রাশিয়ান সামরিক বাহিনী মারিউপোল থেকে প্রায় ১৫০ শিশুকে জোর করে তুলে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রায় ১০০ অসুস্থ ও আহত শিশুকে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। ইউক্রিনফর্ম নামে একটি ইউক্রেনীয় ব্রডকাস্ট প্ল্যাটফর্ম এ খবর দিয়েছে।
ক্রিমিয়ান হিউম্যান রাইটস গ্রুপের প্রধান ওলহা স্ক্রিপনিক বলেছেন, ‘রুশ সামরিক বাহিনী জোরপূর্বক মারিউপোল থেকে প্রায় ১৫০ শিশুকে নিয়ে গেছে এবং তাদের অধিকৃত ডোনেটস্ক এবং রাশিয়ান তাগানরোগে স্থানান্তরিত করেছে।
মারিউপোল মেয়রের উপদেষ্টা পেট্রো আন্দ্রিউশচেঙ্কোর মতে, বেশিরভাগ শিশুকে বাবা-মা ছাড়াই হাসপাতাল থেকে বের করা হয়েছিল। এছাড়াও, দখলদাররা মারিউপোলের একটি স্বাস্থ্য রিসোর্ট থেকে ১৬ শিশুকে নিয়ে গেছে।
আন্দ্রিউশচেঙ্কোর মতে, অপহৃত শিশুরা এতিম নয়।
ক্রিমিয়ান হিউম্যান রাইটস গ্রুপ কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি মারিউপোল থেকে এতিমখানার কর্মীদের সঙ্গে এতিমদের সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
মারিউপোল মেয়রের উপদেষ্টা উল্লেখ করেছেন, কিছু অপহৃত শিশু রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের কারণে তাদের পিতামাতাকে হারিয়েছে। তবে তাদের হয় অ-অধিকৃত অঞ্চলে অভিভাবক রয়েছে বা রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার অধীনে রয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ান আক্রমণকারীরা বলেছিল যে তারা ১৮ এপ্রিল মারিউপোল থেকে প্রবেশ এবং প্রস্থানের পথ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেবে।
রিপোর্ট বলছে, রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে মারিউপোল সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। হানাদাররা নিরস্ত্র বাসিন্দাদের ওপর বোমা বর্ষণ করে এবং মানবিক সাহায্য বিতরণে বাধা দেয়।
মারিউপোলের মেয়র এর আগে বলেছিলেন যে রাশিয়ান আক্রমণের পর থেকে শহরে ২০ হাজার বেসামরিক লোক মারা গেছে।