দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারও রাজধানীর গুলিস্তান থেকে সোনারগাঁও মেঘনাঘাট রুটে চলাচল শুরু করছে পারমিটবিহীন বোরাক এসি নামের যাত্রীবাহী বাস।
রুটের বৈধ পারমিট না থাকায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ গুলিস্তান মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম হতে পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও মেঘনাঘাট রুটে চলাচলরত বোরাক এসি বাস বন্ধ করে দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ট্রাফিক) এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শনিবার থেকে দালালদের মাধ্যমে অদৃশ্য শক্তি ব্যবহার করে আবারও রাজধানীর গুলিস্তান থেকে সোনারগাঁও মেঘনাঘাট রুটে পারমিটবিহীন বোরাক এসি বাসগুলো চলাচল শুরু করেছে।
জানা গেছে, ঢাকা সায়েদাবাদ হতে কুমিল্লা হোমনা ভায়া গৌরীপুর আন্তঃজেলা রুটের বাস পারমিট নিয়ে অবৈধভাবে পুরাতন এসি বাসগুলো গত ১ জুন থেকে ঢাকা আরটিসির কোন অনুমোদন না নিয়ে ‘বোরাক এসি’ নাম দিয়ে গাড়িগুলো অবৈধভাবে কাউন্টার বসিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু করছিল। পরে বৈধ পারমিট না থাকায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ রুট গুলিস্তান রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হলে বোরাক এসি বাস বন্ধ করে দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ট্রাফিক) এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
‘বোরাক এসি’ বাস কোম্পানির পরিচালকদের কোনো মালিকানা গাড়ি না থাকা সত্ত্বেও তারা এসি বাসের মালিকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণের আর্থিক সুবিধা নিয়ে ‘বোরাক এসি’ ব্যানারে বাসগুলো চলাচল করতে দিচ্ছে। এতে করে রাজধানীর গুলিস্তান ও জিরো পয়েন্ট এলাকায় অতিরিক্ত গাড়ি চলাচলের কারণে রাস্তায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছিল।
এদিকে ঢাকা আরটিসির অনুমোদন ছাড়া বাসগুলো চলাচলের কারণে এ রুটে বৈধ পারমিটধারী বাস মালিকেরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বোরাক এসি বাসের পরিচালক আক্তার হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি গাড়ির বৈধ পারমিট দেখাতে ব্যর্থ হোন এবং আগামীকাল সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, পারমিটবিহীন বোরাক এসি গাড়ি বন্ধ করা হয়েছিল। যদি অবৈধভাবে আবারও চলাচল করে তাহলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূূএ: ঢাকাটাইমস ডটকম