মসজিদে নামাজ পড়তে এসে যে মুক্তাদি ইমামের সঙ্গে শুরু থেকে নামাজ পায়নি বরং নামাজের কিছু অংশ পেয়েছে, তাকে মাসবুক বলে। মাসবুক মুসল্লিরা ছুটে যাওয়া নামাজ ইমামের সালাম ফিরানোর পর পড়ে নেবে। তারা তাদের ছুটে যাওয়া নামাজ যথারীতি কিরাতসহ আদায় করবে এবং এতে ভুল হলে সাহু সিদজাও করতে হবে।
মাসবুক ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে বাকি নামাজ আদায় করে শেষ বৈঠকে শুধু তাশাহহুদ পড়ে চুপ করে বসে থাকবে। এরপর ইমামের উভয় দিকে সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে সে তার ছুটে যাওয়া রাকাতগুলো আদায় করে নেবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ১/৩১৪)।
প্রথমে মাসবুক কিরাতওয়ালা রাকাত আদায় করবে এবং পরে কিরাতবিহীন রাকাতে শুধু সুরা ফাতেহা পড়বে। তারপর শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ-দরূদ-(দোয়ায়ে মাছুরা) পড়ে সালাম ফেরাবে।-(আল মাবসুত লিস- সারাখসি : ১/১৯০, বাহরুর রায়েক : ১/৩৭৯)।
এই নিয়মানুসারে কোনো ব্যক্তির এক রাকাত ছুটে গেলে সে ওই রাকাতে কিরাত সুরা মিলিয়ে পড়ে শেষ বৈঠক করে সালাম ফেরাবে।
মাসবুক ব্যক্তির চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজের জামাতে দুই রাকাত ছুটে গেলে যথারীতি উভয় রাকাতে কিরাত সুরা মিলিয়ে পড়বে এবং এর প্রথম রাকাতে না বসে শেষ রাকাতে বসে তাশাহহুদ, দরুদ ও দোয়া পড়ে সালাম ফেরাবে। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/১৬৫)
আর তিন রাকাতবিশিষ্ট নামাজের জামাতে দুই রাকাত ছুটে গেলে— ইমামের সালামের পর যথারীতি উভয় রাকাতেই কিরাত সুরা মিলিয়ে পড়বে এবং প্রথম রাকাতে বসে তাশাহহুদ পড়ে উঠে যাবে। কেননা এ রাকাত বৈঠকের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাকাত হিসেবে ধর্তব্য হবে। অতঃপর শেষ রাকাতে বসে সালাম ফেরাবে। (রদ্দুল মুহতার : ১/৫৯৬)
আর যদি চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজের জামাতে তিন রাকাত ইমামের পেছনে না পায়, তাহলে সালাম ফেরানোর পর ছুটে যাওয়া রাকাতের মধ্যে প্রথম দুই রাকাতে ফাতিহার সঙ্গে সুরা মিলিয়ে পড়বে এবং শেষ রাকাতে সুরা না মিলিয়ে শুধু ফাতিহা পড়বে। আর প্রথম রাকাতে বসে তাশাহহুদ পড়ে উঠে যাবে। এরপর দ্বিতীয় রাকাতে না বসে শেষ রাকাত পড়ে বৈঠক করবে। (রদ্দুল মুহতার : ১/৫৯৬)