বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক, রাজনীতিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল সেনের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে মারা যান।
নির্মল সেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নির্মল সেন স্কুল অ্যান্ড মহিলা কলেজের উদ্যোগে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় কলেজ চত্বরে নির্মল সেনের ভাতিজা ও সাংবাদিক রতন সেন কংকনের সভাপত্বিতে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রফেসর গৌরঙ্গ লাল চৌধুরী, প্রফেসর কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস, পিঞ্জুরী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক দেবতোষ দে, ছাত্র নেতা রাশেদ চৌধুরী, সাংবাদিক মিজানুর রহমান বুল, সাংবাদিক গৌরঙ্গ দাস। এসময় বক্তারা নির্মল সেনের জীবন দর্শন তুলে ধরেন।
সাংবাদিকতা জগতের উজ্জল নক্ষত্র, বাম রাজনীতির পুরোধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নির্মল সেন ১৯৩০ সালের ৩ আগস্ট কোটালীপাড়ার দিঘীরপাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম সুরেন্দ্রনাথ সেন গুপ্ত ও মায়ের নাম লাবন্য প্রভা সেন গুপ্ত।
নির্মল সেনের রাজনৈতিক জীবন শুরু “ভারত ছাড়ো” আন্দোলনের মাধ্যমে স্কুল জীবন থেকে। কলেজ জীবনে তিনি অনুশীলন সমিতির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আরএসপিতে যোগ দেন। দীর্ঘ দিন তিনি শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতি করতে গিয়ে নির্মল সেনকে জীবনের অনেকটা সময় জেলে কাটাতে হয়েছে।
নির্মল সেন ১৯৫৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে সাংবাদিকতার জীবন শুরু করেন। দৈনিক আজাদ, দৈনিক বাংলা পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
তার লেখা বইয়ের মধ্যে “পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ”, “মানুষ সমাজ রাষ্ট্র”, “বার্লিন থেকে মস্কো”, “মা জন্মভূমি”, “স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই” ও “আমার জবানবন্দী” উল্লেখযোগ্য।