ইউটিউবার হিরক জে দাসের কল্যাণেই মূলত এই খবর সামনে আসে। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই এই ঘটনাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখেছেন এবং ওই দোকানিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। নিজের স্বপ্ন পূরণে অনেকদিন ধরেই একটু একটু করে অর্থ জমিয়েছেন তিনি। অবশেষে তিনি সফলও হয়েছেন।
তার এই ঘটনা অন্যদেরও এই অনুপ্রেরণা দেবে যে, স্বপ্ন পূরণের জন্য আমাদের ধৈর্য্যশীল হতে হবে। চেষ্টা চালিয়ে গেলে সফলতা একদিন না একদিন আসবেই।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তি ভারী বস্তা নিয়ে একটি শোরুমে ঢুকছেন। সে সময় সেখানকার লোকজন কিছুটা অবাক হয়ে যান। পরে জানা যায়, ওই বস্তাভর্তি কয়েন নিয়ে এসেছেন তিনি। এরপর ছোট ছোট ঝুড়িতে ঢেলে কয়েনগুলো গোনা হয়।
ওই শোরুমের ব্যবস্থাপক কংকন দাস বলেন, সেদিন আমার শোরুমের এক কর্মীর কাছ থেকে ফোন আসে। সে জানায়, এক ব্যক্তি স্কুটার কিনতে বস্তাভর্তি কয়েন নিয়ে এসেছেন। আমি এতে কিছুটা অবাক হলেও পরে নিজেকে সামলে নিয়েছি। আমি সিদ্ধান্ত নেই যে, তাকে সহায়তা করব। ওই কয়েনগুলো গুনে শেষ করতে আমাদের পাঁচজনের প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে।
তিনি বলেন, সেখানে ২২ হাজার রুপি ছিল। এই টাকা দিয়েই ওই ব্যক্তি তার স্কুটারের ডাউন পেমেন্ট দিয়েছেন। বাকি অর্থ ওই দোকানি কিস্তিতে শোধ করবেন বলে জানানো হয়। কংকন দাস জানিয়েছেন, ওই দোকানির কাছে স্কুটার বিক্রি করতে পেরে তিনি এবং তার শোরুমের অন্যান্য কর্মীরাও বেশ খুশি।,