যে কথায় মানুষের দুনিয়া ও পরকাল ধ্বংস হয়

কথা বলার ক্ষেত্রে সাবধান থাকার বিকল্প নেই। মহান আল্লাহর ব্যাপারে কথা বলার আগে চিন্তাভাবনা করেই কথা বলতে হবে। কারণ এমন কোনো কথা বলা যাবে না; যে কথার কারণে কারো দুনিয়া ও পরকাল ধ্বংস হয়ে যায়।

 

মহান আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করতে পারবেন। তাঁর ক্ষমা প্রসঙ্গে বিরূপ মন্তব্য করা যাবে না। নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো এমন কোনো কথা বলা যাবে না; যে কথা আল্লাহর উপর হস্তক্ষেপ করা বুঝায়। কথা বলার ক্ষেত্রে হতে হবে সংযত। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে দুনিয়া ও পরকাল ধ্বংস হওয়া সম্পর্কিত বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। তাহলো-

১. হজরত জুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘এক ব্যক্তি বলল, আল্লাহ অমুককে ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ তাআলা বললেন, কে আমার ওপর বড়াই করে, আমি অমুককে ক্ষমা করবো না? বরং আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি এবং তোমার আমলকে নষ্ট করে দিয়েছি।

 

২. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু অন্য একটি বর্ণনায় উল্লেখে করেছেন, কথাটি যিনি বলেছেন, তিনি ছিলেন একজন ইবাদতগুজার ব্যক্তি। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তিনি এমন একটি কথা বলেছেন, যা তার দুনিয়া ও পরকাল উভয়টিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’ (মুসলিম)

 

উল্লেখিত হাদিসের আলোকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবানের বিপদ থেকে সতর্কতা অবলম্বনের বিষয়ে মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক করেছেন। ‘আল্লাহ কোনো অপরাধীকে ক্ষমা করবেন না’ কোনো ব্যক্তি শপথ করে এমন কথা বলার ক্ষমতা রাখে না। এমন কথা বললে ওই ব্যক্তির দুনিয়া ও পরকাল বরবাদ হয়ে যাবে।

 

এমন কথা বলার মর্মার্থ হলো- লোকটি যেন আল্লাহর ওপর ফয়সালা করল এবং তাকে সংকীর্ণ করে দিল। কারণ, সে অন্তরে বিশ্বাস করলো যে, তার জন্যে আল্লাহর সম্মান ও বড়ত্ব রয়েছে, আর ঐ অপরাধীর জন্য রয়েছে অসম্মান। এটিই হচ্ছে আল্লাহকে পথ দেখানো ও তার সাথে বেআদবির করার শামিল। এ কারণেই তার জন্যে দুনিয়া ও পরকালের হতাশা ও ক্ষতি অবধারিত হয়ে গেলো।

সুতরাং মুমিন মুসলমানে উচিত, আল্লাহ সম্পর্কে এমন কথা না বলা। আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে এমন কোনো কথা না বলা; যে কথায় তার ক্ষমতার ওপর হস্তক্ষেপ হয়।

 

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের দিকনির্দেশনা সম্পর্কিত বিষয় থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।  সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ১ মাস না যেতেই বদলে গেল ডেসটিনির রফিকুল আমীনের দলের নাম

» ছাত্রদল নেতাকর্মীদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে : নাছির উদ্দীন

» সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

» জনগণ নির্বাচন চায় তাদের ভাষা বুঝুন, সরকারকে ফারুক

» অনলাইনে দেয়া যাবে ডিএনসিসি’র হোল্ডিং ট্যাক্স

» ছাত্ররা ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে : ড. মঈন খান

» পলাশে এক সঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন এক গৃহ বধূ

» বাগেরহাটে একসাথে অর্ধশত শিশুর জন্মদিন উদযাপন

» লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা, শিক্ষক গ্রেপ্তার!

» পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দৃষ্টিশক্তি আরও উন্নত করার লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক ও ভিশনস্প্রিং

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

যে কথায় মানুষের দুনিয়া ও পরকাল ধ্বংস হয়

কথা বলার ক্ষেত্রে সাবধান থাকার বিকল্প নেই। মহান আল্লাহর ব্যাপারে কথা বলার আগে চিন্তাভাবনা করেই কথা বলতে হবে। কারণ এমন কোনো কথা বলা যাবে না; যে কথার কারণে কারো দুনিয়া ও পরকাল ধ্বংস হয়ে যায়।

 

মহান আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করতে পারবেন। তাঁর ক্ষমা প্রসঙ্গে বিরূপ মন্তব্য করা যাবে না। নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো এমন কোনো কথা বলা যাবে না; যে কথা আল্লাহর উপর হস্তক্ষেপ করা বুঝায়। কথা বলার ক্ষেত্রে হতে হবে সংযত। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে দুনিয়া ও পরকাল ধ্বংস হওয়া সম্পর্কিত বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। তাহলো-

১. হজরত জুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘এক ব্যক্তি বলল, আল্লাহ অমুককে ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ তাআলা বললেন, কে আমার ওপর বড়াই করে, আমি অমুককে ক্ষমা করবো না? বরং আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি এবং তোমার আমলকে নষ্ট করে দিয়েছি।

 

২. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু অন্য একটি বর্ণনায় উল্লেখে করেছেন, কথাটি যিনি বলেছেন, তিনি ছিলেন একজন ইবাদতগুজার ব্যক্তি। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তিনি এমন একটি কথা বলেছেন, যা তার দুনিয়া ও পরকাল উভয়টিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’ (মুসলিম)

 

উল্লেখিত হাদিসের আলোকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবানের বিপদ থেকে সতর্কতা অবলম্বনের বিষয়ে মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক করেছেন। ‘আল্লাহ কোনো অপরাধীকে ক্ষমা করবেন না’ কোনো ব্যক্তি শপথ করে এমন কথা বলার ক্ষমতা রাখে না। এমন কথা বললে ওই ব্যক্তির দুনিয়া ও পরকাল বরবাদ হয়ে যাবে।

 

এমন কথা বলার মর্মার্থ হলো- লোকটি যেন আল্লাহর ওপর ফয়সালা করল এবং তাকে সংকীর্ণ করে দিল। কারণ, সে অন্তরে বিশ্বাস করলো যে, তার জন্যে আল্লাহর সম্মান ও বড়ত্ব রয়েছে, আর ঐ অপরাধীর জন্য রয়েছে অসম্মান। এটিই হচ্ছে আল্লাহকে পথ দেখানো ও তার সাথে বেআদবির করার শামিল। এ কারণেই তার জন্যে দুনিয়া ও পরকালের হতাশা ও ক্ষতি অবধারিত হয়ে গেলো।

সুতরাং মুমিন মুসলমানে উচিত, আল্লাহ সম্পর্কে এমন কথা না বলা। আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে এমন কোনো কথা না বলা; যে কথায় তার ক্ষমতার ওপর হস্তক্ষেপ হয়।

 

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের দিকনির্দেশনা সম্পর্কিত বিষয় থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।  সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com