সবজি-তরকারির পাশাপাশি বাজারে বেড়েছে মাছ ও মুরগির মাংসের দাম

শুক্রবার এলেই ধুম পড়ে মাছ-মাংস আর শাকসবজি কেনার। শুক্রবারকেন্দ্রীক বাজারে আসা মানুষের এই চাহিদাকে ঘিরে সবজি-তরকারির পাশাপাশি বাজারে বেড়েছে মাছ ও মুরগির মাংসের দাম। তবে গরু-খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

 

আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাড্ডা ও রামপুরা এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এমন দামের বিষয়ে অকপটে স্বীকার করছেন বিক্রেতারাও।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকায় ও পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। এছাড়া শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা, বোয়াল ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, ছোট টেংরা ৫০০, বড় টেংরা ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ এবং গলদা চিংড়ি ৭০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 

গরুর মাংস আগের মতোই ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে খাসির মাংস ৯০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাছ-মাংসের বাজার-দর নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে নানা অভিযোগ আর ক্ষোভ। তারা বলছেন, শুক্রবার এলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেয়। বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। যদিও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে কেনায় কম দামে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই।

 

মাহমুদ হাসান নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাজারে সবকিছুরই দাম বেশি। মুরগির দামটা একটু কমেছিল, কিন্তু আজকে দেখলাম আবারও বেড়ে গেছে। মাছের দামও বাড়তি।

 

ডিআইটি প্রজেক্টের মাংস বিক্রেতা মো. মনির হোসেন বলেন, মাংসের বাজার-দর দীর্ঘদিন ধরেই স্থিতিশীল। বর্তমানে ৭০০ টাকার নিচে কোথাও গরুর মাংস নেই। কেউ কেউ এর চেয়ে বেশিও বিক্রি করে। কিন্তু আমি এই দামেই অনেকদিন বিক্রি করি।

 

বিক্রির অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না। এতো দামে খুব কম লোকই মাংস কেনে। এদিকে গরুর খাবারের দাম বেড়েছে। কিন্তু আমরা তো মাংসের দাম বাড়াতে পারছি না। সবাই বলে যে টাকা নেই। তাহলে দাম বাড়লে মানুষ কীভাবে কিনবে?

 

মুরগির মাংসের দাম প্রসঙ্গে মো. ওয়াসিম নামের এক বিক্রেতা বলেন, ব্রয়লার মুরগি আজকে বিক্রি করছি ১৬০ টাকা কেজি, কারণ আমাদের পাইকারি কিনেই আনতে হয়েছে ১৪৫-১৫০ টাকা কেজি করে। এর সঙ্গে যোগ হয় পরিবহন খরচ। এমনকি আনতে গিয়ে সব সময় ২/৪ টা মুরগি মরে যায়। সবমিলিয়ে একটু বেশি দামেই আমাদেরকে বিক্রি করতে হচ্ছে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» কারিনা ‘আউট’, পূজা ‘ইন’

» ঈদে অনলাইনে যেভাবে কাটবেন ট্রেনের টিকিট

» ফের তৎপর ‌‌খড় পার্টি টার্গেটে নারীরা, নিজ ইচ্ছাতেই খুলে দেয় সবকিছু

» এ সপ্তাহেই দেখা যাবে সারিবদ্ধ ৫ গ্রহ

» বঙ্গবন্ধুর প্রতি আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা

» জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা

» ভটভটি ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রলি চালকের মৃত্যু

» ঢাকার অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে কক্সবাজারের থেকে উদ্ধার,গ্রেফতার১

» গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে কাজ করছে সরকার

» বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অপরাধে ৫৯জন আটক

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সবজি-তরকারির পাশাপাশি বাজারে বেড়েছে মাছ ও মুরগির মাংসের দাম

শুক্রবার এলেই ধুম পড়ে মাছ-মাংস আর শাকসবজি কেনার। শুক্রবারকেন্দ্রীক বাজারে আসা মানুষের এই চাহিদাকে ঘিরে সবজি-তরকারির পাশাপাশি বাজারে বেড়েছে মাছ ও মুরগির মাংসের দাম। তবে গরু-খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

 

আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাড্ডা ও রামপুরা এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এমন দামের বিষয়ে অকপটে স্বীকার করছেন বিক্রেতারাও।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকায় ও পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। এছাড়া শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা, বোয়াল ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, ছোট টেংরা ৫০০, বড় টেংরা ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ এবং গলদা চিংড়ি ৭০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 

গরুর মাংস আগের মতোই ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে খাসির মাংস ৯০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাছ-মাংসের বাজার-দর নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে নানা অভিযোগ আর ক্ষোভ। তারা বলছেন, শুক্রবার এলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেয়। বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। যদিও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে কেনায় কম দামে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই।

 

মাহমুদ হাসান নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাজারে সবকিছুরই দাম বেশি। মুরগির দামটা একটু কমেছিল, কিন্তু আজকে দেখলাম আবারও বেড়ে গেছে। মাছের দামও বাড়তি।

 

ডিআইটি প্রজেক্টের মাংস বিক্রেতা মো. মনির হোসেন বলেন, মাংসের বাজার-দর দীর্ঘদিন ধরেই স্থিতিশীল। বর্তমানে ৭০০ টাকার নিচে কোথাও গরুর মাংস নেই। কেউ কেউ এর চেয়ে বেশিও বিক্রি করে। কিন্তু আমি এই দামেই অনেকদিন বিক্রি করি।

 

বিক্রির অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না। এতো দামে খুব কম লোকই মাংস কেনে। এদিকে গরুর খাবারের দাম বেড়েছে। কিন্তু আমরা তো মাংসের দাম বাড়াতে পারছি না। সবাই বলে যে টাকা নেই। তাহলে দাম বাড়লে মানুষ কীভাবে কিনবে?

 

মুরগির মাংসের দাম প্রসঙ্গে মো. ওয়াসিম নামের এক বিক্রেতা বলেন, ব্রয়লার মুরগি আজকে বিক্রি করছি ১৬০ টাকা কেজি, কারণ আমাদের পাইকারি কিনেই আনতে হয়েছে ১৪৫-১৫০ টাকা কেজি করে। এর সঙ্গে যোগ হয় পরিবহন খরচ। এমনকি আনতে গিয়ে সব সময় ২/৪ টা মুরগি মরে যায়। সবমিলিয়ে একটু বেশি দামেই আমাদেরকে বিক্রি করতে হচ্ছে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :

Design & Developed BY ThemesBazar.Com