বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ঘটনায় ছেলে মিলনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ। আটক মিলন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
নিহত আমেনা বেগম মিলনের বাবা প্রবাসী ছিলেন। তিনি কয়েক বছর আগে বিদেশেই মারা যান। তার আরো দুই ভাইয়ের মধ্যে একজন প্রবাসী ও আরেকজন ঢাকায় চাকরি করেন। মিলন তাদের ছোট ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মিলন দুই বছর ধরে মানসিক রোগে ভুগছে। দু’বার তাকে ঢাকায় চিকিৎসা করানো হয়। সম্প্রতি তাকে ঢাকা থেকে চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে আনা হয়।
এর আগে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আশারকোটা গ্রামে নিজ বাড়িতে সন্ধ্যায় মা আমেনার সঙ্গে মিলন নানাবাড়ি থেকে বাসায় ফেরেন। ঘরে তারা দুজনই থাকেন। রাতের কোনো একসময় মিলন মাকে কুপিয়ে কম্বল পেঁচিয়ে শরীরের আগুন লাগিয়ে দেয়। ফজরের আজানের সময় ঘর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকেন।
এক পর্যায়ে ঘরে ঢুকে দেখতে পান আমেনার দেহ আগুনে পুড়ছে। পা ও শরীরের কিছু হাড় ছাড়া বাকি অংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুলিশ পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে।
শুনেছি সে মানসিকভাবে অসুস্থ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে তার মাকে দারালো দা দিয়ে কোপানোর পর কম্বল পেঁচিয়ে আগুল লাগিয়ে দেয়। আমেনা বেগমের ভাই টিপু সুলতান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।