যেসব ব্যক্তির জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ

তিন ব্যক্তির প্রয়োজন মেটানোর সাহায্য চাওয়াকে বৈধ বলেছেন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যাদেরকে সাদকার মাল থেকে সাহায্য করা যাবে। আর এসব ব্যক্তি সাহায্য পেয়ে বিপদমুক্ত হলে সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। হাদিসের দিকনির্দেশনাও এমনই। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাদের জন্য সাহায্য চাওয়াকে বৈধ বলেছেন; তারা কারা?

 

কারো পাওনা আদায়ের কেউ যদি ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জামিনদার হয় তবে ওই ঋণ পরিশোধে সাহায্য চাওয়া যাবে। এবং সাহায্য প্রার্থনার মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করাও বৈধ। এমনই একটি হাদিসে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিন ব্যক্তির ব্যাপারে সাহায্য চাওয়ার বৈধতার ঘোষণা দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত কাবিসা ইবন মুখারিক রাদিয়াল্লাহু আনহু এ মর্মে বর্ণনা করেছেন যে, আমি একজনের পাওনা আদায় করে জামিন হয়েছিলাম এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে এ ব্যাপারে তাঁর সাহায্য চাইলাম।

 

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন যে, ‘হে কবিসা! আমার কাছে সাদকার কোনো মাল আসা পর্যন্ত তুমি অপেক্ষা করো; (সাদকার মাল) আসলেই আমি তোমাকে দিয়ে দেব। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে কবিসা! সাদকা তিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য বৈধ নয়। (সাদকা যাদের জন্য বৈধ; তারা হলেন)

 

১. যে কারো পাওনা আদায় করে দেওয়ার জামিন হয়তার জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ। যাতে সে নিজের আবশ্যকীয় প্রয়োজন মিটাতে পারে।

২. যার উপর কোনো বিপদ আসে এবং তার ধন-সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে যায়। তার জন্যও সাহায্য চাওয়া বৈধ। যাতে তার বিপদ দূর হয়ে যায়। এরপর সে সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত হয়ে যায়।

৩. আর এমন অভাব্যগ্রস্থ ব্যক্তি যার সম্পর্কে তার গোত্রের তিনজন জ্ঞানী ব্যক্তি এ মর্মে সাক্ষ্য দেয় যে, ‘সে অভাবগ্ৰস্ত’; তাহলে তার জন্যও সাহায্য চাওয়া বৈধ যাতে সে নিজের আবশ্যকীয় প্রয়োজন মিটাতে পারে।

হে কাবিসা! এ তিন প্রকার ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ নয়। অন্য কেউ যদি সাহায্য নিয়ে খায় তাহলে সে হারাম খায়।’ (নাসাঈ)

 

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর এসব বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিদের সাহায্য দেওয়ার মাধ্যমে বিপদমুক্ত করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন। সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে: সারজিস

» ‘কাদের আমার বাসায় আসতে চেয়েছিলেন, আজ তিনি কোথায়?’

» ‘আগামীতে সরকার-বিরোধী দলকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে’

» ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

» বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

» মতিঝিল রুটে চললো মেট্রো ট্রেন

» দেশে প্রথমবারের মতো আর্মরশেল প্রটেকশনের ফোন নোট ৬০ এনেছে রিয়েলমি

» স্যামসাং উইন্ডফ্রি এসি এক্সপেরিয়েন্স জোন: ভবিষ্যতের এক ঝলক

» সুন্দরবনের উপকূলীয় বাগেরহাটের নয় উপজেলায় আখের বাম্পার ফলন, চাষিরমুখে হাসির ঝিলিক

» অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেকে ৪ প্রকল্প অনুমোদন

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

যেসব ব্যক্তির জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ

তিন ব্যক্তির প্রয়োজন মেটানোর সাহায্য চাওয়াকে বৈধ বলেছেন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যাদেরকে সাদকার মাল থেকে সাহায্য করা যাবে। আর এসব ব্যক্তি সাহায্য পেয়ে বিপদমুক্ত হলে সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। হাদিসের দিকনির্দেশনাও এমনই। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাদের জন্য সাহায্য চাওয়াকে বৈধ বলেছেন; তারা কারা?

 

কারো পাওনা আদায়ের কেউ যদি ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জামিনদার হয় তবে ওই ঋণ পরিশোধে সাহায্য চাওয়া যাবে। এবং সাহায্য প্রার্থনার মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করাও বৈধ। এমনই একটি হাদিসে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিন ব্যক্তির ব্যাপারে সাহায্য চাওয়ার বৈধতার ঘোষণা দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত কাবিসা ইবন মুখারিক রাদিয়াল্লাহু আনহু এ মর্মে বর্ণনা করেছেন যে, আমি একজনের পাওনা আদায় করে জামিন হয়েছিলাম এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে এ ব্যাপারে তাঁর সাহায্য চাইলাম।

 

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন যে, ‘হে কবিসা! আমার কাছে সাদকার কোনো মাল আসা পর্যন্ত তুমি অপেক্ষা করো; (সাদকার মাল) আসলেই আমি তোমাকে দিয়ে দেব। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে কবিসা! সাদকা তিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য বৈধ নয়। (সাদকা যাদের জন্য বৈধ; তারা হলেন)

 

১. যে কারো পাওনা আদায় করে দেওয়ার জামিন হয়তার জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ। যাতে সে নিজের আবশ্যকীয় প্রয়োজন মিটাতে পারে।

২. যার উপর কোনো বিপদ আসে এবং তার ধন-সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে যায়। তার জন্যও সাহায্য চাওয়া বৈধ। যাতে তার বিপদ দূর হয়ে যায়। এরপর সে সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত হয়ে যায়।

৩. আর এমন অভাব্যগ্রস্থ ব্যক্তি যার সম্পর্কে তার গোত্রের তিনজন জ্ঞানী ব্যক্তি এ মর্মে সাক্ষ্য দেয় যে, ‘সে অভাবগ্ৰস্ত’; তাহলে তার জন্যও সাহায্য চাওয়া বৈধ যাতে সে নিজের আবশ্যকীয় প্রয়োজন মিটাতে পারে।

হে কাবিসা! এ তিন প্রকার ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ নয়। অন্য কেউ যদি সাহায্য নিয়ে খায় তাহলে সে হারাম খায়।’ (নাসাঈ)

 

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর এসব বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিদের সাহায্য দেওয়ার মাধ্যমে বিপদমুক্ত করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন। সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com