রিজিক বিতরণের রাত

মাওলানা আবদুর রশিদ:  শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত তাৎপর্যের দাবিদার। এ রাতে রিজিক ও সম্পদ বণ্টন করা হয়। হায়াত বাড়ানো কিংবা কমিয়ে দেওয়া হয়। মধ্য শাবানের রাতে বেশি বেশি করে নফল ইবাদত করা উচিত। নিজের ঘরে নফল ইবাদত করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের ঘরে নফল ইবাদত করেছেন। ইবনে মাজাহ ও বায়হাকির হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘মহান আল্লাহ এই রাতে প্রথম আসমানে চলে আসেন এবং মানুষকে ডেকে ডেকে বলতে থাকেন, তোমাদের মধ্যে এমন কোনো পাপী আছে কি, আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। তোমাদের মধ্যে কেউ আছে কি, আমার কাছে রিজিক চাইবে, আমি তাকে রিজিক দান করব। তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ আছে কি, আমার কাছে রোগ থেকে মুক্তি চাইবে, আমি তাকে রোগ থেকে মুক্তি দেব। এভাবে আল্লাহতায়ালা সুবেহ সাদিক পর্যন্ত বান্দাকে ডাকতে থাকেন। তখন যে কেউ যে কোনো প্রার্থনা করবে তা-ই কবুল করা হবে।’

 

শাবান গুনাহ থেকে রক্ষা করে, রমজান মানুষকে পবিত্র করে। শাবানকে বলা হয় রমজানের আগমন ঘোষণাকারী মাস। হজরত উসামা (রা.) বর্ণনা করেন,  ‘এক দিন আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ (শাবান) মাসে বেশি বেশি রোজা রাখার কারণ জানতে চাইলাম

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রজব আল্লাহর মাস, শাবান আমার মাস এবং রমজান আমার উম্মতের মাস। ইসলামী শরিয়তে শাবান মাসের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। শাবান গুনাহ থেকে রক্ষা করে, রমজান মানুষকে পবিত্র করে। শাবানকে বলা হয় রমজানের আগমন ঘোষণাকারী মাস। হজরত উসামা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘এক দিন আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ (শাবান) মাসে বেশি বেশি রোজা রাখার কারণ জানতে চাইলাম। তিনি উত্তরে বললেন, লোকেরা রজব ও রমজান এ দুই মাসের গুরুত্ব বেশি দেয় এবং রোজাও রাখে। কিন্তু মধ্যবর্তী এ মাসটিকে উপেক্ষা করে চলে। অথচ এ মাসেই বান্দার আমলগুলো আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হয়। আমার কামনা হলো আমার আমলগুলো আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করার সময় আমি রোজা অবস্থায় থাকি। এ কারণেই আমি শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখি।’ মুসনাদে আহমাদ, নাসাঈ, আবু দাউদ। ১৪ শাবান সূর্যাস্ত থেকে ১৫ শাবান ফজর পর্যন্ত তাঁর বান্দাদের জন্য রহমতের দরজা খোলা থাকে। এ রাতের ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। হজরত জিবরাইল (আ.) একবার রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললেন, ইয়া রসুলুল্লাহ! আপনি উঠুন, নামাজ পড়ুন এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন। কারণ এটি ১৫ শাবানের রাত। এই রাতে আল্লাহতায়ালা তাঁর বান্দাদের জন্য ১০০ রহমতের দরজা খুলে দেন। আপনি আপনার উম্মতের জন্য দোয়া করুন। হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘১৫ শাবানের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও  এবং পরদিন রোজা রাখ।’  সুনানে ইবনে মাজাহ।  সূএ: বাংলাদেশ  প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ময়মনসিংহে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত

» ফেনীতে বিপৎসীমার অনেক নিচে পানি, নেই বন্যার শঙ্কা

» প্যানিক অ্যাটাক: কখন হয়, রোগীর কেমন অনুভূতি হয়?

