বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের স্মরণে আলোচনা সভা করতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের ১২ নেতাকর্মী। আহতরা হলেন—ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, নাজির, হাসিব, আকরাম, শাকিল, তরিকুল, মিজান, রাসেল, রাকিব, ইউসুফ এবং আক্তার। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়েও হামলার শিকার হয়েছেন তারা। সেখানে পুলিশের সামনেই ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে স্মরণসভা করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। আবরার ফাহাদ হত্যার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এ স্মরণসভায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। আহতদের ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। এ সময় তারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভিতরে ও সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর আক্রমণ করে। সাংবাদিকরা চিত্র ধারণ করলে তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ ডিলিট করে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিকেল ৫টার দিকে সাতজনকে আটক করে নিয়ে যায় শাহবাগ থানা পুলিশ।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। তা আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত বছরের ৮ ডিসেম্বর ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। তারা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে তিনজন পলাতক। সূএ: রাইজিংবিডি.কম