আলামত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের!

বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও দীর্ঘ যুদ্ধের সূতিকাগার ইউরোপ। এর মধ্যে ইউরোপে সৃষ্টি গত শতাব্দীতে দুটো বিশ্বযুদ্ধও দেখেছে বিশ্ব। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৭৫ বছর, কোনো বড় যুদ্ধের সৃষ্টি হয়নি এ মহাদেশে। কিন্তু গতকাল বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করেছে। কয়েক মাস ধরে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নানা হুমকি-ধমকি দিয়েও শেষ পর্যন্ত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে থামাতে পারল না। প্রথম দিনেই যুদ্ধের দামামা এমনভাবে বাজিয়েছে রাশিয়া যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধেও নিয়ে যেতে পারে। হবেইবা না কেন, ইউক্রেনে হামলা শুরুর পরই সাতসকালে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর যারা এ অভিযানের বিরোধিতা করবে তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেবে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনাকে আত্মসমপর্ণের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

 

এরপরই সকালের দিকে রুশ মিসাইল হামলায় দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ শুরু হয়। মিসাইল হামলায় বিস্ফোরণ হয় গ্যাস স্টেশনে। ইউক্রেনের একাধিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করেও মিসাইল হামলা চালানো হয়। পোডিলস্কে সেনাঘাঁটিতেও হামলা চালানো হয়েছে। মোটের ওপর সকাল থেকেই রাশিয়া ইউক্রেনে একের পর এক মিসাইল হামলা চালায়। হামলার কিছু পরে অবশ্য প্রত্যাঘাত শুরু করে ইউক্রেনও। রুশ বিমান প্রতিহত করার চেষ্টা শুরু হয়। একের পর এক অ্যান্টি এয়ার ক্র্যাফট মিসাইল ছোড়ে ইউক্রেন। তার জেরেই নাকি একটি হেলিকপ্টারসহ রাশিয়ার পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। তবে এ যুদ্ধে প্রথম দিন ঠিক কত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে ইউক্রেন দাবি করেছে তারা গতকাল ৫০ জন রুশ সেনাকে হত্যা করেছে।

হামলার পর যা বলছেন বিশ্ব নেতারা : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য করেছেন- রাশিয়া কোনো উসকানি ছাড়া অন্যায্যভাবে ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন যে, তিনি ‘যুদ্ধ’ করবেন। আর এর ফল ভয়ঙ্কর হবে। প্রচুর মানুষ মারা যাবেন। অসংখ্য মানুষ দুর্দশার মধ্যে পড়বেন। আর এ মৃত্যু ও ধ্বংসের দায় নিতে হবে রাশিয়াকেই। বাইডেন বলেছেন, আমেরিকা ও তার শরিক ও সহযোগীরা এক হয়ে নির্ণায়ক প্রতিক্রিয়া জানাবে। গোটা বিশ্ব এ বিপর্যয়ের জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করবে। বাইডেন বলেছেন, আমি হোয়াইট হাউসে বসে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। আমার জাতীয় সুরক্ষা টিমের কাছ থেকে নিয়মিত আপডেট পাচ্ছি। আমি জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে মিলিত হব। তারপর আমি আমেরিকার নাগরিকদের কাছে আমার কথা বলব। পরবর্তী ঘোষণা করব।’ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতারা। তারা বলেছেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে মস্কোর বিরুদ্ধে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের ‘অযৌক্তিক এবং স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করে এর নিন্দা জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘বিনা উসকানিতে’ এ হামলার ঘটনায় আমি ‘শঙ্কিত’ এবং ব্রিটেন এর জবাব দেবে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি বলেন, এ হামলার ঘটনা অন্যায় এবং অযৌক্তিক। ঐক্য ও সংকল্পবদ্ধ হয়ে ইউরোপ ও ন্যাটোর মিত্রদের সঙ্গে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য আমরা কাজ করছি। অপরদিকে পোল্যান্ড সরকারের মুখপাত্র পিওতর মুলার বলেন, এখন পূর্বাঞ্চলে ন্যাটোর শক্তিবৃদ্ধির সময়। আমরা আশা করি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

এদিকে ন্যাটোর আরেক সদস্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ প্রত্যাখান করেছেন। এটাকে তিনি ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। এরদোগান বলেন, এটা আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী। তুর্কি প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে রুশ আক্রমণকে ‘আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতায় চপেটাঘাত’ বলে মন্তব্য করেন। এরদোগান বলেন, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। এ টেলিফোন আলাপে তিনি ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখ তায় সমর্থন জানিয়েছেন। এরদোগান বলেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়কে আমরা বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে দেখি। দেশ দুটির এমন মুখোমুখি হওয়া দুঃখজনক।

