ব্যাংকারদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
জানা গেছে, ব্যাংকারদের সর্বনিম্ন বেতন কাঠানো নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্য আজ আদালতে উপস্থাপন করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনজীবী ফিদা এম কামাল আদালতে বক্তব্য পেশ করবেন।
এর আগে ব্যাংকারদের বেতন নির্ধারণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্য উপস্থাপন করতে সময় নিয়েছিলেন ফিদা এম কামাল। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী বুধবার (২ মার্চ) আবার শুনানি করা হবে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকারদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এক সপ্তাহের মধ্যে অর্থসচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে রুলের জবাব দিতে বলেন আদালত। এছাড়া এ বিষয়ে শুনানির জন্য চারজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে আইনি সহায়তাকারী/আদালত বন্ধু) নিয়োগ দেন হাইকোর্ট।
এ চার অ্যামিকাস কিউরি হলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও প্রবীর নিয়োগী।
ফরহাদ বিন হোসেন নামের এক বিনিয়োগকারীর করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একই বেঞ্চে এ রুল জারি করেন।
আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাসুম ও অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান রাহী। তাদের সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ইনভেস্টর ক্যাপিটাল মার্কেটিং অ্যান্ড ব্যাংকিং সেক্টরের অ্যাডভোকেট মো. ফরহাদ বিন হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ২০ জানুয়ারি এক সার্কুলারে ব্যাংকারদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সার্কুলারে প্রথমবারের মতো ব্যাংকারদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন ২৮ হাজার টাকা বেঁধে দিয়ে নির্দেশনা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন-ভাতা বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্ধারিত বেতন চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে কার্যকর করতে বলা হয়। পরে ওই বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে ১ ফেব্রুয়ারি পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে লক্ষ্য অর্জন করতে না পারা বা অদক্ষতার অজুহাতে চাকরি থেকে কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না বলেও জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সেখানে বলা হয়, চলতি বছরের মার্চ থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। পরে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ন্যূনতম বেতন কাঠামোর নির্দেশনার কিছু শর্ত আংশিক শিথিল করে ১ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত আরেকটি সার্কুলার জারি করা হয়। ওই সার্কুলার চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা হয় রিট। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন আদালত।