সার্বিয়ার রাস্তায় মৃত্যুবরণ করা বাংলাদেশি কর্মী বাদল খন্দকারের মরদেহ আগামী শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে দেশে আসছে। বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় তার মরদেহ দেশে আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদল খন্দকারের ভাই সাদ্দাম। তিনি জানান, বাদল খন্দকারের মরদেহ তার নিজ বাড়ি মানিকগঞ্জে দাফন করা হবে।
এর আগে গত ৮ মার্চ বাদল খন্দকারের মৃত্যু নিয়ে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর মৃত বাদল খন্দকারের বিষয়ে খোঁজ নেয়া শুরু করে ইতালির রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। পরিবারের আবেদনে সাড়া দিয়ে মরদেহ দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেয় দূতাবাস।
পরিবারের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, চার মাস আগে মেসার্স নুরজাহান রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে সার্বিয়ায় যান ১৪ বাংলাদেশি কর্মী। সেখানে গিয়ে দেখেন সার্বিয়ান কোম্পানি ‘ভেকা প্লেনা’ বন্ধ হয়ে গেছে। কাজ না পেয়ে হতাশা হয়ে পড়েন তারা। তাদের মধ্যে একজন মানিকগঞ্জের বাদল খন্দকার, যিনি দুশ্চিন্তায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে পথেই মারা যান।
বাদলের মৃত্যুর পর তার মরদেহ দেশে আনার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলো তার পরিবার। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে দেশে মরদেহ আনতে সহায়তা করছে বাংলাদেশ সরকার।