পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে দুই প্রোটিয়া স্পিনার কেশভ মাহারাজ এবং সিমোন হার্মারের ঘূর্ণিতে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের প্রথম ভাগেই শেষ সাতটি উইকেট হারিয়ে বসে সফররত বাংলাদেশ দল। ব্যাট হাতে তুলেছে মাত্র ৮০ রান। ফলে ৩৩২ রানের বড় ব্যবধানে হারলেন রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। আর তাতেই হতে হলো হোয়াইটওয়াশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ৪১৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে মাত্র ২৭ রানে তিন উইকেট হারায় টাইগাররা। বাংলাদেশের হারটা অবশ্য সেদিনই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপরও আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল ঘুরে দাঁড়াতে চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে আসে।
দিনের শুরুতে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয় মাঠে ব্যাট কাতে নামেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার দলনেতা মুমিনুল হক। দিনের প্রথম বলেই বাই চারে খেলা শুরু হলে ভালো কিছু হওয়ার আশ্বাস পায় সফরকারীরা।
কিন্তু আশায় গুড়েবালি হয় দিনের দ্বিতীয় ওভারেই। দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার কেশভ মাহারাজের করা বলে ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। ৮ বলে মাত্র ১ রান করে মাহারাজের বলে এলগারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিকুর রহিম। আর উইকেটের সেই ধারা অব্যাহতই থাকে।
এরপর অধিনায়ক মুমিনুল ফিরেছেন ২৫ বলে ৫ রানে। আর ইয়াসির রাব্বি আউট হওয়ার আগে কোনো রানই করতে পারেননি।
দলের এমতাবস্থায় কিছু দলকে কিছু রান এনে দেন লিটন কুমার দাস এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু দুজনের কেউই ক্রিজে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। ৩৩ বলে ২৭ রানে লিটন এবং ২৫ বলে ২০ রানে মিরাজ সাজঘরে ফেরেন।
পরের দুই উইকেট পড়েছে মাত্র চার বলের মাঝখানে। কেশভ মাহারাজের করা ইনিংসের ২৩তম ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন খালেদ আহমেদ। আর পরের ওভারের তৃতীয় বলে তাইজুলকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে পাঠান সিমোন হার্মার। এই দুই ব্যাটারের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি। অন্যদিকে শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন ইবাদত হোসেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে মাত্র ৪০ রান খরচ করে সর্বোচ্চ সাতটি উইকেট নেন দলীয় বাঁ-হাতি স্পিনার কেশব মাহারজ। অন্যদিকে ৩৪ রানের খরচায় তিনটি উইকেট পেয়েছেন আরেক স্পিনার হার্মার।
দক্ষিণ আফ্রিকান বোলিং অলরাউন্ডার কেশভ মাহারাজ ম্যাচসেরা এবং সিরিজসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন।