ইউক্রেনকে ‘বেসামরিকীকরন’ ও ‘নাৎসিদের হাত থেকে মুক্ত’ করার লক্ষ্য পূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশটিতে সামরিক অভিযান জারি রাখার ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।
গত বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযান’ শুরুর ঘোষণা দেন। টানা ছয় দিন ধরে চলা সামরিক অভিযানে কিয়েভে প্রবেশের চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি রুশ সেনারা। মঙ্গলবার ৪০ মাইল ব্যাপী বিশাল সামরিক বহর কিয়েভের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়।
মঙ্গলবার মস্কোতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে শোইগু বলেন,‘ইউক্রেনে রুশ অভিযানের উদ্দেশ্য দেশটিকে দখল করা নয়, বরং পশ্চিমা দেশগুলোর কারণে ইউক্রেনের ওপর যে সামরিক হুমকির সৃষ্টি হয়েছে, তা থেকে সেখানকার জনগণকে মুক্ত করা এবং দেশটির ক্ষমতাসীন নাৎসিপন্থী শাসকগোষ্ঠীকে অপসারণ করা। এই লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।’
সংবাদ সম্মেলনে রুশ বাহিনীর প্রশংসা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি সেনা সদস্য যুদ্ধক্ষেত্রে যে বীরত্ব, সাহসিকতা, বিবেক ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিচ্ছে, সেজন্য আমরা তাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও প্রশংসা জানাচ্ছি।
এর আগে এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট পুতিনও নিজ দেশের সেনাদের বীরত্বের প্রশংসা করেছিলেন।
মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে খারকিভে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ইউক্রেনের সরকারকে দায়ী করেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের সরকার নিজেদের গদি বাঁচাতে সেখানকার সাধারণ জনগণকে ঢাল হিসেবে ব্যবাহার করছে এবং আবাসিক এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি এলাকা থেকে রুশ বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রুশ হামলা ঠেকাতে দেশটির জনগণকে পেট্রোল বোমা তৈরিসহ অস্ত্র সরবরাহ করছে।সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে কীভাবে পেট্রোল বোমা বানাতে হয় তার একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। দেশটির হাজারো বেসামরিক মানুষ অস্ত্র নিয়ে কিয়েভে রুশ আগ্রাসন মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।তবে, তারা রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে কতক্ষণ টিকে থাকতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশ্লেষকদের।
জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের নিকট থেকে সামরিক সহায়তা চাইলেও কেউ সামরিক সহায়তা দেয়নি। বরং তারা নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে রাশিয়াকে যুদ্ধ বন্ধে বাধ্য করার চেষ্টা করছে।যদিও রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ারই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।