আবারো বাঁধে ফাটল ঘুম নেই হাওরের কৃষকের

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে আগাম বন্যায় কপাল পুড়ছে কৃষকের। ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে কৃষকের স্বপ্ন এখন তলিয়ে গেছে পানির নিচে। হুড়ামন্দিরা, চাপতি, নলুয়ার পাড়ে এখন কান্নার রোল। এরই মধ্যে হাওরের বিভিন্ন পয়েন্টে পানির তোড়ে আরও ফাটল দেখা দিয়েছে। কৃষকের ঘুম নেই। খাওয়া নেই। নাওয়া নেই। যেটুকু ফসল বাকি আছে তা বাঁচাতে রাতদিন খাঁটছে পুরো পরিবার।

ঝিলকার, কালিয়াগুটা, বরাম, টাংনি, উদগল, দাভাঙ্গা, বাদালিয়া, ছায়া, কাইছমা হাওরপাড়ে এখন শুধু ভয় আর আতঙ্ক।
মোশাহিদ আহমদ, দিরাই (সুনামগঞ্জ) থেকে জানান, বাঁধ ভেঙে ইতিমধ্যেই চাপতি, হুরামন্দিরা হাওরের ফসল তলিয়ে গেছে। কালিয়াগুটা, বরাম, টাংনি, উদগল, দাভাঙ্গা, বাদালিয়া, ছায়া, কাইছমা হাওরসহ ছোট ছোট বন্দগুলোতে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। চড়া সুদে আনা টাকা দিয়ে ফলানো ফসল ঘরে তুলতে প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। শুধু দিনের বেলায়ই নয়। ফসল হারানোর ভয়ে অনেকে রাতেও ধান কাটছেন। দিরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দিরাই উপজেলার ছোট-বড় ১০টি হাওর ও হাওর সংলগ্ন কয়েকটি বন্দে এ বছর ৩০ হাজার ১১০ হেক্টর বোরো চাষ হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে ইতিমধ্যে তলিয়ে ফসলহানি ঘটেছে চাপতি ও হুরামন্দিরা হাওরের। কৃষি বিভাগের হিসাব মতে, ওই দুই হাওর ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। তবে কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষি বিভাগের দেয়া এ ক্ষয়ক্ষতির তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। চাপতির হাওরের কৃষক রায়হান মিয়া বলেন, আমি প্রায় ২০ একর জমি চাষ করেছিলাম। চাপতির হাওরে কোনো কৃষকই ধান কাটা শুরুই করতে পারেননি। ঢলের পানি প্রথম ধাক্কায় বাঁধ ভেঙে কাঁচা ফসলসহ হাওর তলিয়ে যায়। এরপর গত রোববার রাতে দ্বিতীয় দফা ঢলের পানি বাঁধ রক্ষায় স্থানীয়দের প্রাণান্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে জগদল ইউনিয়নের সাতবিলা বেড়িবাঁধ ভেঙে হুরামন্দিরা হাওরে প্রবেশ করে। ১ হাজার ৫০ হেক্টর আবাদি জমি রাতের মধ্যেই পুরো তলিয়ে হাজারো কৃষকের সারা বছরের স্বপ্ন নিঃশেষ হয়ে যায়। হুরামন্দিরার কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, হুরামন্দিরায় সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা কেন প্রকৃত তথ্য লুকাতে চায় সেটাই বুঝি না। আমার যাই গেছে সেটা তো সরকার আর ফিরিয়ে দেবে না।
এদিকে শংকর রায়, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে জানান, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় নলুয়ার হাওরসহ ছোট বড় কয়েকটি হাওরের ছয়টি ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে কমপক্ষে আরও ১০ বেড়িবাঁধ। সূত্র জানায়, উপজেলার প্রধান হাওর নলুয়ার হাওরের বেতাউকা গ্রামের পাশে ১৪নং প্রকল্প রোববার রাতে মাটি ধসে যায়। সোমবার সকাল থেকে বাঁধটি রক্ষায় কাজ চলছে। একইভাবে নলুয়ার হাওরের ডুমাইখালি এলাকার ৮ ও ৯নং  প্রকল্পের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধে রোববার রাতে ফাটল দেখা দিলে নলুয়ার হাওরে ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল হুমকিতে পড়ে। অপরদিকে রোববার রাতে সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের ঝিলকার হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিলে কৃষকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। পরে স্থানীয় মসজিদের মাইকে বেড়িবাঁধ রক্ষার  আহ্বান জানালে আশেপাশের কয়েক গ্রামের গ্রামের দুই শতাধিক মানুষ এসে বাঁধ রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেন। সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসান বলেন, ঝিলকার হাওরের বাঁধ ফাটলের খবর পেয়ে লোকজন নিয়ে সারারাত চেষ্টা করে বাঁধটি ঠিকিয়ে রাখা হয়। মঙ্গলবার ভোররাতে সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের তেঘরিয়ার হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ ফাটল দেখা দেয়। এলাকার লোকজন প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জগন্নাথপুর পৌর এলাকা শাহপুর বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে কৃষকরা বাঁধটি রক্ষা করতে সোমবার থেকে কাজ করছেন। মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরিন জানান, মিরপুর ইউনিয়নের অন্যতম বৃহৎ হাওর জামাইকাটা হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। এলাকার লোকজনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বাঁধটি রক্ষা পায়। নলুয়ার হাওর বেষ্টিত চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, নলুয়ার হাওরের কমপক্ষে ১০টি ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ এখনো ঝুঁকিতে রয়েছে। হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে নির্মিত ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কমপক্ষে ১০টি বাঁধ এখনো ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা সরজমিনে বেড়িবাঁধগুলো ঘুরে দেখছি, নলুয়ার হাওরের ৫ থেকে ১৪নং প্রকল্পের সব ক’টি বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, উপজেলার ছোট বড় ১৫ হাওরে এবার ২১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। তারমধ্যে এখনো ১০-১২ হেক্টর জমির ফসল হুমকিতে রয়েছে। তবে দ্রুত ধানকাটা চলছে বলে তিনি জানান। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, ফাটল ও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সূএ: মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিশ্ববিদ্যালয়ে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের তাগিদ রাষ্ট্রপতির

» অনলাইন নিউজপোর্টালের বিজ্ঞাপন নীতিমালা শিগগিরই: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

» চিড়িয়াখানায় হাতির আক্রমণে মৃত্যু, নিহতের পরিবারের পাশে এমপি নিখিল

» লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ৩ পদে ১৬ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল 

» দীর্ঘ ২৭ বছর পর বাড়ি ফিরলেও আশাহত শাহীদা

» হত্যা মামলার ৬ পলাতক আসামিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার

» সরকারের অব্যবস্থাপনায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে: মির্জা ফখরুল

» উচ্ছেদ নিয়ে ব্যবসায়ীরা মিথ্যা বলছে : বঙ্গবাজার মালিক সমিতি

» বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দর্জির মৃত্যু

» তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল করার তৎপরতা চলছে: হানিফ

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

আবারো বাঁধে ফাটল ঘুম নেই হাওরের কৃষকের

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে আগাম বন্যায় কপাল পুড়ছে কৃষকের। ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে কৃষকের স্বপ্ন এখন তলিয়ে গেছে পানির নিচে। হুড়ামন্দিরা, চাপতি, নলুয়ার পাড়ে এখন কান্নার রোল। এরই মধ্যে হাওরের বিভিন্ন পয়েন্টে পানির তোড়ে আরও ফাটল দেখা দিয়েছে। কৃষকের ঘুম নেই। খাওয়া নেই। নাওয়া নেই। যেটুকু ফসল বাকি আছে তা বাঁচাতে রাতদিন খাঁটছে পুরো পরিবার।

