তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে ১৮ হাজার ৯৯১ জন। আর সিরিয়ায় ৩ হাজার ৩৩৭ জন।
এদিকে সব প্রতিকূলতার মধ্যেও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা।
ভূমিকম্পের পাঁচদিন পরও বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপে মিলছে জীবিত মানুষ। যেমন তুরস্কে ভূমিকম্পের ১০৪ ঘণ্টা পর এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর কাহরামানমারাসের কিরিখান এলাকার একটি বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ওই নারীকে বের করে আনে উদ্ধারকর্মীরা। উদ্ধারের পর পরই তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ঐ নারীর নাম জয়নেপ কাহরামান। বয়স ৪০ বছর। বিশাল ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাকে উদ্ধার করে জার্মানি থেকে আসা একদল উদ্ধারকর্মী। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একটি স্ট্রেচারে করে তাকে বের করে নিয়ে আসা হয়।
এ ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ বলে অভিহিত করেছেন উদ্ধারকারী দলের প্রধান স্টিভেন বেয়ার। তিনি বলেন, এখন আমার বিশ্বাস, অলৌকিক বলে কিছু আছে।
ঐ নারীকে উদ্ধারের পর পুরো এলাকায় যেন খুশির জোয়ার সৃষ্টি হয়। খুশিতে অনেকেই কেঁদে ফেলেন।
এ ঘটনার আগে ভূমিকম্পের ১০১ ঘণ্টা পর একই পরিবারের ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার হয়। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের ইস্কেন্দেরুনের একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে তাদেরকে বের করে আনে উদ্ধারকর্মীরা।
এর আগে, তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ৯৬ ঘণ্টা পর দেড় বছর বয়সী এক শিশুকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্যদেরও জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ককে ১.৭৮ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেয়ার ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক। ত্রাণ ও পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা হিসেবে এ অর্থ দেওয়া হবে।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় আরো বেশি অর্থ সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। আগামী সপ্তাহে একটি দাতা সম্মেলন করা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সূত্র: আল জাজিরা