নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক কিশোরীকে (১৬) বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এজাহার নামীয় আসামি প্রেমিকের মা কে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আমেনা (৪০) প্রেমিক মামুনের মা এবং মামলার ৩ নম্বর আসামি।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাতে ভিকটিমের বড় বোন বাদী হয়ে প্রেমিকসহ তার আরও তিনজন স্বজনকে আসামি করে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি দাখিল মাদ্রাসার শির্ক্ষার্থী। গত কয়েক বছর ধরে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত সুবর্ণচরের পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের মামুন (২২)। একপর্যায়ে গত দুই বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের সূত্র ধরে প্রমিক মামুন তিন সহযোগীকে নিয়ে গত এক বছর ধরে বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছিল মামুন। সবশেষ গত ৭ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে পুনঃরায় ধর্ষণের চেষ্টা করে মামুন। ওই সময় কিশোরীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে, মামুন দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি মামুনের পরিবারকে জানালে তারা বিয়ে দিয়ে বিষয়টি সমাধান করবে বলে কালক্ষেপণ করে এবং পরে বিভিন্নভাবে মেয়ের পরিবারকে হুমকি দিতে থাকে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় এজাহার নামীয় আসামি প্রেমিকের মা কে গতকাল মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামিকে বুধবার দুপুরে নোয়াখালী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।