সাহেদের অর্থপাচার মামলায় চার্জশিট গ্রহণ

প্রায় ৮ কোটি টাকা অর্থপাচার করার অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেছেন আদালত।

 

আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে মামলার চার্জশিট উপস্থাপন করা হয়। আদালত তা দেখে আমলে নেন।

 

এরপর মামলাটির নথি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। উত্তরা পশ্চিম থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

 

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মনিরুজ্জামান আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এ চার্জশিট দাখিল করেন।

 

চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে আসামিরা ৭ কোটি ৯০ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭০ টাকা আত্মসাৎ করে তা বিদেশে অর্থপাচার করেন।

 

চার্জশিটে অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ ও প্রতারণার সহযোগী কাজী রবিউল ইসলাম। এ ছাড়া সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড, রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেড ও রিজেন্ট ডিসকভারি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস লিমিটেড নামে ৩ প্রতিষ্ঠানকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

 

আর সাহেদের বাবা সিরাজুল করিম মারা যাওয়ায় এবং হাসপাতালটির পরিচালক ইব্রাহিম খলিলের নামের কোনো অস্তিত্ব না থাকায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

 

২০২০ সালের ৬ জুলাই উত্তরায় সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ভুয়া করোনা রিপোর্ট জব্দ করে র‌্যাব। একই বছরের ১৫ জুলাই তাকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের হয়।

 

মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের মামলাটি ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করেন সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ইব্রাহিম। এরআগে, অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ঐ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় হয়।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» শেখ হাসিনা দেশকে পঙ্গু করে ভারতের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছিল: কর্নেল অলি

» আবারও দ্রুত নির্বাচনের কথা তুললেন মির্জা ফখরুল

» নামাজ না পড়লে রোজার সওয়াব পাওয়া যাবে?

» ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

» অতীতের ‘বিতর্কিত’ পথে হাঁটতে চায় না ইসি

» রোহিঙ্গা শিবিরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

» নাচতে গিয়ে আহত হৃতিক, সিনেমা মুক্তি কি পেছাবে?

» ধর্ষণকে নির্যাতন হিসেবে অভিহিত করায় ডিএমপি কমিশনারের দুঃখ প্রকাশ

» দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট

» রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৪৪৫ মামলা

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সাহেদের অর্থপাচার মামলায় চার্জশিট গ্রহণ

প্রায় ৮ কোটি টাকা অর্থপাচার করার অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেছেন আদালত।

 

আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে মামলার চার্জশিট উপস্থাপন করা হয়। আদালত তা দেখে আমলে নেন।

 

এরপর মামলাটির নথি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। উত্তরা পশ্চিম থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

 

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মনিরুজ্জামান আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এ চার্জশিট দাখিল করেন।

 

চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে আসামিরা ৭ কোটি ৯০ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭০ টাকা আত্মসাৎ করে তা বিদেশে অর্থপাচার করেন।

 

চার্জশিটে অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ ও প্রতারণার সহযোগী কাজী রবিউল ইসলাম। এ ছাড়া সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড, রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেড ও রিজেন্ট ডিসকভারি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস লিমিটেড নামে ৩ প্রতিষ্ঠানকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

 

আর সাহেদের বাবা সিরাজুল করিম মারা যাওয়ায় এবং হাসপাতালটির পরিচালক ইব্রাহিম খলিলের নামের কোনো অস্তিত্ব না থাকায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

 

২০২০ সালের ৬ জুলাই উত্তরায় সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ভুয়া করোনা রিপোর্ট জব্দ করে র‌্যাব। একই বছরের ১৫ জুলাই তাকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের হয়।

 

মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের মামলাটি ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করেন সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ইব্রাহিম। এরআগে, অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ঐ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় হয়।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com