ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এখন রুশ গোলা এসে পড়ছে। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের সরকারই স্বীকার করছে রুশ সৈন্যরা রাজধানীতে ঢুকে পড়েছে। এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও। এতে দেখা যাচ্ছে, কিয়েভ শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে মাত্র নয় কিলোমিটার দূরের ওবোলোন এলাকায় রাশিয়ার ট্যাঙ্ক চলছে। ভিডিওটি স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের ঘর থেকে ধারণ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে সেখানে রয়েছেন কয়েকজন বাংলাদেশি। রুশ-ইউক্রেনের উত্তেজনার ভয়াবহ পরিস্থিতি নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী মাহবুব আলম। ইত্তেফাক
তিনি বিবিসিকে বলেন, প্রথম কথা- নিরাপদ জায়গা এখন কোথায় আর আছে সেটা এখন বড় একটি প্রশ্ন। তাছাড়া পরিস্থিতি এখন যা দাঁড়িয়েছে তাতে অন্য কোথাও আশ্রয় নেওয়াও বড়রকম বিপদ। যাই ঘটুক না কেন এখন তিনি শহর ছেড়ে কোথাও যাবেন না।
১৯৮১ সালে সোভিয়েত সরকারের বৃত্তি নিয়ে পড়তে এসে আর দেশে না ফেরা মাহবুব আলম বলেন, মহাসড়কে প্রচণ্ড যানজট সেই সঙ্গে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। পেট্রোল পাম্প মালিকরা একবারে ২০ লিটারের বেশি তেল দিচ্ছে না। এই শীতের মধ্যে রাস্তায় নেমে তেলের জন্য গাড়ি থেমে গেলে বড় বিপদ হবে। সে কারণে আমি এবং আমার কয়েকজন বাংলাদেশি বন্ধু কোথাও না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই ঝামেলার মধ্যে তার পরিচিত অনেকে বাংলাদেশি রয়েছেন যারা কিয়েভ ছেড়ে চলে গেছেন।
কিয়েভে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। তবে পাশের দেশ পোল্যান্ডের ওয়ারসতে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তাদের কেউ দেশে ফিরতে চাইলে যাতে তারা ট্রানজিট ভিসা নিয়ে পোল্যান্ডে ঢুকে সেখান থেকে ঢাকার বিমানে উঠতে পারেন তেমন ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে ওয়ারসতে বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে।