ভেজাল পণ্যে বাজার সয়লাব

ঘি তৈরির প্রধান উপকরণ দুধ হলেও সয়াবিন ও ডালডা দিয়ে তৈরি হতো নকল ঘি। পরে এসব ঘি বিএসটিআইয়ের লোগো লাগিয়ে নামি-দামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কে বাজারজাত করা হতো। গত মঙ্গলবার ভেজাল ঘি তৈরির মেশিন ও ডালডাসহ যাত্রাবাড়ী থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিএমপির ডিবি ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘একটি চক্র সংঘবদ্ধভাবে ভেজাল ঘি উৎপাদন করে বাজারজাত করছিল। এই ভেজাল ঘি কেনায় শিশুসহ সব বয়সী মানুষের জীবন হুমকিতে পড়ছে, তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

 

সেমাই, সরিষার তেল, গুঁড়া মসলা, ওষুধ, সাবান, শ্যাম্পু, কসমেটিকস, গুঁড়া দুধ, শিশুখাদ্য সবকিছুতেই ভেজাল। ভেজালে সয়লাব বাজার। নকলের ভিড়ে আসল পণ্য চেনাই দায় হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের মোড়ক হুবহু নকল করে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে এই ভেজাল সিন্ডিকেট। অভিযান, গ্রেফতার, সাজায়ও থামছে না ভেজাল পণ্যের দৌরাত্ম্য। রাজধানীজুড়ে নকল কারখানায় পানি বোতলজাত করে ‘মিনারেল ওয়াটার’ নামে বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া অপরিপক্ব ফল পাকাতে, মাছ সংরক্ষণে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে কৃষিপণ্যেও বিষাক্ত রাসায়নিক (কেমিক্যাল) মেশানো হচ্ছে। নকল কারখানার মালিক ও ভেজাল পণ্য বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক সরকারি সংস্থা অভিযান চালালেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো নজির নেই। ধরা পড়ার পর জরিমানা ও কারখানা সাময়িক বন্ধ হলেও একই ধরনের অপকর্মে তারা আবার লিপ্ত হয়। এ ছাড়া প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেকে নির্বিঘ্নে অপকর্ম করে যাচ্ছে। গ্রাম পর্যায়ের মুড়ি প্রস্তুতকারক থেকে শুরু করে কিছু ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যেও ভেজাল পাওয়া যাচ্ছে অভিযানে। মাছ, শাকসবজিতে ফরমালিন, বিষাক্ত জেলি, প্লাস্টিক ও কীটনাশক; ভোজ্য তেলে অতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট, মসলায় রং, ইট ও কাঠের গুঁড়া; মুড়িতে ইউরিয়া, বোতলজাত পানিতে কলেরার জীবাণু, গরুর দুধে পাউডার ও পানির মিশ্রণ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি ও বেকারি পণ্য তৈরি, হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারে বাসি-পচা ও পোড়া তেল ব্যবহারসহ প্রতিনিয়ত ভেজাল মেশানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (খাদ্যভোগ ও ভোক্তা অধিকার) মো. রেজাউল করিম  বলেন, ‘খাবারে ভেজাল মেশানো আমাদের দেশে ব্যবসায়ীদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এ অভ্যাস পরিবর্তনে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, আমরা সেটাই করছি। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ভোক্তাদেরও ব্যবসায়ীদের বলতে হবে খাবার ঢেকে রাখার কথা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রি হওয়া খাবার কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। সবাই সচেতন না হলে শুধু কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করা দুরূহ। এটা একদিনে সমাধানের বিষয় নয়। এ জন্য শিক্ষা এবং সচেতনতার প্রয়োজন।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় ৬০ কোটি মানুষ ভেজাল ও দূষিত খাদ্য গ্রহণের কারণে অসুস্থ হয়। এর মধ্যে মারা যায় ৪ লাখ ৪২ হাজার মানুষ। এ ছাড়া দূষিত খাদ্য গ্রহণজনিত কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সের আক্রান্ত হওয়া ৪৩ শতাংশ শিশুর মধ্যে মৃত্যুবরণ করে ১ লাখ ২৫ হাজার। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু ভেজাল খাদ্য গ্রহণের কারণে প্রতি বছর দেশে ৩ লাখ লোক ক্যান্সারে, ২ লাখ লোক কিডনি রোগে, দেড় লাখ লোক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া গর্ভবতী মা ১৫ লাখ বিকলাঙ্গ শিশুর জন্মদান করেন। ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে দেশে হেপাটাইটিস, কিডনি, লিভার ও ফুসফুস সংক্রমিত রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। ২০১৫ সালে দিনাজপুরে কীটনাশক মিশ্রিত লিচুর বিষক্রিয়ার আট শিশু এবং ২০১২ সালে ১৪ শিশুর প্রাণহানি ঘটে। বিভিন্ন গবেষণায় দেশের অনিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি বারবার উঠে এসেছে। পোলট্রি ফার্মের ডিমে ট্যানারি বর্জ্যরে বিষাক্ত ক্রোমিয়াম পাওয়া গেছে। আটায় মেশানো হচ্ছে চক পাউডার বা ক্যালসিয়াম কার্বনেট। আনারসে হরমোন প্রয়োগ করে দ্রুত বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলে আসছে বহুকাল ধরে। মিষ্টিজাতীয় খাবারে ব্যবহার করা হয় বিষাক্ত রং, সোডা, স্যাকারিন ও মোম। সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (সিকেডি) হাসপাতালের অধ্যাপক স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত চিকিৎসক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বাইরে থেকে কেনা খাবারে বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর উপাদান মেশানো হয়। শরীরের জন্য ক্ষতিকর রং, প্রিজারভেটিভ, ফরমালিন ব্যবহার করা হয়। মুখরোচক করার জন্য অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা হয়। এসব উপাদান মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে। লিভারের সমস্যার পাশাপাশি কিডনির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এসব খাবার। অনেক উপাদান দীর্ঘমেয়াদি ক্ষত তৈরি করে এবং দুরারোগ্য রোগ জন্ম দেয়। তাই এসব খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। বাড়িতে স্বাস্থ্যকর উপায়ে বানানো খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়তে হবে। ব্যবসায়ীদেরও খাবারে ভেজাল দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।’ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে খাদ্যে ভেজাল দেওয়া এবং ভেজাল খাদ্য বিক্রির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া ১৪ বছরের কারাদণ্ডেরও বিধান রয়েছে এ আইনে।

সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ছয় মাসে ৯ লাখ এনআইডি আবেদন নিষ্পত্তি : ইসি

» সাবেক বিরোধীদলীয় চীফহুইপ ফারুকের ওপর হামলার ১৪ বছর

» “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” নামটা আমি প্রস্তাব করেছিলাম: হান্নান মাসউদ

» ২ জুলাই শুরু হয়েছিল শেখ হাসিনার পতনের কাউন্টডাউন

» সরকারি অনুদানে জুলাই নিয়ে হবে দুটি চলচ্চিত্র: তথ্য উপদেষ্টা

» প্রত্যাশিত অগ্রগতি না হলেও ঐকমত্যের লক্ষ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে : আলী রিয়াজ

» আজ মিয়ানমার বাধা পেরোলেই এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ

» দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ

» মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা

» রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ভেজাল পণ্যে বাজার সয়লাব

ঘি তৈরির প্রধান উপকরণ দুধ হলেও সয়াবিন ও ডালডা দিয়ে তৈরি হতো নকল ঘি। পরে এসব ঘি বিএসটিআইয়ের লোগো লাগিয়ে নামি-দামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কে বাজারজাত করা হতো। গত মঙ্গলবার ভেজাল ঘি তৈরির মেশিন ও ডালডাসহ যাত্রাবাড়ী থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিএমপির ডিবি ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘একটি চক্র সংঘবদ্ধভাবে ভেজাল ঘি উৎপাদন করে বাজারজাত করছিল। এই ভেজাল ঘি কেনায় শিশুসহ সব বয়সী মানুষের জীবন হুমকিতে পড়ছে, তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

 

