স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও এর অধীন একটি দপ্তরের ১০ কর্মকর্তার প্রস্তাবিত ইউরোপ সফর নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। তারা আদতে কী করতে যাচ্ছেন- তা জানতে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে ফ্রান্স ও সুইডেন সরকার। কূটনৈতিক চ্যানেলেও এ নিয়ে কোয়ারি চলছে। চিঠি চালাচালি হয়েছে। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত কোয়ারির বিষয়টি স্বীকার করেছেন, তবে তারা এ নিয়ে খোলাসা করে কিছু বলতে রাজি হননি। তারা এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত সফরটির কথা অস্বীকার করেনি। তবে তারা বলছে, বর্তমানে এটি স্থগিত অবস্থায় আছে।
কারণ হিসেবে তারা কোভিড সংক্রমণের বিধিনিষেধকে সামনে আনছেন। সফর প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত একজনের দাবি করোনার কারণে সফরটি আয়োজনে বিলম্ব হচ্ছে।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রের দাবি, সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল হেলথ্ ইনস্টিটিউট ও ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউটের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার নিমিত্তে অভিজ্ঞতা ও ধারণা বিনিময়। প্রাথমিক পরিকল্পনা মতে, গত ২৭শে নভেম্বর থেকে ৪ঠা ডিসেম্বরের মধ্যে সফরটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। যার সম্পূর্ণ খরচ বহন করছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন বিভাগ। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে মার্চের শুরুতে সফরটি হবে এমন আভাস দেয়া হয়েছে। সফরে অংশগ্রহণকারীর তালিকায় রয়েছেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহ আলম, যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবদুস সালাম খান, মো. শহীদুজ্জামান, উপ-সচিব শামীমা খন্দকার, মুগদা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. আহমেদুল কবীর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. কাজী আফজালুর রহমান, পরিচালক (শৃঙ্খলা) ডা. পার্থ সারথী দত্ত, পরিচালক (দন্ত) ডা. মোশাররফ হোসেন খন্দকার, চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার ডা. মুজতাহিদ মোহাম্মদ হোসেন ও ডা. মো. রাজিব আল আমিন। গত ২৮শে নভেম্বর এই দশজনের বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছিল। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের অধীনে এই সফরের ব্যবস্থা করেছে সিয়াম হেলথ্ কেয়ার কোম্পানি নামের থাইল্যান্ডভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা অফিসের দায়িত্বে রয়েছেন ডা. মনিরুল ইসলাম খান। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এই ভিজিট স্থগিতের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত কোভিড সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ভিজিটটি আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। গত বছর নভেম্বরে ভিজিটে অংশগ্রহণকারীদের জন্য জিও ইস্যু করেছিল মন্ত্রণালয়। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক অনুশীলনে সিমুলেশন প্রক্রিয়া অনুসরণ।