সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণ রোধে করণীয়

নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে সিলিন্ডার লিক হচ্ছে কি না। এই পরীক্ষাটি কীভাবে করবেন জেনে নিন।

 

পানিতে সাবানের গুড়া মিশিয়ে ফেনা তৈরি করে নিতে হবে । এই ফেনা রেগুলেটর, হোস পাইপ, বাল্ব ইত্যাদিতে লাগান। যদি কোন স্থানে সাবান পানির ফোটা বড় হতে দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে  ওই স্থানে গ্যাস বের হচ্ছে । তখন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।  সিলিন্ডারে দুর্ঘটনাগুলো মূলত গ্যাসের লিকেজ থেকে ঘটে। হোস পাইপ, রেগুলেটর, গ্যাস বাল্ব ইত্যাদিতে দুর্বলতার কারণে যে কোন সময় গ্যাস লিক হতে পারে। সেই লিকেজ থেকে গ্যাস বের হতে পারে।

সিলিন্ডারের কোনো অংশ লিক হলে বাজে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে খুব দ্রুত।  উৎকট গন্ধ পেলেই সাবধান হয়ে যান। এই সময় কোনো প্রকার আগুন জ্বালানো যাবে না । পাশাপাশি বাসার বিদ্যুৎ লাইনের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে।বাসার সকল দরজা-জানালা খুলে দিতে হবে, যাতে বাতাস যাতায়াত করতে পারে। সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করে সেফটি ক্যাপ লাগান।

 

কীভাবে আগুন নেভাবেন: যদি সিলিন্ডারে আগুন লাগে, আতঙ্কিত না হয়ে নেভানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে। কটি সুতি (কাপড় লুঙ্গি জাতীয় কাপড়) দিয়ে পুরো সিলিন্ডারটি ঢেকে দিন।  আগুন হাতে কিংবা শরীরে লাগবে না। তারপর দ্রুত রেগুলেটর ঘুরিয়ে সিলিন্ডারটি বন্ধ করে ফেলুন । দেখবেন আগুন নিভে যাবে।

 

শরীরে গ্যাস লাগলে: সিলিন্ডারে গ্যাস শরীরের কোথাও লাগে তাহলে ওই স্থান ১৫মিনিট পানি দিয়ে ধুতে হবে। যদি কাপড়ে লাগে তাহলে ওই কাপড় দ্রুত খুলে ফেলতে হবে। চোখে লাগলে পানির ঝাপটা দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে।  কোনভাবে শরীরে আগুন লেগে যায় তাহলে শরীরের সব জামাকাপড় খুলে মাটিতে গড়াগড়ি করতে হবে।

 

রেগুলেটর, পাইপ কেনার সময় সত্যায়িত সার্টিফাইড কোম্পানি কিংবা অনুমোদিত বিক্রেতাদের থেকে কেনা উচিত।

 

সবার আগে দেখতে হবে সিলিন্ডারের গায়ে মেয়াদ দেয়া আছে কিনা।

 

সিলিন্ডারটি টানা হেঁচড়া করে, ধাক্কা দিয়ে, মাটিতে গড়ানো যাবে না।

 

সিলিন্ডার কোনভাবেই চুলার/আগুনের খুব কাছাকাছি রাখা যাবে না। সিলিন্ডারটি লম্বা পাইপের সাহায্যে চুলা থেকে অন্তত তিন ফুট দূরে স্থাপন করতে হবে।

 

জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাসা, বিশেষ করে রান্নাঘরের মধ্যে নিরাপত্তামূলক বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি, যেমন- গ্যাস ডিটেক্টর এবং ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশার কিংবা হাতের কাছে কম্বলের মতো মোটা কাপড় রাখা যেতে পারে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আমাদের সবাইকে সহনশীল হতে হবে : রিজভী

» সাংবাদিকদের সত্য উদ্ঘাটন ও প্রকাশে নির্ভীক হতে হবে: কাদের গনি চৌধুরী

» জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সবাইকে কাজ করার আহ্বান তারেক রহমানের

» ঐকমত্য কমিশনের ১১৩ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত এনসিপি

» প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে চুক্তি নয়, সমঝোতা স্মারক সই হবে

» ‘দারিদ্র্য নিরসনে জাকাত সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা’

» জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মানে সেনাবাহিনীর ইফতার

» নতুন বাংলাদেশ গড়তে সঠিক তথ্য জানতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

» বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় জামালপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের দোয়া মাহফিল

» ডিসি এসপি পরিচয়ে মোবাইল কোর্ট প্রতারক মনির হোসেন জুইস পুলিশের হাতে আটক

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণ রোধে করণীয়

নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে সিলিন্ডার লিক হচ্ছে কি না। এই পরীক্ষাটি কীভাবে করবেন জেনে নিন।

 

পানিতে সাবানের গুড়া মিশিয়ে ফেনা তৈরি করে নিতে হবে । এই ফেনা রেগুলেটর, হোস পাইপ, বাল্ব ইত্যাদিতে লাগান। যদি কোন স্থানে সাবান পানির ফোটা বড় হতে দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে  ওই স্থানে গ্যাস বের হচ্ছে । তখন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।  সিলিন্ডারে দুর্ঘটনাগুলো মূলত গ্যাসের লিকেজ থেকে ঘটে। হোস পাইপ, রেগুলেটর, গ্যাস বাল্ব ইত্যাদিতে দুর্বলতার কারণে যে কোন সময় গ্যাস লিক হতে পারে। সেই লিকেজ থেকে গ্যাস বের হতে পারে।

সিলিন্ডারের কোনো অংশ লিক হলে বাজে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে খুব দ্রুত।  উৎকট গন্ধ পেলেই সাবধান হয়ে যান। এই সময় কোনো প্রকার আগুন জ্বালানো যাবে না । পাশাপাশি বাসার বিদ্যুৎ লাইনের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে।বাসার সকল দরজা-জানালা খুলে দিতে হবে, যাতে বাতাস যাতায়াত করতে পারে। সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করে সেফটি ক্যাপ লাগান।

 

কীভাবে আগুন নেভাবেন: যদি সিলিন্ডারে আগুন লাগে, আতঙ্কিত না হয়ে নেভানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে। কটি সুতি (কাপড় লুঙ্গি জাতীয় কাপড়) দিয়ে পুরো সিলিন্ডারটি ঢেকে দিন।  আগুন হাতে কিংবা শরীরে লাগবে না। তারপর দ্রুত রেগুলেটর ঘুরিয়ে সিলিন্ডারটি বন্ধ করে ফেলুন । দেখবেন আগুন নিভে যাবে।

 

শরীরে গ্যাস লাগলে: সিলিন্ডারে গ্যাস শরীরের কোথাও লাগে তাহলে ওই স্থান ১৫মিনিট পানি দিয়ে ধুতে হবে। যদি কাপড়ে লাগে তাহলে ওই কাপড় দ্রুত খুলে ফেলতে হবে। চোখে লাগলে পানির ঝাপটা দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে।  কোনভাবে শরীরে আগুন লেগে যায় তাহলে শরীরের সব জামাকাপড় খুলে মাটিতে গড়াগড়ি করতে হবে।

 

রেগুলেটর, পাইপ কেনার সময় সত্যায়িত সার্টিফাইড কোম্পানি কিংবা অনুমোদিত বিক্রেতাদের থেকে কেনা উচিত।

 

সবার আগে দেখতে হবে সিলিন্ডারের গায়ে মেয়াদ দেয়া আছে কিনা।

 

সিলিন্ডারটি টানা হেঁচড়া করে, ধাক্কা দিয়ে, মাটিতে গড়ানো যাবে না।

 

সিলিন্ডার কোনভাবেই চুলার/আগুনের খুব কাছাকাছি রাখা যাবে না। সিলিন্ডারটি লম্বা পাইপের সাহায্যে চুলা থেকে অন্তত তিন ফুট দূরে স্থাপন করতে হবে।

 

জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাসা, বিশেষ করে রান্নাঘরের মধ্যে নিরাপত্তামূলক বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি, যেমন- গ্যাস ডিটেক্টর এবং ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশার কিংবা হাতের কাছে কম্বলের মতো মোটা কাপড় রাখা যেতে পারে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com