মানবদেহে সাড়ে তিন হাজার প্যাকেজিং রাসায়নিক সনাক্ত

ছবি সংগৃহীত

 

খাদ্য প্যাকেজিং বা প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত তিন হাজার ৬০০ এর বেশি রাসায়নিক মানবদেহে সনাক্ত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে কিছু স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। আর অন্যগুলো সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য এখনও জানা সম্ভব হয়নি।

 

মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

জুরিখভিত্তিক একটি এনজিও ফুড প্যাকেজিং ফোরাম ফাউন্ডেশনের প্রধান গবেষণা লেখক বির্গিট গিউকে বলেছেন, এই রাসায়নিকগুলোর মধ্যে প্রায় ১০০টি মানব স্বাস্থ্যের জন্য ‘উচ্চ উদ্বেগের’ হিসেবে বিবেচিত হয়।

 

এই রাসায়নিকগুলোর মধ্যে কিছু তুলনামূলকভাবে ভালভাবে অধ্যয়ন করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যেই মানবদেহে পাওয়া গেছে। যেমন- পিএফএএস এবং বিসফেনল এ – উভয়ই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু আছে। তবে অন্য উপাদানগুলোর স্বাস্থ্যের প্রভাব সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলো কীভাবে খাবারের সাথে গিলে ফেলা হয় সে সম্পর্কে আরও গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন বির্গিট গিউ।

 

গবেষকরা এর আগে প্রায় ১৪ হাজার রাসায়নিক (এফসিসি) তালিকাভুক্ত করেছিলেন, যা প্লাস্টিক, কাগজ, কাচ, ধাতু বা অন্যান্য উপকরণের মাধ্যমে তৈরি প্যাকেট থেকে খাদ্যে ‘স্থানান্তর’ করতে সক্ষম। এগুলো খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়ার অন্যান্য অংশ থেকেও আসতে পারে, যেমন কনভেয়ার বেল্ট বা রান্নাঘরের পাত্র থেকে।

 

‘উচ্চ উদ্বেগের’ রাসায়নিকগুলোর মধ্যে অনেকগুলো পিএফএএস ছিল, যা স্থায়ী রাসায়নিক হিসেবেও পরিচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানবদেহের অনেক অংশে এগুলো সনাক্ত করা হয়েছে এবং এসব উপাদান বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে যুক্ত।

 

এসব রাসায়নিকের মধ্যে হরমোন-বিঘ্নকারী রাসায়নিক বিসফেনল এ নামের একটি রাসায়নিকও রয়েছে, যা প্লাস্টিক তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। এই উপাদানটি ইতোমধ্যে অনেক দেশে শিশুদের ব্যবহারের বোতলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 

আরেকটি হরমোন-বিঘ্নকারী রাসায়নিক ছিল ফ্যাথালেটস, যা বন্ধ্যাত্বের সাথে যুক্ত। অপর রাসায়নিক অলিগোমার সম্পর্কে সামান্য তথ্যই জানা যায়, যা প্লাস্টিক উৎপাদনের উপজাত।

 

গিউকে বলেন, “এই রাসায়নিকগুলোর স্বাস্থ্যের প্রভাব সম্পর্কে প্রায় কোনও প্রমাণ নেই।” সূত্র: সিএনএন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে: উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল

» বিশ্বকাপে জয় পেল বাংলাদেশ

» শুক্রবার ঢাকায় আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম

» টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ উদীয়মানের তালিকায় নাহিদ ইসলাম

» পূজামণ্ডপে বিএনপি নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবে: আমিনুল হক

» সাধন চন্দ্র মজুমদার গ্রেফতার

» গণহত্যাকারীদের পুনর্বাসনের পথ খোলা হচ্ছে : উপদেষ্টা আসিফ

» অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারে সহায়তা করতে নরওয়েকে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

» লক্ষ্মীপুরের সাবেক এমপি নয়ন ও প্যানেল চেয়ারম্যান লিকা দুদকের জালে

» ‘ডিজিটাল নেশনস’ অ্যাওয়ার্ড পেল বাংলালিংকের মাইবিএল সুপার অ্যাপ

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মানবদেহে সাড়ে তিন হাজার প্যাকেজিং রাসায়নিক সনাক্ত

ছবি সংগৃহীত

 

খাদ্য প্যাকেজিং বা প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত তিন হাজার ৬০০ এর বেশি রাসায়নিক মানবদেহে সনাক্ত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে কিছু স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। আর অন্যগুলো সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য এখনও জানা সম্ভব হয়নি।

 

মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

জুরিখভিত্তিক একটি এনজিও ফুড প্যাকেজিং ফোরাম ফাউন্ডেশনের প্রধান গবেষণা লেখক বির্গিট গিউকে বলেছেন, এই রাসায়নিকগুলোর মধ্যে প্রায় ১০০টি মানব স্বাস্থ্যের জন্য ‘উচ্চ উদ্বেগের’ হিসেবে বিবেচিত হয়।

 

এই রাসায়নিকগুলোর মধ্যে কিছু তুলনামূলকভাবে ভালভাবে অধ্যয়ন করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যেই মানবদেহে পাওয়া গেছে। যেমন- পিএফএএস এবং বিসফেনল এ – উভয়ই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু আছে। তবে অন্য উপাদানগুলোর স্বাস্থ্যের প্রভাব সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলো কীভাবে খাবারের সাথে গিলে ফেলা হয় সে সম্পর্কে আরও গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন বির্গিট গিউ।

 

গবেষকরা এর আগে প্রায় ১৪ হাজার রাসায়নিক (এফসিসি) তালিকাভুক্ত করেছিলেন, যা প্লাস্টিক, কাগজ, কাচ, ধাতু বা অন্যান্য উপকরণের মাধ্যমে তৈরি প্যাকেট থেকে খাদ্যে ‘স্থানান্তর’ করতে সক্ষম। এগুলো খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়ার অন্যান্য অংশ থেকেও আসতে পারে, যেমন কনভেয়ার বেল্ট বা রান্নাঘরের পাত্র থেকে।

 

‘উচ্চ উদ্বেগের’ রাসায়নিকগুলোর মধ্যে অনেকগুলো পিএফএএস ছিল, যা স্থায়ী রাসায়নিক হিসেবেও পরিচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানবদেহের অনেক অংশে এগুলো সনাক্ত করা হয়েছে এবং এসব উপাদান বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে যুক্ত।

 

এসব রাসায়নিকের মধ্যে হরমোন-বিঘ্নকারী রাসায়নিক বিসফেনল এ নামের একটি রাসায়নিকও রয়েছে, যা প্লাস্টিক তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। এই উপাদানটি ইতোমধ্যে অনেক দেশে শিশুদের ব্যবহারের বোতলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 

আরেকটি হরমোন-বিঘ্নকারী রাসায়নিক ছিল ফ্যাথালেটস, যা বন্ধ্যাত্বের সাথে যুক্ত। অপর রাসায়নিক অলিগোমার সম্পর্কে সামান্য তথ্যই জানা যায়, যা প্লাস্টিক উৎপাদনের উপজাত।

 

গিউকে বলেন, “এই রাসায়নিকগুলোর স্বাস্থ্যের প্রভাব সম্পর্কে প্রায় কোনও প্রমাণ নেই।” সূত্র: সিএনএন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com