক নেতার কাছ থেকে সামান্য আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন নাহিদের পরিবার। স্ত্রী ডালিয়াকে দুইটি সেলাই মেশিন কিনে দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেত্রী তিলোত্তমা শিকদার। তবে এখন পর্যন্ত দোকান মালিক সমিতি, সরকার কিংবা শিক্ষার্থী- কেউ তাদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসেনি। বিলাপ করে ডালিয়া বলেন, আমারে তিলোত্তমা আপা দুইটা সেলাই মেশিন দিছে। আর বলছে তারা একটা দোকান দিয়া দিবে। সেলাইয়ের কাজ বেশি করতে পারি না। টুকটাক সেলাই করতে পারি।

স্বামী হত্যার সঠিক বিচার চান ডালিয়া। কিন্তু ভবিষ্যৎ জীবন কীভাবে চলবে সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তা তার। বলেন, আমার স্বামী হত্যার সঠিক বিচার হোক। আমার চলার জন্য কেউ কিছু কইরা দেক যাতে চইলা খাইতে পারি।

নাহিদ পরিবারের বড় ছেলে। স্ত্রীকে নিয়ে তার বাবা মায়ের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। পরিবারে তার দুইটা ছোট ভাই শরীফ (৭) ও ইব্রাহিম (৩)। নাহিদের মা নার্গিস বেগম বলেন, ওর অফিস থেকে কেউ খোঁজ খবর নেয় নাই। ফোনও দেয় নাই। নাহিদের এক চাচা জানান, সংসার চলতো ওর টাকা দিয়া আর আমার ভাইর টাকা দিয়া। এখন ওদের সংসার চলার মতো অবস্থা নাই।
নাহিদের মামাতো ভাই রাজু বলেন, সাহায্য করার আশ্বাস দিচ্ছে অনেকেই।

এ ব্যাপারে কথা হয় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে। তারা নাহিদ ও মুরসালিনের পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। বলেন, আমি চেষ্টা করছি। আমাদের একটু সময় প্রয়োজন। ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে (দ.) বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মাহবুবুর রহমান স্বপন বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দুই পরিবারকে সহায়তা করার উদ্যোগ নেয়া হবে। একটা মিটিংয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এই ঘটনায় আমাদের মার্কেটেরও একটা নিরীহ ছেলে নিহত হয়েছে। তাদের আর্থিকভাবে যতটুকু সহায়তা করা যায় আমরা সবাই মিলে তা করবো।  সূএ:মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

» নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ : তাপস

» বাংলাদেশ সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করল জিম্বাবুয়ে

» চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ফের সড়ক অবরোধ

» ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত

» থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

» ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

» রাবির ভর্তির বিভাগ পছন্দক্রম ফরম পূরণের তারিখ ঘোষণা

» শুভ জন্মদিন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’

» মন্ত্রী-এমপির স্বজন যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি, সময়মতো ব্যবস্থা: কাদের

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ওদের পাশে কে দাঁড়াবে?

অনন্ত অপেক্ষার প্রহর। শূন্য বুক। চোখে অন্ধকার। মুরসালিনের সন্তান, স্ত্রী, বাবা আর মায়ের আহাজারিতে বাতাস হচ্ছে ভারি। আর নাহিদের সদ্য বিয়ে করা স্ত্রী এখন কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। স্বামীর শোকে কাতর। কিন্তু এই দুঃসময়েও তাদের সান্ত্বনা দিতে কেউ পাশে দাঁড়াননি। নিউ মার্কেট কর্তৃপক্ষ, ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধি ও ছাত্র প্রতিনিধির যৌথ বৈঠকে সমস্যার সমাধান হয়েছে।

বুধবার রাতব্যাপী বৈঠকে দীর্ঘ সংঘর্ষ ও উত্তেজনার মীমাংসা হয়। বৃহস্পতিবার থেকে চালু হয় নিউ মার্কেট এলাকার সকল মার্কেট। সে সময় বলা হয়েছিল, নিহত ও আহতদের দায়িত্ব নিয়েছে নিউ মার্কেট কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ যাবেন নিহত নাহিদ ও মুরসালিনের পরিবারের কাছে। তাদের আর্থিক সহায়তা করবেন। কিন্তু দুদিন পেরিয়ে গেল। যাননি কেউই। আর্থিক সহায়তা তো দূরের কথা। সান্ত্বনাটুকুও  দিতে যাননি কেউ। সরকারের পক্ষ থেকেও এ উদ্যোগ চোখে পড়েনি। না! নাহিদ আর মুরসালিন আর ফিরে আসবেনা। কিন্তু তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে একটু সান্ত্বনার বানী শোনালেও তো এ মুহূর্তে পরিবার দুটো একটু হলেও ভরসা পেতেন। মনে মনে বলতেন, আমাদের সঙ্গে সবাই আছেন। আমরা একা না। এক সন্তান হারিয়েছি ঠিকই। কিন্তু আমাদের পাশে এখন হাজারো সন্তান।

