মাদক ‘আইস’ ভয়াবহ, সেবনে অক্ষম হবে পুরুষ

ফেনসিডিল ও ইয়াবার পর দেশে ক্রিস্টাল মেথ বা আইস নামক মাদক বেশ পরিচিতি পেয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো অভিযানে আইস উদ্ধারের পর বিষয়টি আরো আলোচনায় উঠে আসে।

 

সংশ্লিরা বলছেন, ক্রিস্টাল মেথ বা আইস নামের মাদক জীবননাশকারী। আইস সেবনে মানুষের শরীরে নানা ভয়ানক রোগ সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি সহজেই প্রাণনাশ হতে পারে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সর্বশেষ প্রতিবেদনে আইসের ক্ষতিকর দিক উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, আইস শক্তিশালী আসক্তি সৃষ্টিকারী মাদক। এতে আসক্ত ব্যক্তির ক্ষুধামান্দ্য ও প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়। অতিরিক্ত উত্তেজনা সৃষ্টি করে উচ্চ রক্তচাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে অনেকে সহিংস আচরণও করেন।

 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান রাসায়নিক কর্মকর্তা দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, আইস ঠেকানো বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। আইস সেবন করলে কারো স্ট্রোক হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। মানসিক অবসাদ বা বিষণ্ণতার কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হতে পারে।

 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে রাজধানীর বারিধারা ও মোহাম্মদপুরে আইসের বড় চালান জব্দ হয়।

 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে জানা গেছে, আইস কখনো লবণের দানার মতো দেখতে, কখনো চিনি বা মিছরির মতো শক্ত থাকে। ক্যান্ডি বা লজেন্সের মতো চুষে খেতে খেতে একসঙ্গে পথ চললেও কারো সন্দেহ করার উপায় নেই। রাজধানীর জিগাতলায়ও আইস তৈরির কারখানার সন্ধান মেলে। মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা শেষে বাংলাদেশে আইস তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেন এক তরুণ।

 

উল্লেখ্য, ১৮৮৭ সালে সর্বপ্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ক্রিস্টাল মিথ বা আইস প্রয়োগ করে জার্মানি। তখন জঙ্গিবিমানের পাইলটদের দীর্ঘক্ষণ নির্ঘুম, নির্ভয় ও উত্তেজিত রাখতে মাদকটি ব্যবহার হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি আরো ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরবর্তীতে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়ের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাবের কারণে ১৯৭০ সালে আইসকে নিষিদ্ধ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।  সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আমাদের সবাইকে সহনশীল হতে হবে : রিজভী

» সাংবাদিকদের সত্য উদ্ঘাটন ও প্রকাশে নির্ভীক হতে হবে: কাদের গনি চৌধুরী

» জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সবাইকে কাজ করার আহ্বান তারেক রহমানের

» ঐকমত্য কমিশনের ১১৩ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত এনসিপি

» প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে চুক্তি নয়, সমঝোতা স্মারক সই হবে

» ‘দারিদ্র্য নিরসনে জাকাত সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা’

» জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মানে সেনাবাহিনীর ইফতার

» নতুন বাংলাদেশ গড়তে সঠিক তথ্য জানতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

» বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় জামালপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের দোয়া মাহফিল

» ডিসি এসপি পরিচয়ে মোবাইল কোর্ট প্রতারক মনির হোসেন জুইস পুলিশের হাতে আটক

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মাদক ‘আইস’ ভয়াবহ, সেবনে অক্ষম হবে পুরুষ

ফেনসিডিল ও ইয়াবার পর দেশে ক্রিস্টাল মেথ বা আইস নামক মাদক বেশ পরিচিতি পেয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো অভিযানে আইস উদ্ধারের পর বিষয়টি আরো আলোচনায় উঠে আসে।

 

সংশ্লিরা বলছেন, ক্রিস্টাল মেথ বা আইস নামের মাদক জীবননাশকারী। আইস সেবনে মানুষের শরীরে নানা ভয়ানক রোগ সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি সহজেই প্রাণনাশ হতে পারে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সর্বশেষ প্রতিবেদনে আইসের ক্ষতিকর দিক উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, আইস শক্তিশালী আসক্তি সৃষ্টিকারী মাদক। এতে আসক্ত ব্যক্তির ক্ষুধামান্দ্য ও প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়। অতিরিক্ত উত্তেজনা সৃষ্টি করে উচ্চ রক্তচাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে অনেকে সহিংস আচরণও করেন।

 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান রাসায়নিক কর্মকর্তা দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, আইস ঠেকানো বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। আইস সেবন করলে কারো স্ট্রোক হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। মানসিক অবসাদ বা বিষণ্ণতার কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হতে পারে।

 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে রাজধানীর বারিধারা ও মোহাম্মদপুরে আইসের বড় চালান জব্দ হয়।

 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে জানা গেছে, আইস কখনো লবণের দানার মতো দেখতে, কখনো চিনি বা মিছরির মতো শক্ত থাকে। ক্যান্ডি বা লজেন্সের মতো চুষে খেতে খেতে একসঙ্গে পথ চললেও কারো সন্দেহ করার উপায় নেই। রাজধানীর জিগাতলায়ও আইস তৈরির কারখানার সন্ধান মেলে। মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা শেষে বাংলাদেশে আইস তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেন এক তরুণ।

 

উল্লেখ্য, ১৮৮৭ সালে সর্বপ্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ক্রিস্টাল মিথ বা আইস প্রয়োগ করে জার্মানি। তখন জঙ্গিবিমানের পাইলটদের দীর্ঘক্ষণ নির্ঘুম, নির্ভয় ও উত্তেজিত রাখতে মাদকটি ব্যবহার হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি আরো ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরবর্তীতে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়ের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাবের কারণে ১৯৭০ সালে আইসকে নিষিদ্ধ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।  সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com