জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, বর্তমান সরকার দীর্ঘ সময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে জনগণের আস্থা হারিয়েছে। আবার বিএনপিকেও দেশের সাধারণ মানুষ পছন্দ করে না। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে একটি তৃতীয় শক্তি প্রত্যাশা করছে। জাতীয় পার্টি সেই তৃতীয় শক্তি হিসেবে নির্বাচনে আবির্ভূত হতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। নির্বাচনী পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার চাইলে আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা দেব।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আদালতের ওপর শ্রদ্ধাশীল। আমরা আদালতের সকল নির্দেশনা মেনেই চলেছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, সংবিধানের কয়েকটি ধারার কারণেই বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতায় ঘাটতি আছে। ওই ধারার কারণে বিচার বিভাগ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় শুধু জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীই নয়, দেশের সাধারণ মানুষও খুশি হয়েছে।
তিনি বলেন, মামলার কারণে স্বাভাবিক রাজনীতিতে কিছুটা বাঁধা এসেছে, কিন্তু আমরা আদালতের সকল নির্দেশনা শ্রদ্ধার সাথে ইতিবাচক ভাবেই নিচ্ছি।
জিএম কাদের বলেন, দেশ থেকে দুর্নীতি, দুঃশাসন, দলবাজি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য দূর করতেই আমরা রাজনীতি করছি। দেশের মানুষ মনে করছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশ পরিচালনায় অনেক বেশি সফলতা অর্জন করেছে। তাই দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে বিকল্প শক্তি হিসেবে দেখতে চায়।
এর আগে গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মধু, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন তোতা, দফতর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান প্রমুখ।