কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৫ হাজার ১২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় জানে আলম (১৯) নামে এক মাদক পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার (বিজিবিএম) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৫ হতে আনুমানিক ৪০০ মিটার দক্ষিণে আলুগোলা নামক এলাকার লবণ মাঠ দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাবরাং বিওপি হতে একটি চোরাচালান দমন টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে লবণ মাঠের আইলের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর টহলদল ২/৩ জন ব্যক্তিকে নাফনদী পার হয়ে বেড়ীবাঁধ অতিক্রম করে লবণ মাঠের দিকে আসতে দেখে টহলদল উক্ত ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত তাদের দিকে অগ্রসর হয়। তারা দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই তাদের কাছে থাকা ৪টি প্লাস্টিকের পুটলা ফেলে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে বিস্তীর্ণ লবণ মাঠে পালিয়ে যায়। টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে প্লাস্টিকের পুটলা উদ্ধার করে তার ভিতর থেকে ২ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে। তবে কোন পাচারকারী কিংবা তাদের সহযোগীদের আটক করা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপি’র একটি টহলদল দমদমিয়া চেকপোস্টে নিয়মিত যানবাহন তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এসময় টেকনাফ থেকে কক্সবাজারগামী একটি সিএনজি চেকপোস্টে আসলে তা তল্লাশির জন্য থামানো হয়। পরবর্তীতে বিজিবি কে-নাইন এর বিজিডি-১০৬২ সিপাহী ডগ এমি (জার্মান শেফার্ড) ও হ্যান্ডেলার যথারীতি উক্ত সিএনজিটি তল্লাশি শুরু করলে ডগ এমি একজন যাত্রীর হাতে এবং তার গায়ে পরিহিত জামায় ক্রমাগত ঘ্রান নিতে থাকে এবং সন্দেহমূলক আচরণ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে ডগ হ্যান্ডেলার এবং কর্তব্যরত সৈনিক দ্বারা ওই যাত্রীর শরীরে পরিহিত জ্যাকেটের ভিতর অভিনব পদ্ধতিতে লুকায়িত অবস্থায় ২ হাজার ২২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত মাদক পাচারকারী টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের ২৪ নম্বর লেদা ক্যাম্পের ব্লক-ই/৫০ এর বাসিন্দা রহমত উল্লাহর ছেলে জানে আলম (১৯) এর নিকট থেকে ১টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, আটককৃত রোহিঙ্গা মাদক কারবারীকে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট এবং মোবাইল ফোনসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হোয়াইক্যং বিওপি’র একটি টহলদল হোয়াইক্যং চেকপোস্টে নিয়মিত তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় টেকনাফ থেকে ঢাকাগামী একটি বাস চেকপোস্টে আসলে তা থামায়। পরবর্তীতে বাসটি তল্লাশি করে পিছনের সীটের নীচে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা একটি ব্যাগের ভিতর থেকে ২ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তবে ওই সিটের আশেপাশে কোন যাত্রী না থাকায় চোরাকারবারীকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।