হেলমেট বাহিনী, লুটপাট বাহিনী, আর চাঁদাবাজ বাহিনীকে হালাল করার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, কার নামে মামলা খুঁজে দেখা যাবে মরা মানুষের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কাকে মারে কাকে ধরে সে সকল ফুটেজ নাইবা খুঁজলাম, কিন্তু পুলিশের যারা মামলার আয়ু হন, অন্যায় ভাবে মামলা দেন; তাদের নাম কাটাবেন কি করে। বাংলাদেশে যত মামলা হয়েছে প্রত্যেকটা মামলার আয়ু আছে। তাদের বাড়ি ঘরের ঠিকানা, কিন্তু সকলেই জানে। শেখ হাসিনা চিরকাল নয়। আর কতকাল তা বলতে পারি না, তবে আর মাত্র স্বল্পকাল।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নিউমার্কেটে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও কর্মসূচি আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি।
সরকারের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, দেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে বোকা বানিয়েছে। বিদেশিদেরকে অন্ধ ও বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে। আজকে দেশ বিদেশ সকলেই শেখ হাসিনার এই প্রতারণা বুঝতে সক্ষম হয়েছে। সুতরাং আর নতুন প্রতারণা ধোঁকাবাজির কোনো সুযোগ নেই।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, এই আন্দোলন আমাদের চলমান কখন বেগবান হবে তার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা অনেক সময় পার করেছি দীর্ঘ ১৩/১৪ বছর। আর ১৪ মাসও নয়।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবাদের স্থান জাতীয় প্রেসক্লাব কিন্তু আগামী দিন শুধু প্রেসক্লাব নয়, ঢাকার শহরে অন্তত শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে যেখানে আমাদের প্রতিবাদ ছড়িয়ে দিতে হবে। অলিগলি পাড়া-মহল্লায় সকল জায়গায় প্রতিবাদের ঝড় তুলতে হবে।
গয়েশ্বর বলেন, আমাদের লক্ষ্য অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, আর এটা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে সম্ভব নয়। এই পার্লামেন্ট বাতিল না করলে সম্ভব নয়। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। এটা বিজ্ঞানাগার থেকে শুরু করে সব কিছুতেই পরিচিত। সেই কারণে বিএনপি’র সিদ্ধান্ত এই সরকারের অধীনে কোনো প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি যৌথভাবে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জয়নাল আবেদিন ফারুক, রুহুল কবির রিজভী, মীর সরাফৎ আলী সপু, ইকবাল হোসেন শ্যামল, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহহিয়া, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।