অনেক আগে থেকেই চুল-দাড়ি, নখ কাটা, পেন্সিল ছোলাসহ নানা কাজে ব্লেড ব্যবহার হয়ে আসছে।কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, যে সংস্থাই ব্লেড তেরি করুন না কেন, ব্লেডের আকার একই হচ্চে? এর কারণ কি?
এই কারণ জানতে গেলে জেনে নিতে হবে ব্লেড তৈরির ইতিহাস। ১৯০১ সালে আমেরিকায় ব্যবসা শুরু করে ব্লেড প্রস্তুতকারী সংস্থা জিলেট। ১৯০৪ সালে এই সংস্থার তৈরি ‘কিং ক্যাম্প’ বিভাগের ব্লেড বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
এর পর ব্লেডের ব্যবসায় আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি জিলেটকে। আধুনিক যুগে সারা পৃথিবী জুড়ে অনেক সংস্থাই সাধারণ কাজে ব্যবহারের জন্য ব্লেড প্রস্তুত করে। কিন্তু প্রত্যেকেই ওই পুরনো নকশা মেনেই তৈরি করেন ব্লেড।
জিলেটের পুরনো নকশার ব্লেড প্রস্তুতের ইতিহাসের দিকে চোখ রাখলে জানা যায়, তৎকালীন সময়ে ব্লেডের সঙ্গে রেজারের হাতল আটকানোর জন্য যে স্ক্র ও নাট-বল্টু ব্যবহৃত হত, তার মাপ ও আকৃতি মেনে এবং ব্লেডকে রেজারের সঙ্গে আটকে রাখার ক্ষমতার কথা মাথায় রেখেই ব্লেডের নকশা প্রথম তৈরি হয়।
চুল-দাড়ি কাটা ছাড়াও গৃহস্থালীর অন্যান্য কাজেও ব্যবহৃত হতে থাকে এই নকশার ব্লেড। মানুষ এতেই অভ্যস্ত হয়ে যান। ব্লেডের এই আকার বিশ্ব জুড়ে বিপুল জনপ্রিয় হয়। এর ফলে পরবর্তী কালে ব্লেডের নকশা মেনে তৈরি হতে থাকে নানা নকশার রেজার।
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্ক্র, নাট-বল্টুর নানা সংস্করণ বাজারে এলেও সেগুলিকে কারিগরি দক্ষতায় ব্লেডের আকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাজারজাত করা শুরু হয়।
আজকাল শেভিং ব্লেড হিসাবে নতুন কিছু প্রযুক্তির ব্লেড বাজারে এলেও পুরনো ব্লেড ব্যবহার করেন পৃথিবীর অনেক মানুষ। তাদের কথা মাথায় রেখে ১০০ বছর পরেও ব্লেডের নকশায় বদল আনেনি কোনও সংস্থা। বরং আধুনিক পছন্দকে মাথায় রেখে নতুন নকশার রেজার ও ব্লেড বাজারজাত করেছে। তবু পুরনো ব্লেডের নকশায় হাত পড়েনি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার