বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে হেরে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি জিততে না পারলেও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে চমক দেখিয়েছেন। গতকাল উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি। পরে বুধবার রাত ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
হিরো আলমের অভিযোগ, ‘সংসদ সদস্য হলে আমাকে স্যার ডাকতে হবে, এ জন্য কিছু শিক্ষিত মানুষ আগে থেকেই আমাকে মানতে পারছিল না। এরাই ফলাফল পাল্টে আমাকে পরাজিত করেছে।’ এদিকে হিরো আলমের নির্বাচন নিয়ে মুখ খুলেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। হিরো আলমের পেজে দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় নুর বলেন, ‘হিরো আলমের নির্বাচন ঘিরে সব জায়গায় শোরগোল পড়েছে। সে একদম প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা একজন লোক। তার উচ্চ শিক্ষা নেই, তেমন অর্থবিত্ত নেই। তিনি বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন, অভিনয় করেছেন। নানা কারণেই তিনি আলোচনায় আছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘পত্র-পত্রিকার আপডেট অনুযায়ী আমরা দেখছিলাম, হিরো আলম নির্বাচনে জিতে যাচ্ছেন। কিন্তু জিতে গিয়েও আবার দেখলাম, তিনি হেরে গেলেন।’ জানা গেছে, বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে ১১২ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে জয়ী মহাজোটের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট। আর একতারা প্রতীক নিয়ে হিরো আলম পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।
ফলাফলের পর হিরো আলম ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আপনারা আশাহত হবেন না। আবারও ভোটের মাঠে নামব। জানা যায়, হিরো আলম বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। দুটি আসনেই পরাজিত হয়েছেন তিনি। এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।