জার্মানির এক ব্যক্তি অন্তত ৮৭ বার করোনার টিকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। টিকাবিরোধীদের কাছে তিনি টিকার কাগজপত্র বিক্রি করতেন বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছে।

‘ফ্রায়ে প্রেসে’ সংবাদপত্র শুক্রবার জানায়, ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। ৬১ বছর বয়সী ঐ ব্যক্তি জার্মানির পূর্বাঞ্চলের সাক্সোনি ও সাক্সোনি-আনহাল্ট রাজ্যের টিকা কেন্দ্রগুলো থেকে টিকা নেন বলে পত্রিকাটি জানিয়েছে। তবে শুধু সাক্সোনি রাজ্যেই তিনি ৮৭ বার টিকা নিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে তার টিকা নেয়ার সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঐ ব্যক্তি একদিনে সর্বোচ্চ তিনবার টিকা নেন বলে জানা গেছে।

জার্মান রেড ক্রসের মুখপাত্র কাই ক্রানিশ ফ্রায়ে প্রেসেকে জানান, ড্রেসডেন শহরের এক টিকা কেন্দ্রের এক কর্মী ওই ব্যক্তিকে চেনেন বলে সন্দেহ পোষণ করেছিলেন।

টিকার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়ার সময় ঐ ব্যক্তি তার নাম ও জন্মতারিখ দিয়েছিলেন। টিকা কেন্দ্রে তিনি স্বাস্থ্য বিমার কার্ডও দেখাননি।

এ ঘটনায় জার্মানির স্বাস্থ্য খাতের একটি দুর্বলতা উঠে এসেছে। দেশটিতে চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য এখনও পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হয়নি কিংবা কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণ করা যায়নি

ফ্রায়ে প্রেসেকে সাক্সোনি মেডিকেল এসোসিয়েশনের মুখপাত্র ক্নুট ক্যোলার জানান, একটি জাতীয় টিকা নিবন্ধন ব্যবস্থা থাকলে তৎক্ষণাৎ ঘটনাটি ধরা যেত।

জার্মানির ৭৫ শতাংশ মানুষ করোনার পুরো টিকা নিয়েছেন। পশ্চিমা ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় সেটা কম। কারণ স্পেনের ৮৫ শতাংশ, পর্তুগালের ৯১ শতাংশ মানুষ টিকা নিয়েছেন।   সূত্র: ডয়চে ভেলে

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

• »   ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান
• »   আপনি এত সুন্দর ইংরেজি শিখলেন কোথায়?’— লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্পের প্রশ্ন
• »   ইসরায়েলের ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস
• »   ইরানের হামলার ক্ষতি দেখে ইসরায়েলের চক্ষু চড়ক গাছ!
• »   ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর এই প্রথম সৌদির সঙ্গে ইরানের বৈঠক
• »   চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি
• »   সামরিক স্থাপনায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল
• »   ইসরায়েল যুদ্ধ চায়, ইরানও তৈরি
• »   বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
• »   টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের