যে ৫ দেশে পৌঁছাতে পারে না প্লেন

সংগৃহীত ছবি

 

বর্তমানে পরিবহনের জন্য সবচেয়ে দ্রুতগামী যান হলো প্লেন। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই একাধিক বিমানবন্দর রয়েছে। সেই সঙ্গে আছে বিভিন্ন বিমান সংস্থা। তবে বিশ্বের এখনো এখন কয়েকটি দেশ রয়েছে যেখানে প্লেন পৌঁছাতে পারে না।

 

এই দেশগুলোর স্থলসীমায় নেই একটিও বিমানবন্দর। অর্থাৎ দেশের ভেতরে কোনো বিমান ওঠানামা করে না। অবিশ্বাস্য শোনালেও এটাই সত্যি। তবে এই দেশগুলোর প্রত্যেকেই যে স্বেচ্ছায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা কিন্তু একেবারেই নয়। দেশেগুলোর ভূ-প্রকৃতিই বিমানবন্দর তৈরির অন্তরায়। দেখে নেওয়া যাক এমন দেশগুলোর নাম-

ভাটিক্যান সিটি
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ এই ভাটিক্যান সিটি। মাত্র ৮০০ জন নাগরিক রয়েছে এই দেশের। এর আয়তনও এত কম যে বিমানবন্দর গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এমনকী বিকল্প পরিবহণ হিসেবে জলপথও নেই। বলা ভাল, এটি বিশ্বের এমন একটি দেশ, যেখানে পায়ে হেঁটেই যাতায়াত করা যায়। তবু এখানে রেলের ব্যবস্থা রয়েছে। রেলযোগেই মাত্র আধঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যেতে পারে নিকটবর্তী ফিউমিসিনো এবং সিয়াম্পিনো বিমানবন্দরে।

 

সান মারিনো
ভাটিক্যান সিটির কাছেই অবস্থিত সান মারিনো পৃথিবীর প্রাচীনতম রাজতন্ত্রের অন্যতম। এর পাশে ইতালি। খুব ছোট আয়তনের কারণেই এখানে কোনো বিমানবন্দর গড়ে ওঠেনি। এই দেশে জালের মতো ছড়িয়ে আছে সড়কগুলো। তা দিয়েই যাতায়াত করেন বাসিন্দারা। নিকটবর্তী বিমানবন্দর হলো ইতালির রিমিনি। সেটিই ব্যবহার করেন সান মারিনোর বাসিন্দারা।

এন্ডোরা
ফ্রান্স এবং স্পেনের মধ্যবর্তী অংশে অবস্থিত এই দেশটি সম্পূর্ণই পাহাড়ি। চারপাশে প্রায় ৩০০০ মিটার পর্যন্ত উঁচু পর্বত রয়েছে, যা বিমান ওঠা-নামার পক্ষে বিপজ্জনক। এর আশপাশে রয়েছে বার্সেলোনা, গিরোনার মতো বিমানবন্দর।

 

মোনাকো
বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র হল মোনাকো। এর তিনটি সীমান্তই ফ্রান্সের। এখানেও কোনো বিমানবন্দর নেই। ফ্রান্সের নিস কোট ডি’অজুর বিমানবন্দরই নিকটতম। সেটিই প্রয়োজনে ব্যবহার করেন মোনাকোর বাসিন্দারা।

 

লিচেনস্টাইন
৭৫ কিলোমিটারের কম পরিধিযুক্ত একটি রাষ্ট্র হলো লিচেনস্টাইন। তার উপর এটিও পর্বতবেষ্টিত। তার উপর এখানে রয়েছে কিছু কূটনৈতিক সমস্যাও। এসব কারণেই এখানে বিমানবন্দর গড়ে তোলা হয়নি। নাগরিকরা গাড়ি বা বাসে চড়ে পাড়ি দেন প্রায় ১২০ কিলোমিটার পথ। সেখানই রয়েছে নিকটতম বিমানবন্দর জুরিখ।

সূত্র: ফিরোভিলা, টাইমস অব ইন্ডিয়া

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ডিজিএফআইয়ের নতুন ডিজি জাহাঙ্গীর আলম

» অপরাধী ও দুষ্টু লোকদের স্থান বিএনপিতে হবে না

» খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে না

» বাংলাদেশে তুর্কি বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান ড. ইউনূসের

» আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার

» চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় ডিমের দাম বেড়েছে: উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

» তিন বিচারকের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুনর্গঠন: আইন উপদেষ্টা

» সেপ্টেম্বরে মেট্রোরেলের দৈনিক আয় ১ কোটি ১২ লাখ টাকার বেশি

» নওগাঁর পৃথক স্থানে ট্রাক্টরের চাপায় দুইজনের মৃত্যু

» রিয়েলমি ১২-এর ব্যাপক চাহিদা, প্রি-অর্ডার ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

যে ৫ দেশে পৌঁছাতে পারে না প্লেন

সংগৃহীত ছবি

 

বর্তমানে পরিবহনের জন্য সবচেয়ে দ্রুতগামী যান হলো প্লেন। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই একাধিক বিমানবন্দর রয়েছে। সেই সঙ্গে আছে বিভিন্ন বিমান সংস্থা। তবে বিশ্বের এখনো এখন কয়েকটি দেশ রয়েছে যেখানে প্লেন পৌঁছাতে পারে না।

 

এই দেশগুলোর স্থলসীমায় নেই একটিও বিমানবন্দর। অর্থাৎ দেশের ভেতরে কোনো বিমান ওঠানামা করে না। অবিশ্বাস্য শোনালেও এটাই সত্যি। তবে এই দেশগুলোর প্রত্যেকেই যে স্বেচ্ছায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা কিন্তু একেবারেই নয়। দেশেগুলোর ভূ-প্রকৃতিই বিমানবন্দর তৈরির অন্তরায়। দেখে নেওয়া যাক এমন দেশগুলোর নাম-

ভাটিক্যান সিটি
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ এই ভাটিক্যান সিটি। মাত্র ৮০০ জন নাগরিক রয়েছে এই দেশের। এর আয়তনও এত কম যে বিমানবন্দর গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এমনকী বিকল্প পরিবহণ হিসেবে জলপথও নেই। বলা ভাল, এটি বিশ্বের এমন একটি দেশ, যেখানে পায়ে হেঁটেই যাতায়াত করা যায়। তবু এখানে রেলের ব্যবস্থা রয়েছে। রেলযোগেই মাত্র আধঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যেতে পারে নিকটবর্তী ফিউমিসিনো এবং সিয়াম্পিনো বিমানবন্দরে।

 

সান মারিনো
ভাটিক্যান সিটির কাছেই অবস্থিত সান মারিনো পৃথিবীর প্রাচীনতম রাজতন্ত্রের অন্যতম। এর পাশে ইতালি। খুব ছোট আয়তনের কারণেই এখানে কোনো বিমানবন্দর গড়ে ওঠেনি। এই দেশে জালের মতো ছড়িয়ে আছে সড়কগুলো। তা দিয়েই যাতায়াত করেন বাসিন্দারা। নিকটবর্তী বিমানবন্দর হলো ইতালির রিমিনি। সেটিই ব্যবহার করেন সান মারিনোর বাসিন্দারা।

এন্ডোরা
ফ্রান্স এবং স্পেনের মধ্যবর্তী অংশে অবস্থিত এই দেশটি সম্পূর্ণই পাহাড়ি। চারপাশে প্রায় ৩০০০ মিটার পর্যন্ত উঁচু পর্বত রয়েছে, যা বিমান ওঠা-নামার পক্ষে বিপজ্জনক। এর আশপাশে রয়েছে বার্সেলোনা, গিরোনার মতো বিমানবন্দর।

 

মোনাকো
বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র হল মোনাকো। এর তিনটি সীমান্তই ফ্রান্সের। এখানেও কোনো বিমানবন্দর নেই। ফ্রান্সের নিস কোট ডি’অজুর বিমানবন্দরই নিকটতম। সেটিই প্রয়োজনে ব্যবহার করেন মোনাকোর বাসিন্দারা।

 

লিচেনস্টাইন
৭৫ কিলোমিটারের কম পরিধিযুক্ত একটি রাষ্ট্র হলো লিচেনস্টাইন। তার উপর এটিও পর্বতবেষ্টিত। তার উপর এখানে রয়েছে কিছু কূটনৈতিক সমস্যাও। এসব কারণেই এখানে বিমানবন্দর গড়ে তোলা হয়নি। নাগরিকরা গাড়ি বা বাসে চড়ে পাড়ি দেন প্রায় ১২০ কিলোমিটার পথ। সেখানই রয়েছে নিকটতম বিমানবন্দর জুরিখ।

সূত্র: ফিরোভিলা, টাইমস অব ইন্ডিয়া

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com