বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও রক্ষাকবচ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার দুপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনো দেশে আস্ফালন করে। এখনো সক্রিয় এই অপশক্তি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে খুশি নয়। নানা সময় তারা দেশের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়। তারা করোনার সময়, পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে এবং এখন তারা দেশের মানুষকে নিয়ে মশকরা শুরু করেছে। এই অপশক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
‘যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বিএনপির চেষ্টা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে গণহত্যা শুরু হয়েছিল, এটার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি, আমাদের সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এটার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি যৌক্তিক। কিন্তু যখন একটি দলের নেত্রী যিনি আবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি যখন বলেন আসলে ত্রিশ লক্ষ মানুষ মারা যায় নাই, তখন এই গণহত্যার স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহল প্রশ্ন করে। বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার এই ধরনের বক্তব্য এবং যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য বিএনপির চেষ্টা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা। না হয় আমরা গণহত্যার স্বীকৃতি সহজে পেতাম।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করে যে বাংলাদেশকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল সেদেশকে ধ্বংসস্তুপ থেকে পুনর্গঠিত করে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে যদি হত্যা না করা হতো তাহলে সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বঙ্গবন্ধু অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যদি সেই হারে থাকতো, তাহলে স্বাধীনতার ১৫-২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হতো একটি উন্নত রাষ্ট্র।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ষোলশহরে এলজিইডি অডিটোরিয়ামে উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের পরিচালনায় উত্তর জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. মঈন উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, আবুল কাশেম চিশতি, সদস্য ইফতেখার হোসেন বাবুল, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, মো. সেলিম, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দিলওয়ারা ইউসুফ, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন তপু প্রমুখ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।