 

কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেবে ইইউ : ইউক্রেইনে ‘বর্বরোচিত’ হামলার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘নতুন ও কঠোর’ নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গতকাল শেষের দিকে এক জরুরি বৈঠকে বসার কথা জোটের নেতারা।

ইইউ প্রধান উরসুলা ফন ডার লেইন বলেছেন, ইউরোপে যুদ্ধ ফেরানোর জন্য দায়ী প্রেসিডেন্ট পুতিন। ইইউ তাকে এর জন্য দায়ী করবে।

 

রাশিয়ার প্রধান প্রযুক্তিখাত এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রগুলোকে নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা রাশিয়ার অর্থনৈতিক ভিত্তি এবং তার আধুনিকীকরণের ক্ষমতা দুর্বল করব। আমরা ইইউতে রাশিয়ান সম্পদ জব্দ করব এবং ইউরোপের বাজারে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোর প্রবেশ বন্ধ করব।

 

ব্রিটিশ জুনিয়র পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলিও বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেবে তা হবে ‘নজিরবিহীন’।

 

লিথুয়ানিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি : ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর লিথুয়ানিয়ায় দুই সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট গিতানাস নাউসেদা। তবে বিষয়টি পার্লামেন্টে পাস হতে হবে। বেলারুশ ও রাশিয়ায় বিপুল সৈন্য সমাবেশের প্রেক্ষিতে ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোকে সীমান্তে সৈন্য মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের শাসনে থাকা লিথুয়ানিয়া এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য, সামরিক জোট ন্যাটোতেও তারা আছে। দেশটির সীমান্ত রয়েছে বেলারুশের সঙ্গে। বেলারুশ থেকেও ইউক্রেনে আক্রমণ করছে রাশিয়া। রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার মধ্যবর্তী একটি ছিটমহল। বিবিসি, সিএনএন, এএফপি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিডিএস বাস্তবায়িত হলে ম্যাপ সংযুক্ত মালিকানা ভিত্তিক খতিয়ান চালু করা সম্ভব হবে – ভূমিমন্ত্রী

» বিএটি বাংলাদেশের ৫১তম এজিএম অনুষ্ঠিত

» ইসলামপুরে কৃষকরা পেল উন্নত মানের বীজ

» ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সাথে ব্র্যাক ব্যাংকের কাস্টোডিয়াল সার্ভিস চুক্তি

» এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিল”এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠিত

» ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি

» ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার ২২ গ্রাম বিধ্বস্ত

» প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আগামীকাল

» আইপিইউর এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেন স্পিকার

» এক শহরের মধ্যে দুই দেশ

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

আলামত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের!

বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও দীর্ঘ যুদ্ধের সূতিকাগার ইউরোপ। এর মধ্যে ইউরোপে সৃষ্টি গত শতাব্দীতে দুটো বিশ্বযুদ্ধও দেখেছে বিশ্ব। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৭৫ বছর, কোনো বড় যুদ্ধের সৃষ্টি হয়নি এ মহাদেশে। কিন্তু গতকাল বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করেছে। কয়েক মাস ধরে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নানা হুমকি-ধমকি দিয়েও শেষ পর্যন্ত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে থামাতে পারল না। প্রথম দিনেই যুদ্ধের দামামা এমনভাবে বাজিয়েছে রাশিয়া যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধেও নিয়ে যেতে পারে। হবেইবা না কেন, ইউক্রেনে হামলা শুরুর পরই সাতসকালে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর যারা এ অভিযানের বিরোধিতা করবে তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেবে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনাকে আত্মসমপর্ণের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

 

এরপরই সকালের দিকে রুশ মিসাইল হামলায় দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ শুরু হয়। মিসাইল হামলায় বিস্ফোরণ হয় গ্যাস স্টেশনে। ইউক্রেনের একাধিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করেও মিসাইল হামলা চালানো হয়। পোডিলস্কে সেনাঘাঁটিতেও হামলা চালানো হয়েছে। মোটের ওপর সকাল থেকেই রাশিয়া ইউক্রেনে একের পর এক মিসাইল হামলা চালায়। হামলার কিছু পরে অবশ্য প্রত্যাঘাত শুরু করে ইউক্রেনও। রুশ বিমান প্রতিহত করার চেষ্টা শুরু হয়। একের পর এক অ্যান্টি এয়ার ক্র্যাফট মিসাইল ছোড়ে ইউক্রেন। তার জেরেই নাকি একটি হেলিকপ্টারসহ রাশিয়ার পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। তবে এ যুদ্ধে প্রথম দিন ঠিক কত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে ইউক্রেন দাবি করেছে তারা গতকাল ৫০ জন রুশ সেনাকে হত্যা করেছে।

হামলার পর যা বলছেন বিশ্ব নেতারা : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য করেছেন- রাশিয়া কোনো উসকানি ছাড়া অন্যায্যভাবে ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন যে, তিনি ‘যুদ্ধ’ করবেন। আর এর ফল ভয়ঙ্কর হবে। প্রচুর মানুষ মারা যাবেন। অসংখ্য মানুষ দুর্দশার মধ্যে পড়বেন। আর এ মৃত্যু ও ধ্বংসের দায় নিতে হবে রাশিয়াকেই। বাইডেন বলেছেন, আমেরিকা ও তার শরিক ও সহযোগীরা এক হয়ে নির্ণায়ক প্রতিক্রিয়া জানাবে। গোটা বিশ্ব এ বিপর্যয়ের জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করবে। বাইডেন বলেছেন, আমি হোয়াইট হাউসে বসে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। আমার জাতীয় সুরক্ষা টিমের কাছ থেকে নিয়মিত আপডেট পাচ্ছি। আমি জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে মিলিত হব। তারপর আমি আমেরিকার নাগরিকদের কাছে আমার কথা বলব। পরবর্তী ঘোষণা করব।’ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতারা। তারা বলেছেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে মস্কোর বিরুদ্ধে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের ‘অযৌক্তিক এবং স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করে এর নিন্দা জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘বিনা উসকানিতে’ এ হামলার ঘটনায় আমি ‘শঙ্কিত’ এবং ব্রিটেন এর জবাব দেবে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি বলেন, এ হামলার ঘটনা অন্যায় এবং অযৌক্তিক। ঐক্য ও সংকল্পবদ্ধ হয়ে ইউরোপ ও ন্যাটোর মিত্রদের সঙ্গে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য আমরা কাজ করছি। অপরদিকে পোল্যান্ড সরকারের মুখপাত্র পিওতর মুলার বলেন, এখন পূর্বাঞ্চলে ন্যাটোর শক্তিবৃদ্ধির সময়। আমরা আশা করি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

এদিকে ন্যাটোর আরেক সদস্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ প্রত্যাখান করেছেন। এটাকে তিনি ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। এরদোগান বলেন, এটা আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী। তুর্কি প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে রুশ আক্রমণকে ‘আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতায় চপেটাঘাত’ বলে মন্তব্য করেন। এরদোগান বলেন, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। এ টেলিফোন আলাপে তিনি ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখ তায় সমর্থন জানিয়েছেন। এরদোগান বলেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়কে আমরা বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে দেখি। দেশ দুটির এমন মুখোমুখি হওয়া দুঃখজনক।

 

কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেবে ইইউ : ইউক্রেইনে ‘বর্বরোচিত’ হামলার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘নতুন ও কঠোর’ নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গতকাল শেষের দিকে এক জরুরি বৈঠকে বসার কথা জোটের নেতারা।

ইইউ প্রধান উরসুলা ফন ডার লেইন বলেছেন, ইউরোপে যুদ্ধ ফেরানোর জন্য দায়ী প্রেসিডেন্ট পুতিন। ইইউ তাকে এর জন্য দায়ী করবে।

 

রাশিয়ার প্রধান প্রযুক্তিখাত এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রগুলোকে নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা রাশিয়ার অর্থনৈতিক ভিত্তি এবং তার আধুনিকীকরণের ক্ষমতা দুর্বল করব। আমরা ইইউতে রাশিয়ান সম্পদ জব্দ করব এবং ইউরোপের বাজারে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোর প্রবেশ বন্ধ করব।

 

ব্রিটিশ জুনিয়র পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলিও বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেবে তা হবে ‘নজিরবিহীন’।

 

লিথুয়ানিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি : ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর লিথুয়ানিয়ায় দুই সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট গিতানাস নাউসেদা। তবে বিষয়টি পার্লামেন্টে পাস হতে হবে। বেলারুশ ও রাশিয়ায় বিপুল সৈন্য সমাবেশের প্রেক্ষিতে ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোকে সীমান্তে সৈন্য মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের শাসনে থাকা লিথুয়ানিয়া এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য, সামরিক জোট ন্যাটোতেও তারা আছে। দেশটির সীমান্ত রয়েছে বেলারুশের সঙ্গে। বেলারুশ থেকেও ইউক্রেনে আক্রমণ করছে রাশিয়া। রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার মধ্যবর্তী একটি ছিটমহল। বিবিসি, সিএনএন, এএফপি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com