নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি খোন্দকার মাহফুজুর রহমানকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার রাতে রাজধানীর শ্যামলী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২ এর একটি দল। র্যাব জানিয়েছে, আত্মগোপনের কৌশল হিসেবে তিনি শ্যামলীতে একটি খাবারের দোকানে কাজ নিয়েছিলেন।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক বলেন, গ্রেপ্তার মাহফুজুর রহমান একজন পেশাদার মাদক কারবারি। ২০০৮ সালের গত ১৬ অক্টোবর বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। তার বিরুদ্ধে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের হয়।
মাদক মামলায় গ্রেপ্তার মাহফুজুর রহমানকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। ১৩ দিন জেল হাজতে আটক থাকার পর আদালতে হাজিরা দেওয়া সাপেক্ষে জামিনে মুক্ত হন।
জামিনে বেরিয়ে আত্মগোপন করেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপন করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামি খন্দকার মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। তাকে আইনের আওতায় আনতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন। পরোয়ানার ভিত্তিতেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মাহফুজুর রহমানকে গতরাতে রাজধানীর শ্যামলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নোয়াখালী বেগমগঞ্জের আবু নাছের খন্দকারের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাতে র্যাব-২ এর এ কর্মকর্তা বলেন, পলাতক থাকাকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। সর্বশেষ শ্যামলীর একটি খাবার হোটেলে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।