১৬ হাজার নারীর চুলে সাজানো জাদুঘর

গল্পের শুরু ৩৫ বছর আগে, ১৯৭৯ সাল। তুরস্কের কাপ্পাডোসিয়ার অ্যাভনোস শহরের এক তরুণ গালিপ কোরুকু। পেশায় মৃৎশিল্পী। যারা তুরস্ক ভ্রমণ করেছেন তারা হয়তো জানেন, তুরস্কের রাস্তায় এমন অনেক মাটির তৈরি তৈজসপত্রের দোকান দেখা যায়। সেখানে ইচ্ছা হলে আপনিও চাকা ঘুরিয়ে মাটির কিছু একটা বানাতে পারেন। গালিপের দোকানেও এক বিদেশি পর্যটক এসেছিলেন সেদিন।

 

সেই নারী তুরস্কে ছিলেন তিনমাস। এর মধ্যে গালিপের সঙ্গে বেশ ভাব হয়ে যায় তার। এরপর বন্ধুত্ব, সেখান থেকে প্রেম। তবে ভিনদেশে এসে এই তরুণের সঙ্গে প্রেম হলেও বিদেশিনী সেখানে থেকে যেতে পারেননি। তাই যাওয়ার আগে স্মৃতি হিসেবে নিজের এক গোছা চুল কেটে গালিপের দোকানের দেয়ালে ঝুলিয়ে রেখে যান।

nij

সেই থেকেই শুরু। এই শহরে যেই এসেছেন, গল্প শোনার পর তারা গালিপের দোকানে তাদের চুল রেখে আসতেন। একসময় এটি নারীদের চুলের জাদুঘরে পরিণত হয়। বর্তমানে ১৬ হাজার নারীর চুল আছে এই জাদুঘরে। জাদুঘরটিকে বলা হয় হেয়ার মিউজিয়াম।

 

uh7u78

জাদুঘরের দেয়ালে নিজেদের নাম লেখা কাগজের সঙ্গে চুল ঝুলিয়ে রাখেন নারীরা। ১৯৯৮ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পায় জাদুঘরটি। এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ১৫ জাদুঘরের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে আছে গালিপের হেয়ার মিউজিয়াম।

এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠাতা গালিপ কোরুকু। তবে তিনি চেজ গালিপ নামেই বেশি পরিচিত এখন। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এই জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং তাদের চুলের টুকরো এখানে রেখে যান। সঙ্গে থাকে সেই নারীর নাম, ঠিকানা সব কিছুই। মূলত নারীরা সেই অসমাপ্ত প্রেমের স্মৃতিকে সম্মান করতেই তাদের চুল রেখে যান এখানে। জাদুঘরটিতে বছরে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা আসেন। এখানে ঢুকলেই দেখা যায় নানান রঙের চুল ঝুলছে জাদুঘরের দেয়ালে।

nk

জাদুঘরের মালিক এবং প্রতিষ্ঠাতা গালিপ প্রতি বছর পর্যটকদের মধ্যে একটি লটারির আয়োজন করেন। বছরে দু’বার, জুন এবং ডিসেম্বরে গালিপের দোকানে যে প্রথম গ্রাহক আসেন তাকে হেয়ার মিউজিয়ামে আমন্ত্রণ জানানো হয় দেয়াল থেকে ১০ জন বিজয়ী বেছে নেওয়ার জন্য। এই ১০ জন ভাগ্যবানকে বিনামূল্যে কাপ্পাডোসিয়া ভ্রমণের সুযোগ দেন গালিপ।   সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

» মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় এগোতে চায় সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

» দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার হীন প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল

» সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করা হচ্ছে: তারেক রহমান

» স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবন এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ডিএমপি

» ‘১০ ফেরাউনকে একত্রে করলেও হাসিনার মতো জুলুমবাজ হবে না’

» ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি, থমথমে পরিস্থিতি

» সন্দ্বীপের প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়ে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: প্রধান উপদেষ্টা

» ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম নিয়ে বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে : ফারুকী

» সরকার নিয়ন্ত্রিত অভিবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

১৬ হাজার নারীর চুলে সাজানো জাদুঘর

গল্পের শুরু ৩৫ বছর আগে, ১৯৭৯ সাল। তুরস্কের কাপ্পাডোসিয়ার অ্যাভনোস শহরের এক তরুণ গালিপ কোরুকু। পেশায় মৃৎশিল্পী। যারা তুরস্ক ভ্রমণ করেছেন তারা হয়তো জানেন, তুরস্কের রাস্তায় এমন অনেক মাটির তৈরি তৈজসপত্রের দোকান দেখা যায়। সেখানে ইচ্ছা হলে আপনিও চাকা ঘুরিয়ে মাটির কিছু একটা বানাতে পারেন। গালিপের দোকানেও এক বিদেশি পর্যটক এসেছিলেন সেদিন।

 

সেই নারী তুরস্কে ছিলেন তিনমাস। এর মধ্যে গালিপের সঙ্গে বেশ ভাব হয়ে যায় তার। এরপর বন্ধুত্ব, সেখান থেকে প্রেম। তবে ভিনদেশে এসে এই তরুণের সঙ্গে প্রেম হলেও বিদেশিনী সেখানে থেকে যেতে পারেননি। তাই যাওয়ার আগে স্মৃতি হিসেবে নিজের এক গোছা চুল কেটে গালিপের দোকানের দেয়ালে ঝুলিয়ে রেখে যান।

nij

সেই থেকেই শুরু। এই শহরে যেই এসেছেন, গল্প শোনার পর তারা গালিপের দোকানে তাদের চুল রেখে আসতেন। একসময় এটি নারীদের চুলের জাদুঘরে পরিণত হয়। বর্তমানে ১৬ হাজার নারীর চুল আছে এই জাদুঘরে। জাদুঘরটিকে বলা হয় হেয়ার মিউজিয়াম।

 

uh7u78

জাদুঘরের দেয়ালে নিজেদের নাম লেখা কাগজের সঙ্গে চুল ঝুলিয়ে রাখেন নারীরা। ১৯৯৮ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পায় জাদুঘরটি। এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ১৫ জাদুঘরের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে আছে গালিপের হেয়ার মিউজিয়াম।

এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠাতা গালিপ কোরুকু। তবে তিনি চেজ গালিপ নামেই বেশি পরিচিত এখন। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এই জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং তাদের চুলের টুকরো এখানে রেখে যান। সঙ্গে থাকে সেই নারীর নাম, ঠিকানা সব কিছুই। মূলত নারীরা সেই অসমাপ্ত প্রেমের স্মৃতিকে সম্মান করতেই তাদের চুল রেখে যান এখানে। জাদুঘরটিতে বছরে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা আসেন। এখানে ঢুকলেই দেখা যায় নানান রঙের চুল ঝুলছে জাদুঘরের দেয়ালে।

nk

জাদুঘরের মালিক এবং প্রতিষ্ঠাতা গালিপ প্রতি বছর পর্যটকদের মধ্যে একটি লটারির আয়োজন করেন। বছরে দু’বার, জুন এবং ডিসেম্বরে গালিপের দোকানে যে প্রথম গ্রাহক আসেন তাকে হেয়ার মিউজিয়ামে আমন্ত্রণ জানানো হয় দেয়াল থেকে ১০ জন বিজয়ী বেছে নেওয়ার জন্য। এই ১০ জন ভাগ্যবানকে বিনামূল্যে কাপ্পাডোসিয়া ভ্রমণের সুযোগ দেন গালিপ।   সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com