জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস আজ (২ অক্টোবর)। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ অক্টোবর উৎপাদনশীলতা দিবস ঘোষণার পর বাংলাদেশে ২০১২ সাল থেকে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
এবার ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উৎপাদনশীলতা’ প্রতিপাদ্যে দিবসটি পালিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
জাতীয় পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের শিল্প, কৃষি ও সেবাসহ বিভিন্ন খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোই দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্য। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।
উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেলে শ্রমিকরা বেশি মজুরি পাবেন। মালিকরাও অধিক লাভ পাবেন। ভোক্তারা পাবেন সস্তায় মানসম্মত পণ্য ও সেবা। সর্বোপরি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ফলে সরকারের আয় বাড়বে, শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হবে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন সহজ হবে।
দেশে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারের ১০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা রয়েছে। এর আওতায় প্রতি বছর গড়ে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হারে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অরগানাইজেশন (এনপিও) দেশে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহযোগিতা করার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত দফতর। দিবসটি পালনে এনপিও নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। পাশাপাশি ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে দেশবাসীকে উৎপাদনশীলতা সম্পর্কে বার্তা দেওয়া হবে।