নাহিদ ও মুরসালিন দু’জনই ছিলেন পরিববারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের মৃত্যুর সঙ্গে শেষ হলো দু’টি পরিবারের স্বপ্ন ও আশা। সন্তানদের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার দেখছেন মুরসালিনের পরিবার। তাদের কী খাওয়াবেন, কীভাবে লেখাপড়া করাবেন- তা ভেবেই ভেঙে পড়ছেন তার স্ত্রী অনি আক্তার মিতু। ওদিকে সদ্য বিবাহিত নাহিদের স্ত্রীও দিশাহারা। জীবন সঙ্গিণীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় তিনি। স্বামীর কথা মনে পড়তেই বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটসহ আশপাশের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত নাহিদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আর বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মুরসালিন। এরপর থেকেই তাদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।

মুরসালিন মারা যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোনো সহায়তা পায়নি তাদের পরিবার। আশ্বস্তও করেনি কেউ। ছোট দুই সন্তানের দিকে তাকিয়ে কেবল শোকের পারদ ভারি হয় মা মিতুর। স্বামীর কথা চিন্তা করে স্রষ্টার কাছে নিজের মৃত্যু কামনাও করেন তিনি। মিতু বলেন, আমাদের কেউ সাহায্য করতে আসে নাই। ফোনও দেয় নাই। কীভাবে চলবো আমি জানি না। একটু দয়া যদি কেউ করতো তাহলে আমার ছেলে-মেয়ে জীবনে একটা কিছু করতে পারতো। আমার ছেলের মাথা ভালো। কেউ সহযোগিতা করলে ওদের পড়াতে পারতাম। এখন আমি কী করবো জানি না। আমি সহযোগিতা চাই। আমার ছেলেমেয়েরা যেনো লেখাপড়া করে বড় হতে পারে।
মুরসালিনের ভাই নুর মোহাম্মদ বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ কোনো সাহায্য করেনি। আশ্বস্তও করেনি। আমরা কী করবো। কীভাবে চলবো। মাথা ঠিক নেই। বাঁচতে তো হবে। মুরসালিনের ফুফু সাথী আক্তার বলেন, মিডিয়ার লোক আসতাছে খোঁজ নিতাছে। যদি কেউ সাহায্য করে তাহলে ওদের অনেক উপকার হবে।

মুরসালিনের পরিবার সাড়ে ৮ হাজার টাকা ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিলও আলাদা দিতে হয়। এখন এতটাকা দিয়ে এই বাড়িতে থাকাও সম্ভব নয়। সাথী আক্তার বলেন, আগে মুরসালিন কাজ করে ৯ হাজার টাকা পাইতো। ওইটা দিয়া ভাড়া দিতো। আর মিতুর ভাই ওদের সঙ্গে থাকতো। সে পঁাঁচ হাজার টাকা পাইতো। ওইটা দিয়া বাজার কইরা খাইতো। মাঝেমধ্যে আমরা ৫০০-১০০০ টাকা দিতাম। এভাবেই চলতো।

এদিকে স্থানীয় এক নেতার কাছ থেকে সামান্য আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন নাহিদের পরিবার। স্ত্রী ডালিয়াকে দুইটি সেলাই মেশিন কিনে দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেত্রী তিলোত্তমা শিকদার। তবে এখন পর্যন্ত দোকান মালিক সমিতি, সরকার কিংবা শিক্ষার্থী- কেউ তাদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসেনি। বিলাপ করে ডালিয়া বলেন, আমারে তিলোত্তমা আপা দুইটা সেলাই মেশিন দিছে। আর বলছে তারা একটা দোকান দিয়া দিবে। সেলাইয়ের কাজ বেশি করতে পারি না। টুকটাক সেলাই করতে পারি।

স্বামী হত্যার সঠিক বিচার চান ডালিয়া। কিন্তু ভবিষ্যৎ জীবন কীভাবে চলবে সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তা তার। বলেন, আমার স্বামী হত্যার সঠিক বিচার হোক। আমার চলার জন্য কেউ কিছু কইরা দেক যাতে চইলা খাইতে পারি।

নাহিদ পরিবারের বড় ছেলে। স্ত্রীকে নিয়ে তার বাবা মায়ের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। পরিবারে তার দুইটা ছোট ভাই শরীফ (৭) ও ইব্রাহিম (৩)। নাহিদের মা নার্গিস বেগম বলেন, ওর অফিস থেকে কেউ খোঁজ খবর নেয় নাই। ফোনও দেয় নাই। নাহিদের এক চাচা জানান, সংসার চলতো ওর টাকা দিয়া আর আমার ভাইর টাকা দিয়া। এখন ওদের সংসার চলার মতো অবস্থা নাই।
নাহিদের মামাতো ভাই রাজু বলেন, সাহায্য করার আশ্বাস দিচ্ছে অনেকেই।

এ ব্যাপারে কথা হয় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে। তারা নাহিদ ও মুরসালিনের পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। বলেন, আমি চেষ্টা করছি। আমাদের একটু সময় প্রয়োজন। ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে (দ.) বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মাহবুবুর রহমান স্বপন বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দুই পরিবারকে সহায়তা করার উদ্যোগ নেয়া হবে। একটা মিটিংয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এই ঘটনায় আমাদের মার্কেটেরও একটা নিরীহ ছেলে নিহত হয়েছে। তাদের আর্থিকভাবে যতটুকু সহায়তা করা যায় আমরা সবাই মিলে তা করবো।  সূএ:মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com