নারী-পুরুষের মধ্যে ভেদাভেদ এক সময় অনেক বেশি থাকলেও, এখন তা অনেক কমেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদল এসেছে অনেক নিয়মনীতির। তবে সমাজের অনেক কিছু বদলালেও কিছু প্রচলতি ধ্যান ধারণা আজো রয়ে গিয়েছে।
একজন নারীর জীবনের মূল লক্ষ্যই হলো বিয়ে। এই ধারণাটাই আজো মানুষের মনে কুসংস্কারের মতো গেঁথে আছে। কথায় বলে নাকি মেয়েরা কুড়িতেই বুড়ি। আর এই কথাটি বলার একমাত্র কারণ হলো, দেখা যায় এখন ২২ বছর বয়স হলেই মেয়েদের বিয়ে করিয়ে দেওয়ার জন্য নানান দিক থেকে তাদের উপর চাপ আসতে থাকে।
কোনো মেয়ের বয়স একটু বাড়লেই তার নিজের পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব, এমনকি পাড়া প্রতিবেশীরাও তার বিয়ের ব্যাপারে এত ধরনের প্রশ্ন করে যা অনেক সময় অবিবাহিতা মেয়েদের কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ২২ বছর বয়স পেরিয়ে গেলে অবিবাহিত নারীদের কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়-
বাড়ির ভেতরেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই রোজ রোজ মেয়ের বিয়ে না দিতে পারার জন্য বাবা-মাকে হা হুতাশ করতে শোনা যায়। অনেক সময় নিজের বাবা-মাকে এরকম চিন্তা করতে দেখে মেয়েরা নিজেরা নিজেদেরকেই অপরাধী বলে মনে করে।
যদি কখনো কোনো মেয়ে তার কাজের সূত্রে বাইরে যায় তাহলে, চার পাশে লোকজনের বিয়ে হয়, তখনই আইবুড়ো মেয়েদের শুনতে হয় কেন এখনো তার বিয়ে হলো না? যা মেয়েদের কাছে সত্যিই মারাত্মক অস্বস্তির কারণ।
কোনো বিয়ে বাড়িতে অথবা অনুষ্ঠান বাড়িতে অবিবাহিতা মেয়েরা যেতে পারেন না। কারণ সেখানে মনের আনন্দে সেজে গুজে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করা যায়না। সেখানেও একই রকম প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।
আপনার হয়তো একটু বয়স হয়ে গিয়েছে কিন্তু বিয়ে হয়নি, তাই তিনি ঠিক কেমন পোশাক পরবেন তা নিয়েও সবার মধ্যেই একটা দ্বন্দ্ব থাকে। বেশি জমকালো পোশাক পরলে আবার কেউ কেউ তা না পরার জন্য আদেশ দেন তো কেউ আবার কেউ কেউ আবার হাসাহাসিও করে থাকেন।
যদি একটু বয়স বেশি বয়েস হয়ে যায় তাহলে কোনো অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়ে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পরতে হয়, কারণ দেখে খারাপ লাগে যখন সমবয়সীরা এমনকি নিজের থেকে ছোটরাও স্বামী অথবা বয়ফ্রেন্ডের হাত ধরে সেখানে যাচ্ছে অথচ সেখানে তিনি সঙ্গীবিহীন।
২২ বছর হয়ে গেলেও যে নারীর বিয়ে হয়নি তার নিরাপত্তাও অনেক সময় বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কারণ এই একা নারীদের অনেকেই সহজলভ্য মনে করে এবং নানা রকম কুপ্রস্তাব দেন। এমনকি এমনও হয়েছে একা রয়েছেন বলেই অনেক পুরুষের ও শিকার হয়ে যান।
কোনো মেয়ে বিয়ে না করে একা রয়েছেন, এটা শুনলে অনেকেই তাকে ভালো চোখে দেখবেন না এবং একজন অবিবাহিত নারীর সম্পর্কে নানান মিথ্যা দুর্নাম রটানো হয়।