২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারাদেশের মধ্যে ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী ফেল করেছেন।
রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ফলাফলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সবগুলোই সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের। মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে শূন্যপাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই।
শূন্যপাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বোর্ডে দু’টি, দিনাজপুর বোর্ডে দু’টি ও ময়মনসিংহ বোর্ডে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
করোনার কারণে ২০২০ সালে বিশেষ ব্যবস্থায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই ফলে কোনো শূন্যপাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। আর শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৬৩টি। সেই তুলনায় ২০২১ সালে শতভাগ পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমেছে ৭ হাজার ১২৯টি।
এবার সব বোর্ড মিলিয়ে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। সাধারণ ৯টি বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এছাড়া মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯৬ দশমিক ৫২ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৯৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৯২ দশমিক ৪৩ শতাংশ, রাজশাহী ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৯৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, মাদরাসা বোর্ডে ৯৫ দশমিক ৪৯ ৯২.৮৫ ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া হয় ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৯৯ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশের কথা থাকলেও দেশের বাইরের বিভিন্ন কেন্দ্রের খাতা মূল্যায়নে দেরি হয়।