সেমাই, সরিষার তেল, গুঁড়া মসলা, ওষুধ, সাবান, শ্যাম্পু, কসমেটিকস, গুঁড়া দুধ, শিশুখাদ্য সবকিছুতেই ভেজাল। ভেজালে সয়লাব বাজার। নকলের ভিড়ে আসল পণ্য চেনাই দায় হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের মোড়ক হুবহু নকল করে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে এই ভেজাল সিন্ডিকেট। অভিযান, গ্রেফতার, সাজায়ও থামছে না ভেজাল পণ্যের দৌরাত্ম্য। রাজধানীজুড়ে নকল কারখানায় পানি বোতলজাত করে ‘মিনারেল ওয়াটার’ নামে বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া অপরিপক্ব ফল পাকাতে, মাছ সংরক্ষণে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে কৃষিপণ্যেও বিষাক্ত রাসায়নিক (কেমিক্যাল) মেশানো হচ্ছে। নকল কারখানার মালিক ও ভেজাল পণ্য বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক সরকারি সংস্থা অভিযান চালালেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো নজির নেই। ধরা পড়ার পর জরিমানা ও কারখানা সাময়িক বন্ধ হলেও একই ধরনের অপকর্মে তারা আবার লিপ্ত হয়। এ ছাড়া প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেকে নির্বিঘ্নে অপকর্ম করে যাচ্ছে। গ্রাম পর্যায়ের মুড়ি প্রস্তুতকারক থেকে শুরু করে কিছু ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যেও ভেজাল পাওয়া যাচ্ছে অভিযানে। মাছ, শাকসবজিতে ফরমালিন, বিষাক্ত জেলি, প্লাস্টিক ও কীটনাশক; ভোজ্য তেলে অতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট, মসলায় রং, ইট ও কাঠের গুঁড়া; মুড়িতে ইউরিয়া, বোতলজাত পানিতে কলেরার জীবাণু, গরুর দুধে পাউডার ও পানির মিশ্রণ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি ও বেকারি পণ্য তৈরি, হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারে বাসি-পচা ও পোড়া তেল ব্যবহারসহ প্রতিনিয়ত ভেজাল মেশানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (খাদ্যভোগ ও ভোক্তা অধিকার) মো. রেজাউল করিম  বলেন, ‘খাবারে ভেজাল মেশানো আমাদের দেশে ব্যবসায়ীদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এ অভ্যাস পরিবর্তনে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, আমরা সেটাই করছি। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ভোক্তাদেরও ব্যবসায়ীদের বলতে হবে খাবার ঢেকে রাখার কথা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রি হওয়া খাবার কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। সবাই সচেতন না হলে শুধু কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করা দুরূহ। এটা একদিনে সমাধানের বিষয় নয়। এ জন্য শিক্ষা এবং সচেতনতার প্রয়োজন।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় ৬০ কোটি মানুষ ভেজাল ও দূষিত খাদ্য গ্রহণের কারণে অসুস্থ হয়। এর মধ্যে মারা যায় ৪ লাখ ৪২ হাজার মানুষ। এ ছাড়া দূষিত খাদ্য গ্রহণজনিত কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সের আক্রান্ত হওয়া ৪৩ শতাংশ শিশুর মধ্যে মৃত্যুবরণ করে ১ লাখ ২৫ হাজার। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু ভেজাল খাদ্য গ্রহণের কারণে প্রতি বছর দেশে ৩ লাখ লোক ক্যান্সারে, ২ লাখ লোক কিডনি রোগে, দেড় লাখ লোক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া গর্ভবতী মা ১৫ লাখ বিকলাঙ্গ শিশুর জন্মদান করেন। ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে দেশে হেপাটাইটিস, কিডনি, লিভার ও ফুসফুস সংক্রমিত রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। ২০১৫ সালে দিনাজপুরে কীটনাশক মিশ্রিত লিচুর বিষক্রিয়ার আট শিশু এবং ২০১২ সালে ১৪ শিশুর প্রাণহানি ঘটে। বিভিন্ন গবেষণায় দেশের অনিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি বারবার উঠে এসেছে। পোলট্রি ফার্মের ডিমে ট্যানারি বর্জ্যরে বিষাক্ত ক্রোমিয়াম পাওয়া গেছে। আটায় মেশানো হচ্ছে চক পাউডার বা ক্যালসিয়াম কার্বনেট। আনারসে হরমোন প্রয়োগ করে দ্রুত বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলে আসছে বহুকাল ধরে। মিষ্টিজাতীয় খাবারে ব্যবহার করা হয় বিষাক্ত রং, সোডা, স্যাকারিন ও মোম। সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (সিকেডি) হাসপাতালের অধ্যাপক স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত চিকিৎসক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বাইরে থেকে কেনা খাবারে বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর উপাদান মেশানো হয়। শরীরের জন্য ক্ষতিকর রং, প্রিজারভেটিভ, ফরমালিন ব্যবহার করা হয়। মুখরোচক করার জন্য অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা হয়। এসব উপাদান মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে। লিভারের সমস্যার পাশাপাশি কিডনির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এসব খাবার। অনেক উপাদান দীর্ঘমেয়াদি ক্ষত তৈরি করে এবং দুরারোগ্য রোগ জন্ম দেয়। তাই এসব খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। বাড়িতে স্বাস্থ্যকর উপায়ে বানানো খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়তে হবে। ব্যবসায়ীদেরও খাবারে ভেজাল দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।’ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে খাদ্যে ভেজাল দেওয়া এবং ভেজাল খাদ্য বিক্রির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া ১৪ বছরের কারাদণ্ডেরও বিধান রয়েছে এ আইনে।

সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com