» অবশেষে ভারত সিরিজে তামিমও থাকছেন

» গাজায় থামছেই না ইসরায়েলি বর্বরতা, আরও ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত

» গ্রুপে কল লিংক নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ

» সে আমার রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে : আলিয়া

» হত্যা ও অর্থ লুটের অপরাধে আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

» অস্ত্র ও গুলিসহ যুবক আটক

» ঐক্য ধরে রাখতে না পারলে এ দেশে নিরাপদে থাকতে পারবো না : মামুনুল হক

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

রিজিক বিতরণের রাত

মাওলানা আবদুর রশিদ:  শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত তাৎপর্যের দাবিদার। এ রাতে রিজিক ও সম্পদ বণ্টন করা হয়। হায়াত বাড়ানো কিংবা কমিয়ে দেওয়া হয়। মধ্য শাবানের রাতে বেশি বেশি করে নফল ইবাদত করা উচিত। নিজের ঘরে নফল ইবাদত করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের ঘরে নফল ইবাদত করেছেন। ইবনে মাজাহ ও বায়হাকির হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘মহান আল্লাহ এই রাতে প্রথম আসমানে চলে আসেন এবং মানুষকে ডেকে ডেকে বলতে থাকেন, তোমাদের মধ্যে এমন কোনো পাপী আছে কি, আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। তোমাদের মধ্যে কেউ আছে কি, আমার কাছে রিজিক চাইবে, আমি তাকে রিজিক দান করব। তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ আছে কি, আমার কাছে রোগ থেকে মুক্তি চাইবে, আমি তাকে রোগ থেকে মুক্তি দেব। এভাবে আল্লাহতায়ালা সুবেহ সাদিক পর্যন্ত বান্দাকে ডাকতে থাকেন। তখন যে কেউ যে কোনো প্রার্থনা করবে তা-ই কবুল করা হবে।’

 

শাবান গুনাহ থেকে রক্ষা করে, রমজান মানুষকে পবিত্র করে। শাবানকে বলা হয় রমজানের আগমন ঘোষণাকারী মাস। হজরত উসামা (রা.) বর্ণনা করেন,  ‘এক দিন আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ (শাবান) মাসে বেশি বেশি রোজা রাখার কারণ জানতে চাইলাম

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রজব আল্লাহর মাস, শাবান আমার মাস এবং রমজান আমার উম্মতের মাস। ইসলামী শরিয়তে শাবান মাসের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। শাবান গুনাহ থেকে রক্ষা করে, রমজান মানুষকে পবিত্র করে। শাবানকে বলা হয় রমজানের আগমন ঘোষণাকারী মাস। হজরত উসামা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘এক দিন আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ (শাবান) মাসে বেশি বেশি রোজা রাখার কারণ জানতে চাইলাম। তিনি উত্তরে বললেন, লোকেরা রজব ও রমজান এ দুই মাসের গুরুত্ব বেশি দেয় এবং রোজাও রাখে। কিন্তু মধ্যবর্তী এ মাসটিকে উপেক্ষা করে চলে। অথচ এ মাসেই বান্দার আমলগুলো আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হয়। আমার কামনা হলো আমার আমলগুলো আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করার সময় আমি রোজা অবস্থায় থাকি। এ কারণেই আমি শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখি।’ মুসনাদে আহমাদ, নাসাঈ, আবু দাউদ। ১৪ শাবান সূর্যাস্ত থেকে ১৫ শাবান ফজর পর্যন্ত তাঁর বান্দাদের জন্য রহমতের দরজা খোলা থাকে। এ রাতের ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। হজরত জিবরাইল (আ.) একবার রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললেন, ইয়া রসুলুল্লাহ! আপনি উঠুন, নামাজ পড়ুন এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন। কারণ এটি ১৫ শাবানের রাত। এই রাতে আল্লাহতায়ালা তাঁর বান্দাদের জন্য ১০০ রহমতের দরজা খুলে দেন। আপনি আপনার উম্মতের জন্য দোয়া করুন। হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘১৫ শাবানের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও  এবং পরদিন রোজা রাখ।’  সুনানে ইবনে মাজাহ।  সূএ: বাংলাদেশ  প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com