ঝিলকার, কালিয়াগুটা, বরাম, টাংনি, উদগল, দাভাঙ্গা, বাদালিয়া, ছায়া, কাইছমা হাওরপাড়ে এখন শুধু ভয় আর আতঙ্ক।
মোশাহিদ আহমদ, দিরাই (সুনামগঞ্জ) থেকে জানান, বাঁধ ভেঙে ইতিমধ্যেই চাপতি, হুরামন্দিরা হাওরের ফসল তলিয়ে গেছে। কালিয়াগুটা, বরাম, টাংনি, উদগল, দাভাঙ্গা, বাদালিয়া, ছায়া, কাইছমা হাওরসহ ছোট ছোট বন্দগুলোতে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। চড়া সুদে আনা টাকা দিয়ে ফলানো ফসল ঘরে তুলতে প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। শুধু দিনের বেলায়ই নয়। ফসল হারানোর ভয়ে অনেকে রাতেও ধান কাটছেন। দিরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দিরাই উপজেলার ছোট-বড় ১০টি হাওর ও হাওর সংলগ্ন কয়েকটি বন্দে এ বছর ৩০ হাজার ১১০ হেক্টর বোরো চাষ হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে ইতিমধ্যে তলিয়ে ফসলহানি ঘটেছে চাপতি ও হুরামন্দিরা হাওরের। কৃষি বিভাগের হিসাব মতে, ওই দুই হাওর ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। তবে কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষি বিভাগের দেয়া এ ক্ষয়ক্ষতির তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। চাপতির হাওরের কৃষক রায়হান মিয়া বলেন, আমি প্রায় ২০ একর জমি চাষ করেছিলাম। চাপতির হাওরে কোনো কৃষকই ধান কাটা শুরুই করতে পারেননি। ঢলের পানি প্রথম ধাক্কায় বাঁধ ভেঙে কাঁচা ফসলসহ হাওর তলিয়ে যায়। এরপর গত রোববার রাতে দ্বিতীয় দফা ঢলের পানি বাঁধ রক্ষায় স্থানীয়দের প্রাণান্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে জগদল ইউনিয়নের সাতবিলা বেড়িবাঁধ ভেঙে হুরামন্দিরা হাওরে প্রবেশ করে। ১ হাজার ৫০ হেক্টর আবাদি জমি রাতের মধ্যেই পুরো তলিয়ে হাজারো কৃষকের সারা বছরের স্বপ্ন নিঃশেষ হয়ে যায়। হুরামন্দিরার কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, হুরামন্দিরায় সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা কেন প্রকৃত তথ্য লুকাতে চায় সেটাই বুঝি না। আমার যাই গেছে সেটা তো সরকার আর ফিরিয়ে দেবে না।
এদিকে শংকর রায়, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে জানান, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় নলুয়ার হাওরসহ ছোট বড় কয়েকটি হাওরের ছয়টি ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে কমপক্ষে আরও ১০ বেড়িবাঁধ। সূত্র জানায়, উপজেলার প্রধান হাওর নলুয়ার হাওরের বেতাউকা গ্রামের পাশে ১৪নং প্রকল্প রোববার রাতে মাটি ধসে যায়। সোমবার সকাল থেকে বাঁধটি রক্ষায় কাজ চলছে। একইভাবে নলুয়ার হাওরের ডুমাইখালি এলাকার ৮ ও ৯নং  প্রকল্পের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধে রোববার রাতে ফাটল দেখা দিলে নলুয়ার হাওরে ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল হুমকিতে পড়ে। অপরদিকে রোববার রাতে সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের ঝিলকার হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিলে কৃষকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। পরে স্থানীয় মসজিদের মাইকে বেড়িবাঁধ রক্ষার  আহ্বান জানালে আশেপাশের কয়েক গ্রামের গ্রামের দুই শতাধিক মানুষ এসে বাঁধ রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেন। সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসান বলেন, ঝিলকার হাওরের বাঁধ ফাটলের খবর পেয়ে লোকজন নিয়ে সারারাত চেষ্টা করে বাঁধটি ঠিকিয়ে রাখা হয়। মঙ্গলবার ভোররাতে সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের তেঘরিয়ার হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ ফাটল দেখা দেয়। এলাকার লোকজন প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জগন্নাথপুর পৌর এলাকা শাহপুর বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে কৃষকরা বাঁধটি রক্ষা করতে সোমবার থেকে কাজ করছেন। মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরিন জানান, মিরপুর ইউনিয়নের অন্যতম বৃহৎ হাওর জামাইকাটা হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। এলাকার লোকজনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বাঁধটি রক্ষা পায়। নলুয়ার হাওর বেষ্টিত চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, নলুয়ার হাওরের কমপক্ষে ১০টি ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ এখনো ঝুঁকিতে রয়েছে। হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে নির্মিত ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কমপক্ষে ১০টি বাঁধ এখনো ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা সরজমিনে বেড়িবাঁধগুলো ঘুরে দেখছি, নলুয়ার হাওরের ৫ থেকে ১৪নং প্রকল্পের সব ক’টি বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, উপজেলার ছোট বড় ১৫ হাওরে এবার ২১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। তারমধ্যে এখনো ১০-১২ হেক্টর জমির ফসল হুমকিতে রয়েছে। তবে দ্রুত ধানকাটা চলছে বলে তিনি জানান। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, ফাটল ও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সূএ: মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com