কিক অফের বাঁশি, খেলা শুরু। আর তাতেই বাজিমাত করলো কানাডা। শুরুর ১ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে গেল তারা। খেলার মাত্র ২ মিনিটেই আলফানসো ডেভিসের গোলে এগিয়ে গেলো কানাডা।
দোহার খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় ক্রোয়েশিয়া ও কানাডা। গ্রুপ-এফ’এ টুর্নামেন্টের প্রথম জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামে দুই দল। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হবে ম্যাচটি। নিজেদের সেরা ১১ জনকে নিয়েই আজ খেলতে নেমেছে দুই দল।
মরক্কোর বিপক্ষে গোলশুন্য ড্র দিয়ে আসর শুরু করেছিল গত বারের রানার্স-আপ ক্রোয়েশিয়া। অন্যদিকে বেলজিয়ানের কাছে ১-০ গোলে পরাজয়ে টুর্নামেন্টের শুরুটা প্রত্যাশা মাফিক হয়নি ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে খেলতে আসা কানাডার।
অপেক্ষাকৃত সহজ গ্রুপে পড়া এবং চার বছর আগে প্রত্যাশার থেকে বেশী প্রাপ্তি ইউরো ২০২০’এ শেষ ১৬ থেকে বিদায় হওয়া ক্রোয়েশিয়াকে বাড়তি অনুপ্রেরণা দিয়েছিল বিশ্বকাপে। সম্প্রতি উয়েফ নেশন্স লিগে চারটি ম্যাচে জয়ী হয়েছে কোচ জলাটকো ডালিচের দল। এর মধ্যে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে একটি জয় রয়েছে। ডেনমার্ক ও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিয়ে যোগ্য দল হিসেবেই গ্রুপের শীর্ষস্থান দখল করে নেশন্স লিগে ফাইনালে উঠে ক্রোয়েশিয়া।
নেশন্স লিগে দুর্দান্ত ফর্মে থেকে চার দলের ফাইনালে জায়গা করে নেয়া ক্রোয়েটরা সেই আত্মবিশ্বাস অবশ্য কাতারের প্রথম ম্যাচে দেখাতে পারেনি। উজ্জীবিত মরক্কোর সাথে অবশ্য এক পয়েন্ট অর্জনই তাদের সৌভাগ্য ছিল বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। পুরো ম্যাচে লক্ষ্যে মাত্র পাঁচটি শট করতে পেরেছে ক্রোয়েশিয়া। অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার ডিয়ান লোভরেনের কারনে কোন গোল হজম করতে হয়নি।
এদিকে দীর্ঘদিন পর বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে আসা কানাডার মূল ভরসা বায়ার্ন মিউনিখের তারকা আলফোনসো ডেভিসের ১০ মিনিটের পেনাল্টি থিবো কোর্তোয়া রুখে না দিলে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচের চিত্র হয়তো অন্যরকমও হতে পারতো। পেনাল্টির ধাক্কা সামলে ওঠা রবার্তো মার্টিনেজের দলের কাছে পুরো ম্যাচে আর দাঁড়াতেই পারেনি কানাডা।
মিশি বাটশুয়াইয়ের একমাত্র গোলে শেষ পর্যন্ত তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে রেড ডেভিলসরা। জন হার্ডম্যানের দল অবশ্য পরাজয় সত্ত্বেও বেশ কিছু ইতিবাচক দিক এই ম্যাচ থেকে নিজেদের করে নিয়েছে। যদিও এই পরাজয়ে তারা ইতোমধ্যেই গ্রুপের তলানিতে নেমে গেছে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আজকের খেলায় কিছু করতে না পারলেও বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ও হয়তো হয়ে যেতে পারে।
১৯৮৬ আসরে প্রথমবারের মত খেলা কানাডা এনিয়ে বিশ্বকাপের চার ম্যাচে জয়বিহীন ও গোলবিহীন রয়েছে, ইতোমধ্যেই যা একটি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। হার্ডম্যানের দলের এখন একটাই লক্ষ্য এল সালভাদোরের টানা ছয় ম্যাচে পরাজয়ের রেকর্ড স্পর্শ না করা।
বেলজিয়ামের বিপক্ষে ২২বারের প্রচেষ্টায় মাত্র তিনটি শট টার্গের্টে গিয়েছিল, এই জায়গায় হার্ডম্যানকে অবশ্যই কাজ করতে হবে। এই প্রথমবারের মত ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে কানাডা। যে কারনে অপরিচিত একটি দলের সাথে যে ধরনের সতর্কতা প্রয়োজন তার পুরোটাই প্রয়োগ করতে চায় কনকাকাফ অঞ্চলের দলটি।