থাইল্যান্ড থেকে ফিরে আসার পর ৫০ বছর বয়সের এক দক্ষিণ কোরিয়ান ব্যক্তি নেগেলেরিয়া ফাউলেরির সংক্রমণে মারা গেছেন। এ নেগেলেরিয়া ফাউলেরিকে সাধারণত ‘মগজ খেকো অ্যামিবা’ বলা হয়। এমন মারাত্মক রোগের সংক্রমণে প্রথমবারেরর মতো কোনো মৃত্যুর ঘটনা সংঘটিত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘দ্যা কোরিয়া টাইমস’ এমন তথ্য দিয়েছে।
কোরিয়ান রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার বরাত দিয়ে ওই গণমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ড থেকে ফেরার পর এক কোরিয়ান নাগরিক মারা গেছেন। দুই সপ্তাহ আগে ১০ ডিসেম্বর তারিখে কোরিয়ায় ফিরে আসার আগে লোকটি ওই দেশে মোট চার মাস থেকেছেন।
দেশে আসার পর সন্ধ্যার সময় ওই ব্যক্তির শরীরে মেনিনজাইটিসের লক্ষণ দেখা যায়। যেমন মাথাব্যথা, জ্বর, বমি, ঝাপসা বক্তৃতা এবং ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া। পরের দিন তাকে হাসপাতালের একটি ইমার্জেন্সি রুমে স্থানান্তর করা হয়।
এরপর চিকিৎসার জন্য তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ২১ ডিসেম্বর তারিখে তিনি মারা যান।
কোরিয়ান স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, তার মৃত্যুর কারণ মূলত তিনটি ভিন্ন সংক্রমণের জিনগত পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে জানা যায়, তিনি নেগেলেরিয়া ফাওলেরি সংক্রমণে মারা গেছেন।
প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ায় এই মারাত্মক রোগের সংক্রমণের ঘটনা দেখা গেছে। যদিও দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ এখনও রোগটির সংক্রমণের সুনির্দিষ্ট কারণ শনাক্ত করতে পারেনি। তবে তারা জানিয়েছে যে সংক্রমণের দু‘টি প্রধান উত্স হলো দূষিত পানিতে সাঁতার কাটা এবং ওই জীবানু (মগজ খেকো অ্যামিবা) দ্বারা সংক্রমিত পানি দিয়ে নাক ধুয়ে ফেলা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় জনস্বাস্থ্য সংস্থা ‘দ্যা সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর (রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র) মতে, নেগেলেরিয়া ফাওলেরি হলো একটি অ্যামিবা (এককোষী জীব)। এটা মাটি ও উষ্ণ মিষ্টি পানিতে থাকে। যেমন: হ্রদ, নদী ও উষ্ণ প্রস্রবণ।
সূত্র : এনডিটিভি