সুনামগঞ্জের দুই উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জগন্নাথপুর উপজেলায় কালবৈশাখীতে এক পরিবারের মা, মেয়ে ও ছেলের এবং শাল্লা উপজেলায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বজ্রপাতে বাবা ও ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
দুটি দুর্ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ও শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুরে ২ নম্বর পাটলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সোলেমানপুরের লন্ডনপ্রবাসী বুলু মিয়ার বাড়িতে কেয়ার টেকার ছিলেন হারুন মিয়া। তিনি টিনশেড ঘরে বাস করতেন। আজ ভোরে কালবৈশাখী শুরু হলে একটি গাবগাছ ও আমগাছ উপড়ে তার ঘরের ওপর পড়ে।
এ সময় ঘরের ভেতর থাকা স্ত্রী মৌসুমা বেগম (৩৫), মেয়ে মাহিমা আক্তার (৪) ও ছেলে মো. হোসাইন (১) গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নারীর স্বামী মো. হারুন মিয়ার চাচাতো ভাই দৈনিক ভোরের কাগজের নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি ম. শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় তার চাচাতো ভাই মসজিদে নামাজ পড়তে যান। পরে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। ঝড় শেষে এসে তিনি এ ঘটনা দেখতে পান।
অন্যদিকে শাল্লা উপজেলার শাল্লা সদর ইউনিয়নের শাল্লা গ্রামে বাসিন্দা মকবুল খাঁ (৪৫) ও তার ছেলে মাসুদ খাঁ (১২) বাড়ির পাশের হাওর থেকে গরুর জন্য খড় আনতে যান। এ সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহন হন তারা।
পরে স্থানীয়রা তাদের হাওর থেকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
শাল্লা থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বাবা-ছেলের মরদেহের সুরতহাল চলছে। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।