কাতারে চলমান ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর আগে এ নিয়ে সমালোচনার অন্ত ছিল না। আসর শুরুর আগ পর্যন্ত ইউরোপের অনেক দেশই আয়োজক হিসেবে কাতারকে মেনে নিতে পারেনি। এমনকি কয়েকটি দেশের সমর্থকরা বর্জনও করেছে বিশ্ব আসর।
তবে সেসব সমালোচনাকে একটুও পাত্তা দেয়নি কাতার। সফলভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন সম্পন্ন করার দিকে একটু একটু করে এগোচ্ছে উপসাগরীয় দেশটি। ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের পর এবার অলিম্পিক আয়োজনের দিকে নজর দিচ্ছে তারা।
বিশ্বকাপে এখন চলছে নকআউট পর্বের ম্যাচ। কাতারে টুর্নামেন্ট শুরুর পর এখন পর্যন্ত তেমন কোনো বিতর্ক দেখা যায়নি। তাতে আয়োজক হিসেবে নিজেদের সফলই দাবি করতে পারছে দেশটি। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আবারও বড় টুর্নামেন্ট আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
২০৩৬ সালের অলিম্পিক আয়োজন করতে চাইছে কাতার। তবে সরকারিভাবে এখনো আবেদন করা হয়নি দেশটির। কিন্তু কাতারের আগ্রহের বিষয়টি জানতে পেরেছে বৈশ্বিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স। তাদের প্রতিবেদন মতে, কাতারের এক সরকারি সূত্র অলিম্পিক আয়োজনে দেশটির আগ্রহের কথা জানিয়েছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, ‘বিশ্বকাপের এই সাফল্য কাতারকে বাকিদের থেকে অনেক উপরের দিকে রাখবে। আমরা সফল, প্রমাণ করে দিয়েছি। ২০০৬ সালে এখানে এশিয়া গেমস হয়েছিল। আবার ২০৩০-এ আমরা আয়োজক। সব পরিকাঠামো রয়েছে এখানে। তাই আমাদের দায়িত্ব দিতে কোনো অসুবিধা নেই।
কাতারের দাবি, ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য যে পরিকাঠামো তৈরি করেছে তারা, আগামী দিনে তার রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নতি করা হবে। অর্থাৎ বাতানুকূল ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট, বিমানবন্দর, মেট্রো সবই তাদের কাছে তৈরি রয়েছে। তাই ১৪ বছর পর অলিম্পিক আয়োজন করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বরং পরিকাঠামোর আরো উন্নতি হবে।
২০৩৬ সালের আয়োজক দেশ কে হবে হবে, তা নিয়ে এখনও কোনো কথা বলেনি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। তবে কাতার যে সেই লড়াইয়ে অংশ নেবে, তা অনেকটাই পাকা। যদি সফল হয়, তবে প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে অলিম্পিক আয়োজন করবে তারা।
২০২৪ সালে পরের অলিম্পিক হবে প্যারিসে। তারপরের দুটি অলিম্পক হওয়ার কথা লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ব্রিসবেনে। ২০৩০ সালের আয়োজক এখনও ঠিক হয়নি। কিন্তু এখন থেকেই আশার প্রহর গুনছে কাতার।