গত কয়েক বছরে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে রাজনৈতিক চাপ ও অনিয়মের মাধ্যমে কিছু প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক। আর অনিয়ম করে ঋণ দেওয়ার চাপ থাকে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের। ফলে একের পর এক কেলেঙ্কারি ঘটছে ব্যাংক খাতে আর এদের কোনো শাস্তি না হওয়ায় এ খাতে অনিয়ম বন্ধ হচ্ছে না বলেও দাবি বিশ্লেষকদের।
রাজনৈতিক প্রভাবে মাত্র ৬ বছরে অ্যাননটেক্স গ্রুপকে জনতা ব্যাংক নিয়ম না মেনে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। এছাড়া সোনালী ব্যাংক হলমার্ককে যে ২ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা দিয়েছে তার বেশির ভাগ ঋণের কোনো আবেদনপত্রও ছিল না। বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির সময় কাকে কত টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে তারও নির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই ব্যাংকটির কাছে।
শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকই নয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোও জড়িয়ে পড়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে। আর ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারিতে সরাসরি জড়িত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। এছাড়া এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনাও সবার জানা।
অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতায় ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বাড়ছে, যা খুবই উদ্বেগজনক। এতোকিছুর মধ্যে পরিচালকদের স্বার্থেই, বছরের শুরুতে পাস হয়েছে ব্যাংক কোম্পানি আইন। আর এরই মধ্যে কমানো হয়েছে ব্যাংকের সিআরআর।
ব্যাংক মালিকরা বলছেন, ভবিষ্যতে এসব অনিয়ম যাতে আর না হয়, সে ব্যাপারে বেশকিছু উদ্যোগ আছে।
অর্থনীতিবিদরা বলেন, অনিয়ম বন্ধ করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আর কঠোর হতে হবে। এদিকে ব্যাংককে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা না গেলে আর্থিক খাত আর সংকটে পড়বে।
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টিভি