মানুষের ত্বকে কতক্ষণ বেঁচে থাকে ওমিক্রন

বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাসের আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে এটি অনেক বেশি মারাত্মক এবং দ্রুত ছড়াতে সক্ষম। বিশ্বের অনেক দেশে এর মাধ্যমেই শুরু হয়েছে মহামারির তৃতীয় ধাক্কা।

 

গত বছরের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় সর্বপ্রথম করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়। তখন থেকেই বিজ্ঞানীরা এটি নিয়ে নানা পরীক্ষা চালাচ্ছেন।

 

দেখা যায়, এই ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে ঘটেছে অনেক পরিবর্তন। স্পাইক প্রোটিনের পরিবর্তনের কারণেই ভাইরাসটি হয়ে উঠেছিল মারাত্মক। তাই সবাইকেই এই ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।

 

এই ভাইরাস এতটা দ্রুত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার একটি কারণ হলো স্পাইক প্রোটিনে মিউটেশন। এ ছাড়াও আর কী কী কারণ থাকতে পারে, তার খোঁজেই লেগে পড়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা।

 

সম্প্রতি জাপানের কিয়োটো প্রিফেকচারাল ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিনের গবেষকরা জানতে পেরেছেন কোথায় কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে ওমিক্রন।

 

করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন বেশি সময় প্লাস্টিক ও ত্বকে বেঁচে থাকতে পারে। এই বেঁচে থাকার ক্ষমতাই করোনার অন্যান্য ধরনের চেয়ে ওমিক্রনকে আলাদা করেছে।

 

প্লাস্টিকের উপর করোনার মূল স্ট্রেন ৫৬ ঘণ্টা, আলফা ১৯১.৩ ঘণ্টা, বিটা ১৫৬ ঘণ্টা, গামা ৫৯.৩ ঘণ্টা, ডেল্টা ১১৪ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে। আর ওমিক্রন বাঁচতে পারে ১৯৩.৫ ঘণ্টা।

 

এক্ষেত্রে ত্বকের উপর আসল করোনা ভাইরাস ৮.৬ ঘণ্টা, আলফা ১৯.৬ ঘণ্টা, ১৯.১ ঘণ্টা বিটা, ১১ ঘণ্টা গামা, ১৬.৮ ঘণ্টা ডেল্টা ও ওমিক্রন বাঁচতে পারে ২১.১ ঘণ্টা।

 

এ সক্রিয়তার কারণেই ওমিক্রন ছড়িযে পড়ছে দ্র্রুত। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মাস্ক ছাড়া একেবারেই চলাফেরা করা যাবে না।

 

এদিকে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে ত্বকের সমস্যাও ওমিক্রনের একটি লক্ষণ হতে পারে।

 

হালকা জ্বর, গলা খুসখুসে ভাব, নাক দিয়ে পানি, হাঁচি, শরীর ব্যথা ও ক্লান্তির মতো একাধিক উপসর্গ ছাড়াও ওমিক্রন আক্রান্তদের ত্বকে হঠাৎই ফুসকুড়ি বা র্যাশ ফুটে উঠছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই উপসর্গটি দেখা যায় কনুই, হাঁটু কিংবা হাত ও পায়ের পেছনের দিকে। ত্বকের সমস্যা ছাড়াও কোভিড আক্রান্তদের কারও কারও আঙুলে ও পায়ের পাতায় লাল অথবা বেগুনি ফুসকুড়ি দেখা যাচ্ছে। যা থেকে জ্বালা যন্ত্রণা হচ্ছে বলে খবর মিলেছে।,

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» চোরাচালান প্রতিরোধে কোস্টগার্ডকে আন্তরিক হয়ে কাজের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

» সোনারগাঁয়ে হাসিনা-রেহানা-জয়ের নামে মামলা

» হিন্দু ভাইদের উসকানি দিচ্ছে আ’লীগের লোকজন: জামায়াত সেক্রেটারি

» বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না ডিম-ব্রয়লার মুরগি

» একটি মহল অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় রাখতে চায় : মির্জা ফখরুল

» ভারতে যাওয়ার সময় কুমিল্লায় আটক আ.লীগ নেতা

» ভারতের বিপক্ষে যেসব মাইলফলকের হাতছানি টাইগারদের

» ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে তারেক রহমানের বিবৃতি

» কেন কাজলকে সহ্য করতে পারতো না শাহরুখপুত্র আব্রাম?

» সাংহাইয়ে শক্তিশালী টাইফুন ‘বেবিনকা’র আঘাত

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মানুষের ত্বকে কতক্ষণ বেঁচে থাকে ওমিক্রন

বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাসের আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে এটি অনেক বেশি মারাত্মক এবং দ্রুত ছড়াতে সক্ষম। বিশ্বের অনেক দেশে এর মাধ্যমেই শুরু হয়েছে মহামারির তৃতীয় ধাক্কা।

 

গত বছরের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় সর্বপ্রথম করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়। তখন থেকেই বিজ্ঞানীরা এটি নিয়ে নানা পরীক্ষা চালাচ্ছেন।

 

দেখা যায়, এই ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে ঘটেছে অনেক পরিবর্তন। স্পাইক প্রোটিনের পরিবর্তনের কারণেই ভাইরাসটি হয়ে উঠেছিল মারাত্মক। তাই সবাইকেই এই ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।

 

এই ভাইরাস এতটা দ্রুত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার একটি কারণ হলো স্পাইক প্রোটিনে মিউটেশন। এ ছাড়াও আর কী কী কারণ থাকতে পারে, তার খোঁজেই লেগে পড়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা।

 

সম্প্রতি জাপানের কিয়োটো প্রিফেকচারাল ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিনের গবেষকরা জানতে পেরেছেন কোথায় কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে ওমিক্রন।

 

করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন বেশি সময় প্লাস্টিক ও ত্বকে বেঁচে থাকতে পারে। এই বেঁচে থাকার ক্ষমতাই করোনার অন্যান্য ধরনের চেয়ে ওমিক্রনকে আলাদা করেছে।

 

প্লাস্টিকের উপর করোনার মূল স্ট্রেন ৫৬ ঘণ্টা, আলফা ১৯১.৩ ঘণ্টা, বিটা ১৫৬ ঘণ্টা, গামা ৫৯.৩ ঘণ্টা, ডেল্টা ১১৪ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে। আর ওমিক্রন বাঁচতে পারে ১৯৩.৫ ঘণ্টা।

 

এক্ষেত্রে ত্বকের উপর আসল করোনা ভাইরাস ৮.৬ ঘণ্টা, আলফা ১৯.৬ ঘণ্টা, ১৯.১ ঘণ্টা বিটা, ১১ ঘণ্টা গামা, ১৬.৮ ঘণ্টা ডেল্টা ও ওমিক্রন বাঁচতে পারে ২১.১ ঘণ্টা।

 

এ সক্রিয়তার কারণেই ওমিক্রন ছড়িযে পড়ছে দ্র্রুত। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মাস্ক ছাড়া একেবারেই চলাফেরা করা যাবে না।

 

এদিকে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে ত্বকের সমস্যাও ওমিক্রনের একটি লক্ষণ হতে পারে।

 

হালকা জ্বর, গলা খুসখুসে ভাব, নাক দিয়ে পানি, হাঁচি, শরীর ব্যথা ও ক্লান্তির মতো একাধিক উপসর্গ ছাড়াও ওমিক্রন আক্রান্তদের ত্বকে হঠাৎই ফুসকুড়ি বা র্যাশ ফুটে উঠছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই উপসর্গটি দেখা যায় কনুই, হাঁটু কিংবা হাত ও পায়ের পেছনের দিকে। ত্বকের সমস্যা ছাড়াও কোভিড আক্রান্তদের কারও কারও আঙুলে ও পায়ের পাতায় লাল অথবা বেগুনি ফুসকুড়ি দেখা যাচ্ছে। যা থেকে জ্বালা যন্ত্রণা হচ্ছে বলে খবর মিলেছে।,

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com